Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 70-71

সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: লোকেদের স্মরণ করিয়ে দেবার মানসে দায়ূদের একটি গীত।

70 ঈশ্বর আমায় রক্ষা করুন!
    ঈশ্বর শীঘ্র আমায় সাহায্য করুন!
লোকে আমায় হত্যা করার চেষ্টা করছে।
    ওদের নিরাশ করুন!
    ওদের লজ্জিত বোধ করান!
যে সব লোক আমার খারাপ করতে চায়
    তাদের যেন পতন হয় ও তারা যেন লজ্জা পায়।
লোকে আমায় নিয়ে হাসাহাসি করে।
    আশা করি ওদের যা প্রাপ্য ওরা তাই পাবে এবং লজ্জাবোধ করবে।
আমি কামনা করি যারা আপনার উপাসনা করে তারা যেন সত্যিকারের সুখী হয়।
যারা আপনার সাহায্য চায় তারা যেন সর্বদাই আপনার প্রশংসা করে।

ঈশ্বর আমি দীন অসহায় মানুষ।
    ঈশ্বর তাড়াতাড়ি করুন!
আপনি আসুন, আমায় রক্ষা করুন! ঈশ্বর একমাত্র আপনিই আমায় উদ্ধার করতে পারেন।
    আর দেরী করবেন না!

