Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 106

106 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভুকে ধন্যবাদ দাও কারণ তিনি মঙ্গলময়!
    ঈশ্বরের প্রেম চিরন্তন!
ঈশ্বর যে প্রকৃতপক্ষে কত মহান তা কেউই বর্ণনা করে বলতে পারবে না।
    কোন ব্যক্তিই ঈশ্বরের যথেষ্ট প্রশংসা করতে পারে না।
যারা ঈশ্বরের নির্দেশ মানে তারা সুখী হয়।
    ওই সব লোক সর্বদাই ভালো কাজ করে।

হে প্রভু, যখন আপনি আপনার লোকদের দয়া করবেন, তখন আমার কথা স্মরণে রাখবেন।
    যখন আপনি আপনার লোকদের রক্ষা করবেন তখন আমায় মনে রাখতে ভুলে যাবেন না।
আপনার পছন্দ করা লোকদের জন্য আপনি যে সব ভালো কাজ করেন,
    আমাকেও তার অংশীদার হতে দিন।
আপনার জাতির সঙ্গে আমাকেও আনন্দ করতে দিন।
    আপনার লোকদের সঙ্গে আমাকেও আপনার প্রশংসা করতে দিন।

যেমন ভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা পাপ করেছে, আমরাও তেমন ভাবেই পাপ করেছি।
    আমরা ভুল করেছি। আমরা গর্হিত কাজ করেছি!
হে প্রভু, মিশরে আপনি যে সব অলৌকিক কাজ করেছিলেন
    তা থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা কিছুই শেখেনি।
তারা আপনার ভালবাসা ও দয়া মনে রাখে নি।
    লোহিত সাগরের ধারে, আমাদের পূর্বপুরুষরা, আপনার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল।

কিন্তু তাঁর পবিত্র নামের মহিমার জন্য ঈশ্বর তাদের রক্ষা করেছিলেন।
    তাঁর মহৎ‌‌ শক্তি প্রদর্শনের জন্য ঈশ্বর ওদের রক্ষা করেছিলেন।
ঈশ্বর আজ্ঞা দিয়েছিলেন এবং লোহিত সাগর শুকিয়ে গিয়েছিলো।
    শুকনো মরুভূমি দিয়ে চলার মত, তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের সমুদ্রের গভীরতার ভেতর দিয়ে ডাঙায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
10 ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের শত্রুদের হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছিলেন!
    তাদের শত্রুদের হাত থেকে ঈশ্বর তাদের উদ্ধার করেছিলেন।
11 ঈশ্বর সমুদ্র দ্বারা ওদের শত্রুদের আবৃত করেছিলেন!
    ওদের একজন শত্রুও পালাতে পারে নি!

12 তারপর আমাদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেছিলেন।
    তাঁরা তাঁর প্রশংসা করেছিলেন।
13 কিন্তু ঈশ্বর যা করেছিলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা খুব তাড়াতাড়ি তা ভুলে গিয়েছিলেন।
    তাঁরা ঈশ্বরের পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করেন নি।
14 আমাদের পূর্বপুরুষরা মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত হয়েছিলেন।
    উষর প্রান্তরে তাঁরা ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেছিলেন।
15 কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষরা যা চেয়েছিলেন, ঈশ্বর ওঁদের তাই দিয়েছিলেন।
    কিন্তু ঈশ্বর ওঁদের এক ভয়াবহ রোগও দিয়েছিলেন।
16 পবিত্র শিবিরে লোকরা বিশ্বস্ত রইল
    এবং মোশি ও হারোণের প্রতি তাদের উদ্যম দেখাল।
17 কিন্তু দাথন এবং অবীরামের গোষ্ঠীর দিকে মাটি দ্বিধাবিভক্ত হল,
    তাদের গিলে ফেলল এবং ঢেকে দিল।[a]
18 তারপর এক আগুনের হল্কা সেই জনতাকে পুড়িয়ে দিলো।
    তারপর আগুন সেই সব দুষ্ট লোকদের পুড়িয়ে দিলো।
19 হোরেব পর্বতে তারা একটা সোনার বাছুর তৈরী করেছিল।
    তারা সেই মূর্ত্তিকে পূজো করেছিলো।
20 এইভাবে তৃণগ্রাসী বলদ মূর্ত্তির সঙ্গে
    ওদের মহিমাময় ঈশ্বরের আদান-প্রদান করেছিলো!
21 ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের রক্ষা করেছিলেন! কিন্তু তাঁরা তাঁকে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিলেন।
    মিশরে যে ঈশ্বর বিরাট অলৌকিক কাজ করেছিলেন, তাঁকে তাঁরা ভুলে গেলেন।
22 হামের দেশে ঈশ্বর আশ্চর্য কার্য করেছিলেন।
    লোহিত সাগরের ধারে ঈশ্বর ভয়ঙ্কর কাজ করেছিলেন।

23 ঈশ্বর ওসব লোককে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।
    কিন্তু মোশি, যাকে তিনি মনোনীত করেছিলেন তিনি ঈশ্বরকে নিরস্ত করেন।
ঈশ্বর ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন, কিন্তু মোশি পথ রোধ করে দাঁড়ান
    তাই ঈশ্বর সেইসব লোকদের আর ধ্বংস করেন নি।

24 কিন্তু তারপর এইসব লোক কনানের চমৎ‌‌কার রাজ্যে প্রবেশ করতে অস্বীকার করে।
    ওরা বিশ্বাস করেনি যে, ওই দেশে (কনানে) বসবাসকারী মানুষদের পরাজিত করতে ঈশ্বর ওদের সাহায্য করবেন।
25 আমাদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ করতে তাঁবুর ভেতরে রয়ে গিয়েছিলেন।
    তাঁরা প্রভুর কন্ঠস্বর শুনতে অস্বীকার করেছিলেন।
26 তাই ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি করেছিলেন যে তাঁরা মরুভূমিতে মারা যাবেন।
27 ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি অন্য লোকদের তাদের উত্তরপুরুষদের পরাজিত করতে দেবেন।
    ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের তিনি বিভিন্ন জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন।

28 তারপর, বাল-পিয়োরে, ঈশ্বরের লোকরা বাল মূর্ত্তির পূজা করায় যোগ দিয়েছিলো।
    ঈশ্বরের লোকরা জংলী দলটিতে যোগ দিয়েছিলো এবং মৃত লোকের সম্মানে উৎসর্গ করা বলি আহার করেছিলো।
29 ঈশ্বর তাঁর লোকদের প্রতি ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন
    এবং তিনি তাদের ভীষণ অসুস্থ করে দিয়েছিলেন।
30 কিন্তু পীনহস ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলো
    এবং ঈশ্বর অসুস্থতা রদ করেছিলেন।
31 ঈশ্বর জানতেন যে পীনহস খুব ভালো একটা কাজ করেছিলো।
    ঈশ্বর সেটা চিরদিন, অনন্তকালের জন্য স্মরণে রাখবেন!

32 মরীবার কাছে লোকজন প্রচণ্ড ক্রোধান্বিত হল।
    তারা মোশিকে দিয়ে কিছু কু-কাজ করালো।
33 কারণ ওই লোকরা মোশিকে ভীষণ বিমর্ষ করে তুলল[b]
    এবং সে কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই কথা বলল।