71 হে প্রভু, আমি আপনাতে বিশ্বাস রাখি,
    তাই আমি কখনও হতাশ হব না।
আপনার ধার্ম্মিকতা দিয়ে আপনি আমায় রক্ষা করবেন।
    আপনিই আমায় উদ্ধার করবেন। আমার কথা শুনুন, আমায় রক্ষা করুন।
আপনি আমার দুর্গ হোন,
    সেই গৃহ হোন যেখানে আমি নিরাপত্তার জন্য ছুটে যেতে পারি।
আপনিই আমার শিলা এবং আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
    তাই আমাকে রক্ষার আজ্ঞা দিন।
হে আমার ঈশ্বর, আমায় দুষ্ট লোকের হাত থেকে রক্ষা করুন।
    নৃশংস ও মন্দ লোকেদের হাত থেকে আমায় রক্ষা করুন।
আমার জন্মের সময় থেকে আমি আপনার যত্নে ছিলাম।
    আমার জন্মের সময় থেকে আপনি আমার সঙ্গে ছিলেন।
এমনকি আমার জন্মের আগে থেকেই আমি আপনার ওপর নির্ভর করেছি।
    আমি যখন মাতৃগর্ভে ছিলাম তখনও আমি আপনার ওপর আস্থা রেখেছি।
    সর্বদাই আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছি।
আপনিই আমার শক্তির উৎ‌স।
    তাই অন্য লোকদের কাছে আমি দৃষ্টান্তস্বরূপ ছিলাম।
যে সব বিস্ময়কর জিনিস আপনি করেন তার সম্বন্ধে সর্বদাই আমি গান গাই।
আমি বৃদ্ধ হয়েছি বলে আমায় ছুঁড়ে ফেলে দেবেন না।
    হত-শক্তি হয়েছি বলে আমায় ত্যাগ করবেন না।
10 শত্রুরা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
    ওরা একসঙ্গে মিলিত হয়েছিলো, এবং আমাকে হত্যা করার চক্রান্ত করেছিলো।
11 আমার শত্রুরা বলছে, “যাও ওকে তুলে নিয়ে এসো!
    ঈশ্বর ওকে ত্যাগ করেছেন। আর কেউ ওকে সাহায্য করবে না।”
12 ঈশ্বর, আমায় পরিত্যাগ করবেন না!
    ঈশ্বর তাড়াতাড়ি এসে আমায় রক্ষা করুন!
13 আমার শত্রুদের পরাজিত করুন!
    ওদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিন!
যারা আমার ক্ষতি করতে চাইছে,
    তারা যেন লজ্জিত ও অপমানিত হয়।
14 তাহলে আমি সব সময়ই আপনার ওপর নির্ভর করবো
    এবং আমি আরো বেশী করে আপনার প্রশংসা করবো।
15 আপনি যে কত ভালো, তা আমি লোকদের বলবো।
    আমি লোকদের বলবো কিভাবে আপনি আমায় প্রতিবার রক্ষা করেছিলেন।
    তা এত বার ঘটেছে যে গুনে শেষ করা যায় না।
16 আমি আপনার মহত্বের কথা বলবো, প্রভু আমার সদাপ্রভু।
    আমি সেই সব ধার্ম্মিকতার কথা বলব, যা শুধুমাত্র আপনি করতে পারেন।
17 ঈশ্বর, আমি যখন একটি ছোট্ট বালক ছিলাম তখন থেকে আপনি আমায় শিক্ষা দিয়েছেন।
    তখন থেকে আজ পর্যন্ত আপনি যে সব আশ্চর্য কার্য করেছেন তা আমি মানুষকে বলেছি!
18 এখন আমি বৃদ্ধ হয়েছি, আমার চুল পেকে গেছে।
    কিন্তু হে ঈশ্বর, আমি জানি, আপনি আমায় ত্যাগ করবেন না।
    প্রত্যেকটি নতুন প্রজন্মকে আমি আপনার ক্ষমতা ও মহত্বের কথা বলবো।
19 ঈশ্বর, আপনার ধার্ম্মিকতা আকাশের সীমা অতিক্রম করে যায়।
    ঈশ্বর, কোন দেবতাই আপনার মত নয়।
    আপনি বিস্ময়কর সব কাজ করেছেন।
20 আপনি আমাকে সমস্যা এবং দুঃসময় প্রত্যক্ষ করিয়েছেন।
    কিন্তু তাদের সবকিছু থেকে রক্ষা করে আপনি আমায় বাঁচিয়ে রেখেছেন।
    কত গভীরে আমি ডুবে গিয়েছিলাম সেটা কথা নয়, কিন্তু আপনি আমায় সমস্যা থেকে টেনে তুলেছেন।
21 অতীতে যা করেছি তার থেকেও মহৎ‌‌ কাজসমূহ করতে আমায় সাহায্য করুন।
    আমাকে আরাম দিতে থাকুন।
22     আমি বীণা বাজিয়ে আপনার প্রশংসা করবো।
    হে ঈশ্বর আমি গাইবো ও বলবো যে, আপনার ওপর নির্ভর করা যেতে পারে।
    ইস্রায়েলের পবিত্র এক এর জন্য বীণা বাজিয়ে আমি গান গাইবো।
23 আপনি আমার আত্মাকে রক্ষা করেছেন।
    আমার আত্মা সুখী হবে। নিজের মুখে আমি আপনার প্রশংসা গান করবো।
24 আমার জিভ সর্বদাই আপনার ধর্মশীলতার গান গাইবে
    এবং যারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো তারা পরাজিত ও অসম্মানিত হবে।

গীতসংহিতা 74

আসফের একটি মস্কীল।

74 ঈশ্বর আপনি কি চিরকালের জন্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন?
    আপনি কি এখনও আপনার লোকদের ওপর ক্রুদ্ধ আছেন?
অতীতে আপনি যে সব লোকদের এনেছিলেন তাদের কথা স্মরণ করুন।
    আপনি আমাদের রক্ষা করেছেন, তাই আমরা সবাই আপনার।
সিয়োন পর্বতের কথা স্মরণ করুন, যেখানে আপনি বাস করতেন।
ঈশ্বর, সেই সব প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের ওপর দিয়ে আপনি হেঁটে আসুন।
    যে পবিত্র স্থানকে শত্রুরা ধ্বংস করে দিয়েছে সেখানে ফিরে আসুন।