34 ঈশ্বর তাঁর লোকদের কনানে অন্য জাতিসমূহ যারা বাস করছিল তাদের ধ্বংস করে দিতে বললেন।
    কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা ঈশ্বরের কথা মান্য করে নি!
35 তারা অন্য জাতিগুলোর সঙ্গে মেলামেশা করেছিল
    এবং তারা যা করত ওরা তাই করতে শিখেছিল।
36 ওই লোকগুলো ঈশ্বরের লোকদের জন্য ফাঁদের মতই ভয়ঙ্কর হল।
    ঈশ্বরের লোকরাও সেইসব মূর্ত্তিসমূহের পূজা করতে শুরু করলো যাদের ওরা পূজা করত।
37 এমনকি ঈশ্বরের লোকেরা তাদের সন্তানদের পর্যন্ত হত্যা করেছিলো
    এবং ওই দানবদের কাছে উৎসর্গ করেছিলো।
38 ঈশ্বরের লোকরা নিস্পাপ লোকদের হত্যা করেছিলো।
    ওরা ওদের নিজেদের সন্তানদেরও হত্যা করেছিলো
    এবং তাদের মূর্ত্তিসমূহের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলো।
39 তাই অন্য লোকদের পাপে ঈশ্বরের লোকরা অপবিত্র হয়ে উঠেছিল।
    ঈশ্বরের লোকরা তাদের ঈশ্বরের কাছে অবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলো এবং অন্য লোকরা যা করতো ওরাও তাই করতে শুরু করেছিল।
40 ঈশ্বর তাঁর লোকজনের ওপরে চটে গেলেন।
    তাদের ব্যাপারে ঈশ্বর ক্লান্ত হয়ে গেলেন!
41 ঈশ্বর তাঁর লোকেদের,[c] কেউ চায় নি এমন কিছুতে পরিবর্তন করে দিলেন।
    ঈশ্বর ওদের শত্রুদের দিয়ে ওদের শাসন করালেন।
42 ঈশ্বরের লোকদের শত্রুরা ওদের দাবিয়ে রাখলো
    এবং তাদের নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে রাখলো।
43 ঈশ্বর তাদের বহুবার রক্ষা করেছিলেন
    কিন্তু তারা ঈশ্বরের উপদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।[d]
    অতএব, এই কারণে লোকদের সম্মানে খাটো করা হয়েছিল।
44 কিন্তু ঈশ্বরের লোকরা যখনই সমস্যায় পড়েছে ওরা সাহায্যের জন্য ঈশ্বরকে ডেকেছে
    এবং প্রত্যেকবারই ঈশ্বর ওদের প্রার্থনা শুনেছেন।
45 ঈশ্বর সর্বদাই তাঁর চুক্তির কথা স্মরণে রেখেছিলেন
    এবং তাঁর মহৎ‌‌ প্রেম দিয়ে তিনি সর্বদাই ওদের স্বস্তি দিয়েছিলেন।
46 অন্য জাতিরা ওদের বন্দী হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলো।
    কিন্তু তাঁর লোকদের প্রতি ওদের সদয় করেন।
47 হে প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আমাদের রক্ষা করুন!
    আমাদের অন্য সব জাতি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন
যাতে আমরা আপনার পবিত্র নামের প্রশংসা করতে পারি
    এবং বন্দনা গান করে আপনাকে সম্মান করতে পারি।
48 ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরের বন্দনা কর। ঈশ্বর চির বিরাজমান
    এবং তিনি চিরদিন বিরাজিত থাকবেন।
সব লোকরা বলল, “আমেন!”

প্রভুর প্রশংসা কর!

গণনা 22:1-21

বিলিয়ম এবং মোয়াবের রাজা

22 এরপর ইস্রায়েলের লোকরা মোয়াবের যর্দন উপত্যকার দিকে এগোতে শুরু করল। যিরীহো থেকে অপরপারে যর্দন নদীর কাছে তারা শিবির স্থাপন করল।

2-3 ইমোরীয়দের লোকদের সঙ্গে ইস্রায়েলের লোকরা যা যা করেছিল, সিপ্পোরের পুত্র বালাক তার সমস্তটাই দেখেছিলেন। মোয়াবের রাজা খুবই ভয় পেয়েছিলেন, কারণ সেখানে ইস্রায়েলের লোকসংখ্যা ছিল প্রচুর। মোয়াব উদ্বিগ্ন হল।