মন্দিরেই তারা যুদ্ধের উন্মত্ত গর্জন শুরু করেছিলো।
    যুদ্ধে তারা জয়ী হয়েছে এটা বোঝানোর জন্য ওরা মন্দিরে পতাকা উড়িয়েছিল।
যারা নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে
    শত্রু সৈন্যরা সেই সব লোকের মত নির্মম।
হে ঈশ্বর, কুঠার ও কুড়ুল ব্যবহার করে
    ওরা আপনার মন্দিরের খোদাই করা কাঠের কক্ষগুলি ভেঙে চুরমার করেছে।
ঐ সৈন্যরা আপনার পবিত্রস্থান পুড়িয়ে দিয়েছে।
    আপনার নামের সম্মানে সেই মন্দির তৈরী হয়েছিলো
    কিন্তু ওরা তা মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
শত্রুরা আমাদের সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
    দেশের প্রত্যেকটা পবিত্রস্থান ওরা পুড়িয়ে দিয়েছে।
আমরা আমাদের কোন চিহ্নসমূহ দেখতে পাচ্ছি না।
    আর কোন ভাববাদী নেই।
    কেউই জানে না এখন কি করতে হবে।
10 ঈশ্বর আর কতদিন শত্রুরা আমাদের নিয়ে উপহাস করবে?
    আপনি কি চিরদিন ওদের আপনার নামের অবমাননা করতে দেবেন?
11 ঈশ্বর, কেন আপনি আমাদের এত কঠিন শাস্তি দিলেন?
    আপনার বিপুল শক্তি ব্যবহার করে আপনি আমাদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিলেন!
12 ঈশ্বর দীর্ঘদিন ধরে আপনি আমাদের রাজা ছিলেন।
    এই দেশে যে কোন যুদ্ধ জয় করতে আপনি আমাদের সাহায্য করেছেন।
13 ঈশ্বর লোহিত সাগরকে দুভাগে ভাগ করতে
    আপনি আপনার পরাক্রম প্রয়োগ করেছিলেন।
14 বড় বড় সমুদ্র দানবদের আপনি পরাজিত করেছেন!
    আপনিই লিবিয়াথনের মাথা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এবং তার দেহ পশুদের খাওয়ার জন্য ফেলে এসেছেন।
15 নদী এবং ঝর্ণায আপনিই প্রবাহ দিয়েছেন।
    আপনিই নদীকে শুষ্ক করে দিয়েছেন।
16 হে ঈশ্বর, আপনিই দিন এবং রাত্রি নিয়ন্ত্রণ করেন।
    আপনিই চাঁদ এবং সূর্য সৃষ্টি করেছেন।
17 আপনিই পৃথিবীর সব কিছুর সীমা নির্ধারণ করেছেন।
    আপনিই শীত, গ্রীষ্ম সৃষ্টি করেছেন।
18 প্রভু মনে রাখবেন কেমন করে শত্রুরা আপনাকে অপমান করেছিলো!
    ঐ লোকগুলো আপনাকে অপমান করেছিল।
    ঐসব মূর্খ লোক আপনার নামকে ঘৃণা ও নিন্দে করেছে!
19 ঐসব বন্য পশুদের আপনার পারাবত নিয়ে যেতে দেবেন না!
    আপনার দীন দরিদ্র মানুষদের চিরদিনের জন্য ভুলে যাবেন না।
20 আমাদের চুক্তির কথা স্মরণ করুন!
    এই দেশের প্রত্যেকটি অন্ধকার স্থানে রয়েছে হিংসাত্মক ঘটনা।
21 ঈশ্বর, আপনার লোকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
    ওদের আর আহত হতে দেবেন না।
    আপনার দীন দুঃখী লোকরা আপনার প্রশংসা করে।
22 ঈশ্বর, উঠুন এবং যুদ্ধ করুন!
    প্রতিদিন যে অবমাননা ঐসব নির্বোধদের কাছ থেকে আপনাকে পেতে হয়েছে তা মনে রাখবেন।
23 আপনার শত্রুদের উন্মত্ত চিৎকারের কথা মনে রাখবেন।
    বার বার ওরা আপনাকে অপমান করেছে!