মোয়াবের রাজা মিদিয়নের নেতাদের বললেন, “গরু যেভাবে মাঠের সমস্ত ঘাস খেয়ে ফেলে, ঠিক সেভাবেই এই বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের চারপাশের সমস্ত কিছুই ধ্বংস করে দেবে।”

এই সময় সিপ্পোরের পুত্র বালাক মোয়াবের রাজা ছিলেন। বিয়োরের পুত্র বিলিয়মকে ডাকার জন্য তিনি কয়েকজন লোক পাঠালেন। ফরাৎ নদীর কাছে পথোর নামে একটি জায়গায় বিলিয়ম ছিলেন। এইখানেই বিলিয়মের স্বজাতীয়রা বাস করতো। এই ছিল বালাকের বার্তা:

“মিশর থেকে এক নতুন জাতির লোকরা এসেছে। সেখানে তাদের সংখ্যা এতো বেশী যে সমস্ত দেশটা ভরে যাবে। তারা আমাদের পরেই শিবির স্থাপন করেছে। আপনি এসে আমাকে সাহায্য করুন। এই লোকদের অভিশাপ দিন কারণ এরা আমার চেয়ে শক্তিশালী। আমি জানি আপনি যদি কোনো ব্যক্তিকে আশীর্বাদ করেন তাহলে সে আশীর্বাদ পায় এবং আপনি যদি কোনো ব্যক্তিকে অভিশাপ দেন তবে সে শাপগ্রস্ত হয়। সুতরাং আপনি আসুন এবং এই সমস্ত লোকদের অভিশাপ দিন। হতে পারে, আমি হয়তো তাদের আঘাত করে আমার দেশ থেকে দূর করে দিতে পারবো।”

মোয়াব এবং মিদিয়নের নেতারা বিলিয়মের সঙ্গে কথা বলতে গেলেন। তার কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে তাঁদের সঙ্গে টাকা নিয়ে গেলেন এবং তাকে বালাকের প্রেরিত বার্তাটি বললেন।

বিলিয়ম তাঁদের বললেন, “এখানে এক রাত্রির জন্য থাকো। আমি প্রভুর সঙ্গে কথা বলবো এবং তিনি আমাকে যে উত্তর দেবেন তা আমি তোমাদের বলবো।” সুতরাং সেই রাত্রে মোয়াবের নেতারা বিলিয়মের সঙ্গেই সেখানে থাকলেন।

ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার সঙ্গের এই সমস্ত লোকরা কারা?”

10 বিলিয়ম ঈশ্বরকে বললেন, “মোয়াবের রাজা, সিপ্পোরের পুত্র বালাক আমাকে একটি সংবাদ দেওয়ার জন্য এদের পাঠিয়েছেন। 11 এই সেই বার্তা: মিশর থেকে এক নতুন জাতি এসেছে। সেখানে তাদের সংখ্যা এতো বেশী যে তারা সমস্ত দেশটাকে ভরে দেবে। সুতরাং আপনি আসুন এবং এই সমস্ত লোকদের অভিশাপ দিন। তাহলে হয়তো আমি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সক্ষম হবো এবং তাদের আমার দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারবো।”

12 কিন্তু ঈশ্বর বিলিয়মকে বললেন, “তুমি অবশ্যই এদের সঙ্গে যাবে না। ওসব লোকের বিরুদ্ধে তোমার কথা বলা উচিৎ‌ হবে না কারণ তারা আমার আশীর্বাদ প্রাপ্ত লোক।”

13 পরদিন সকালে উঠে বিলিয়ম বালাকের প্রেরিত নেতাদের বললেন, “তোমরা তোমাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাও। প্রভু আমাকে তোমাদের সঙ্গে যেতে দেবেন না।”

14 সুতরাং মোয়াবের নেতারা বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে তাকে এইসব কথা জানালেন। তাঁরা বললেন, “বিলিয়ম, আমাদের সঙ্গে আসতে অস্বীকার করেছেন।”