ইয়োব 28

28 “এমন জায়গা আছে যেখানে মানুষ রূপো পায়,
    এমন জায়গা আছে যেখানে মানুষ সোনা গলিয়ে খাঁটি করে।
মানুষ মাটি খুঁড়ে লোহা তোলে।
    পাথর গলিয়ে তামা নিষ্কাসন করে।
কর্মীরা গুহার মধ্যে আলো নিয়ে যায়।
    ওরা গুহার গভীরে অন্বেষণ করে।
    গভীর অন্ধকারে ওরা পাথর খোঁজে।
খনি-দণ্ডের ওপর কাজ করবার সময় খনির কর্মীরা গভীর পর্যন্ত মাটি খোঁড়ে।
    মানুষ যেখানে বাস করে তারা তার চেয়েও অনেক গভীর পর্যন্ত খোঁড়ে, এমন গভীরে যেখানে লোক আগে কখনও যায় নি।
    তারা দড়িতে অনেক অনেক গভীর পর্যন্ত ঝুলতে থাকে।
মাটির ওপরে ফসল ফলে,
    কিন্তু মাটির তলা সম্পূর্ণ অন্যরকম,
    সব কিছুই যেন আগুনের দ্বারা গলিত হয়ে রয়েছে।
মাটির নীচে নীলকান্ত মণি
    এবং খাঁটি সোনা রয়েছে।
বুনো পাখিরা মাটির নীচের পথ সম্পর্কে কিছুই জানে না।
    কোন শকুন সেই অন্ধকার পথ দেখে নি।
বন্য পশুরাও কোন দিন সে পথে হাঁটে নি।
    সিংহও কোন দিন সেই পথে হাঁটে নি।
শ্রমিকরা দৃঢ়তম পাথরকেও ভেঙে ফেলে।
    ঐ শ্রমিকরা সমস্ত পর্বত খুঁড়ে খনি উন্মুক্ত করে।
10 শ্রমিকরা পাথর কেটে সুড়ঙ্গ তৈরী করে।
    তারা সব রকমের দামী পাথর দেখতে পায়।
11 শ্রমিকরা জলকে বাঁধবার জন্য বাঁধ তৈরী করে।
    তারা লুকানো সম্পদকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসে।

12 “কিন্তু প্রজ্ঞা কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে?
    আমরা কোথায় বোধশক্তি খুঁজতে যাবো?
13 আমরা জানি না প্রজ্ঞা কি মূল্যবান জিনিস।
    পৃথিবীর লোক মাটি খুঁড়ে প্রজ্ঞা পেতে পারে না।
14 গভীর মহাসমুদ্র বলে, ‘আমার কাছে প্রজ্ঞা নেই।’
    সমুদ্র বলে, ‘আমার কাছে প্রজ্ঞা নেই।’
15 সব চেয়ে খাঁটি সোনার বিনিময়েও তুমি প্রজ্ঞা কিনতে পারবে না।
    পৃথিবীতে প্রজ্ঞা কেনার মতো যথেষ্ট রূপো নেই।
16 ওফীরের সোনা বা অকীক মণি
    বা নীলকান্ত মণি দিয়েও প্রজ্ঞা কেনা যায় না।
17 প্রজ্ঞা সোনা ও স্ফটিকের থেকেও মূল্যবান।
    এমনকি মূল্যবান রত্নখচিত সোনাও প্রজ্ঞা কিনতে পারে না।
18 প্রবাল বা মণির চেয়েও প্রজ্ঞা মূল্যবান।
    মুক্তোর থেকেও প্রজ্ঞা মূল্যবান।
19 কূশদেশীয় পোখরাজ মণিও প্রজ্ঞার মতো সমমূল্যের নয়।
    তুমি খাঁটি সোনা দিয়েও প্রজ্ঞা কিনতে পারবে না।

20 “তাহলে প্রজ্ঞা কোথা থেকে আসে?
    বোধশক্তি খুঁজতে আমরা কোথায় যাবো?
21 পৃথিবীর প্রত্যেকটি জীবন্ত বিষয়ের থেকেই প্রজ্ঞা নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে।
    আকাশের পাখিরা পর্যন্ত প্রজ্ঞাকে দেখতে পায় না।
22 মৃত্যু ও ধ্বংস বলে,
    ‘আমরা প্রজ্ঞাকে খুঁজে পাই নি।
    আমরা শুধু তার সম্পর্কে গুঞ্জন শুনেছি।’