15 সুতরাং বালাক বিলিয়মের কাছে প্রথমবারের থেকেও বেশী লোক পাঠালেন। প্রথমবার তিনি যাঁদের পাঠিয়েছিলেন তাঁদের থেকেও এবারের নেতারা ছিলেন অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। 16 তাঁরা বিলিয়মের কাছে গিয়ে বললেন: “সিপ্পোরের পুত্র বালাক আপনাকে এই কথা বলেছেন: দয়া করে এখানে আসুন এবং কোন কিছুই যেন আমার কাছে আপনার আসা থামিয়ে না দেয়। 17 আমি আপনাকে প্রচুর পারিশ্রমিক দেবো এবং আপনি যা বলবেন আমি তাই-ই করব। আমার জন্যে আপনি আসুন এবং এসে এই লোকদের বিরুদ্ধে কথা বলুন।”

18 বিলিয়ম বালাকের প্রেরিত দূতকে তাঁর উত্তর জানিয়ে দিয়ে বললেন, “আমি আমার প্রভু ঈশ্বরকে অবশ্যই মান্য করবো। আমি তাঁর আদেশের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করতে পারি না। আমি বড় বা ছোট কোনো কাজই করবো না যদি না প্রভু আমাকে সেই কাজ করার অনুমতি দেন। রাজা বালাক যদি তাঁর রূপো এবং সোনা খচিত সুন্দর প্রাসাদটি আমাকে দিয়ে দেন তাহলেও আমি প্রভুর আদেশের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করবো না। 19 কিন্তু তোমরা অন্যান্যদের মতোই আজকের রাত্রিটা এখানে থাকতে পারো। তাহলে এই রাত্রিকালের মধ্যেই প্রভু আমাকে যা বলতে চান তা জানতে পারবো।”

20 সেই রাত্রে ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে এসে বললেন, “এই সমস্ত লোকরা তাদের সঙ্গে যাওয়ার কথা বলার জন্য পুনরায় এসেছে। সুতরাং তুমি তাদের সঙ্গে যেতে পারো। কিন্তু আমি তোমাকে যা করতে বলবো তুমি কেবলমাত্র সেই কাজই করবে।”

বিলিয়ম ও তাঁর গাধা

21 পরদিন সকালে বিলিয়ম উঠে তাঁর গাধা সাজিয়ে মোয়াবের নেতাদের সঙ্গে গেলেন।

রোমীয় 6:12-23

12 তাই তোমাদের ইহজীবনে পাপকে কর্ত্তৃত্ব করতে দিও না। যদি দাও তবে তোমাদের দেহের মন্দ অভিলাষের অধীনেই তোমরা চলতে থাকবে। 13 তাই তোমাদের দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অধর্মের হাতিয়ার করে পাপের কাছে তুলে দিও না। মন্দ কাজে তোমাদের দেহকে ব্যবহার করো না। ঈশ্বরের হাতে নিজেদের তুলে দাও। সেই লোকদের মতো হও যাঁরা পাপ সম্বন্ধীয় কারণে মরেছিলেন এবং মৃতদের মধ্য হতে পুনরুত্থিত হয়ে এখন ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে জীবিত আছেন। নিজেদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার হাতিয়ার করে ঈশ্বরের সেবায় নিবেদন কর। 14 পাপ আর তোমাদের ওপর প্রভুত্ব করবে না, কারণ তোমাদের জীবন আর বিধি-ব্যবস্থার অধীন নয় কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহের অধীন।