23 “একমাত্র ঈশ্বরই প্রজ্ঞার পথ জানেন।
    একমাত্র ঈশ্বরই জানেন প্রজ্ঞা কোথায় থাকে।
24 ঈশ্বর পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত দেখতে পান।
    আকাশের নীচে সব কিছুই ঈশ্বর দেখতে পান।
25 ঈশ্বর বায়ুর গুরুত্ব নিরূপণ করেছেন।
    তিনিই বৃষ্টির নিয়ম
26 এবং সেখানে কতটা জল থাকবে
    এবং মেঘ গর্জনের পথ স্থির করেছেন।
27 সেই সময় ঈশ্বর প্রজ্ঞাকে দেখেছিলেন এবং এসম্পর্কে ভেবেছিলেন।
    ঈশ্বর দেখিয়েছিলেন প্রজ্ঞা কত মূল্যবান এবং ঈশ্বরই প্রজ্ঞার প্রতীক।
28 ঈশ্বর মানুষকে বললেন,
    ‘প্রভুকে শ্রদ্ধা করো ও ভয় কর, সেটাই প্রজ্ঞা।
    কোন মন্দ কাজ করো না, এটাই সর্বোত্তম উপলদ্ধি।’”

প্রেরিত 16:25-40

25 মাঝরাতে পৌল ও সীল ঈশ্বরের স্তবগান ও প্রার্থনা করছিলেন, অন্য বন্দীরা তা শুনছিল। 26 হঠাৎ‌ প্রচণ্ড ভূমিকম্পে কারাগারের ভিত কেঁপে উঠল আর সঙ্গে সঙ্গে কারাগারের সব দরজা খুলে গেল, বন্দীদের শেকল খসে পড়ল। 27 কারারক্ষক জেগে উঠে যখন দেখলেন যে কারাগারের সব দরজা খোলা তখন তিনি কোষ থেকে তাঁর তরবারি বার করে আত্মহত্যা করতে চাইলেন, কারণ তিনি ভাবলেন বন্দীরা সব পালিয়েছে। 28 কিন্তু পৌল চিৎকার করে বলে উঠলেন, “নিজের ক্ষতি করবেন না! আমরা সকলেই এখানে আছি!”

29 তখন কারারক্ষক কাউকে আলো আনতে বলে ভেতরে দৌড়ে গেলেন, আর ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পৌল ও সীলের সামনে উপুড় হয়ে পড়লেন। 30 পরে তাঁদের বাইরে নিয়ে এসে বললেন, “মহাশয়রা, উদ্ধার পেতে হলে আমায় কি করতে হবে?”

31 তাঁরা বললেন, “প্রভু যীশুর ওপর বিশ্বাস করুন, তাহলে আপনি ও আপনার গৃহের সকলেই উদ্ধার লাভ করবেন।” 32 এরপর তাঁরা সেই কারারক্ষক ও তাঁর বাড়ির লোকের কাছে প্রভুর বার্তা প্রচার করলেন। 33 বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল কিন্তু কারারক্ষক সেই রাতেই পৌল ঔ সীলের সমস্ত ক্ষত ধুয়ে দিলেন এবং সপরিবারে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করলেন। 34 এরপর কারারক্ষক পৌল ও সীলকে নিজের গৃহে নিয়ে গিয়ে তাঁদের আহারের ব্যবস্থা করলেন। ঈশ্বরে বিশ্বাসী হওয়ায় তিনি ও তাঁর পরিবারের সকলে খুব আনন্দিত হলেন।

35 পরদিন সকাল হলে শাসকগণ রক্ষীবাহিনীদের দিয়ে কারারক্ষককে বলে পাঠালেন, “ঐ লোকদের ছেড়ে দাও!”

36 তখন কারারক্ষক সেকথা পৌলকে জানালেন, “নগর অধ্যক্ষরা আপনাদের ছেড়ে দেবার জন্য বলে পাঠিয়েছেন, তাই এখন আপনারা নির্বিঘ্নে এখান থেকে চলে যান।”

37 কিন্তু পৌল তাদের বললেন, “আমরা রোমান নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা আমাদের বিচার না করেই সকলের সামনে বেত মেরেছেন। শেষে আমাদের কারাগারে বন্দী করেছিলেন। এখন তাঁরা চুপি-চুপি আমাদের ছেড়ে দিতে চাইছেন? এ হতে পারে না! তাঁদের এখানে আসতে হবে আর এসে আমাদের কারাগারের বাইরে নিয়ে যেতে হবে।”

38 সেই রক্ষীবাহিনীর লোকরা বিচারকদের জানাল যে পৌল ও সীল রোমান নাগরিক, তখন তাঁরা ভয় পেয়ে গেলেন। 39 তাই তাঁরা এসে ক্ষমা চাইলেন, আর তাঁদের কারাগারের বাইরে নিয়ে গিয়ে সেই শহর ছেড়ে চলে যাবার জন্য অনুরোধ করলেন। 40 পৌল ও সীল কারাগার থেকে বাইরে এসে লুদিয়ার বাড়ি গেলেন। সেখানে বিশ্বাসীদের সঙ্গে দেখা হলে তাদের সকলকে উৎসাহ দিলেন। এরপর পৌল ও সীল শহর ছেড়ে চলে গেলেন।

যোহন 12:27-36

যীশু তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে বললেন

27 “এখন আমার অন্তর খুব বিচলিত। আমি কি বলব, ‘পিতা, এই কষ্ট ভোগের মুহূর্ত থেকে আমায় রক্ষা কর?’ না, কারণ সেই সময় এসেছে এবং কষ্ট ভোগ করার উদ্দেশ্যেই আমি এসেছি। 28 পিতা, তোমার নামকে মহিমান্বিত কর!”

তখন স্বর্গ থেকে এক রব ভেসে এল, “আমি এঁকে মহিমান্বিত করেছি, আর আমি আবার তাঁকে মহিমান্বিত করব।”

29 যে লোকেরা সেখানে ভীড় করেছিল, তারা সেই রব শুনে বলতে লাগল, এটা তো মেঘ গর্জন হল।

আবার কেউ কেউ বলল, “একজন স্বর্গদূত ওঁর সঙ্গে কথা বললেন।”

30 এর উত্তরে যীশু বললেন, “আমার জন্য নয়, তোমাদের জন্যই ঐ রব। 31 এখন জগতের বিচারের সময়। এই জগতের শাসককে দূরে নিক্ষেপ করা হবে। 32 আর যখন আমাকে মাটি থেকে উঁচুতে তোলা হবে, তখন আমি আমার কাছে সকলকেই টেনে আনব।” 33 যীশুর কিভাবে মৃত্যু হতে যাচ্ছে, তাই জানাতে যীশু এই কথা বললেন।

34 এর উত্তরে লোকেরা তাঁকে বলল, “আমরা মোশির দেওয়া বিধি-ব্যবস্থা থেকে শুনেছি যে খ্রীষ্ট চিরকাল বাঁচবেন। তাহলে আপনি কিভাবে বলছেন যে, ‘মানবপুত্রকে উঁচুতে তোলা হবে’? এই ‘মানবপুত্র’ তবে কে?”

35 তখন যীশু তাদের বললেন, “আর সামান্য কিছু সময়ের জন্য তোমাদের মধ্যে আলো থাকবে। যতক্ষণ তোমরা আলো পাচ্ছ, তারই মধ্য দিয়ে চল। তাহলে অন্ধকার তোমাদের আচ্ছন্ন করবে না। যে লোক অন্ধকারে চলে সে কোথায় যাচ্ছে তা জানে না। 36 যতক্ষণ তোমাদের কাছে আলো আছে, সেই আলোতে বিশ্বাস কর, তাতে তোমরা আলোর সন্তান হবে।” এই কথা বলে যীশু সেখান থেকে চলে গেলেন ও তাদের কাছ থেকে নিজেকে গোপন রাখলেন।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International