ধার্মিকতার দাস

15 তাহলে আমরা কি করব? আমরা বিধি-ব্যবস্থার অধীন নই; ঈশ্বরের অনুগ্রহের অধীন, তাই আমরা কি পাপ করতেই থাকব? না। 16 তোমরা নিশ্চয় জান যে তোমরা যখন কারো অনুগত হবে বলে তারই হাতে নিজেদের দাসরূপে তুলে দাও, তখন যার অনুগত হলে, তোমরা তারই দাস। তোমরা পাপের দাস হতে পার বা ঈশ্বরের অনুগত হতে পার। পাপ আত্মিক মৃত্যু আনে; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগত থাকলে তোমরা ধার্মিক প্রতিপন্ন হবে। 17 অতীতে তোমরা পাপের দাস ছিলে, পাপ তোমাদের উপর কর্ত্তৃত্ব করত। কিন্তু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই কারণ তোমাদের কাছে যে শিক্ষা সমর্পিত হয়েছিল তা পূর্ণরূপে পালন করছ। 18 তোমরা পাপের দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে এখন ধার্মিকতারই দাস হয়েছ। 19 তোমাদের বুঝতে কষ্ট হয় বলে এই বিষয়টি দৈনন্দিন জীবনের এই দৃষ্টান্ত দ্বারা বোঝাতে চাইছি। তোমরা তোমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাপের দাসত্বে ও মন্দের মধ্যে সঁপে দিয়েছিলে, ফলে তোমরা কেবল মন্দ উদ্দেশ্যেই জীবন যাপন করতে। সেইভাবে এখন তোমরা তোমাদের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার দাসরূপে সঁপে দাও; তাহলে তোমরা ঈশ্বরে সমর্পিত পবিত্র জীবন যাপন করবে।

20 অতীতে তোমরা যখন পাপের দাস ছিলে, তখন ধার্মিকতার ব্যাপারে স্বাধীন ছিলে। 21 সেই মন্দ কাজ থেকে কি ফসল তুলেছ? তার জন্য এখন তোমরা লজ্জা বোধ করছ, কারণ এইসব কাজের ফল মৃত্যু। 22 কিন্তু এখন তোমরা সেই পাপ থেকে মুক্ত হয়ে ঈশ্বরের দাস হয়েছ; তাই এখন যে ফসল তোমরা পাচ্ছ তা পবিত্রতার জন্য এবং তার পরিণাম অনন্ত জীবন। 23 কারণ পাপ যে মজুরি দেয়, সেই মজুরি হল মৃত্যু। কিন্তু ঈশ্বর অনুগ্রহ করে যা দান করেন সেই দান হল আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত জীবন।

মথি 21:12-22

যীশু মন্দিরে গেলেন

(মার্ক 11:15-19; লূক 19:45-48; যোহন 2:13-22)

12 এরপর যীশু মন্দির চত্বরে ঢুকলেন; আর যারা সেই মন্দির চত্বরের মধ্যে বেচাকেনা করছিল, তাদের তাড়িয়ে দিলেন। যারা টাকা বদল করে দেবার জন্য টেবিল সাজিয়ে বসেছিল ও যাঁরা ডালায় করে পায়রা বিক্রি করছিল তিনি তাদের টেবিল ও ডালা উল্টে দিলেন। 13 যীশু তাদের বললেন, “শাস্ত্রে লেখা আছে, ‘আমার গৃহ হবে প্রার্থনা গৃহ।’(A) কিন্তু তোমরা তা দস্যুদের আস্তানায় পরিণত করেছ।(B)

14 এরপর মন্দির চত্বরের মধ্যে অনেক অন্ধ ও খঞ্জ যীশুর কাছে এলে তিনি তাদের সুস্থ করলেন। 15 প্রধান যাজকরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা দেখলেন যে, যীশু অনেক অলৌকিক কাজ করছেন, আর যখন দেখলেন মন্দির চত্বরের মধ্যে ছেলেমেয়েরা চিৎকার করে বলছে, “প্রশংসা, দায়ূদের পুত্রের প্রশংসা হোক্,” তখন তাঁরা রেগে গেলেন।

16 তাঁরা যীশুকে বললেন, “ওরা যা বলছে, তা কি তুমি শুনতে পাচ্ছ?”

যীশু তাদের জবাব দিলেন, “হ্যাঁ, পাচ্ছি, তোমরা কি শাস্ত্রে পড় নি, ‘তুমি ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ও দুগ্ধপোষ্য শিশুদেরই প্রশংসা করতে শিখিয়েছ?’”(C)

17 এরপর যীশু তাদের ছেড়ে শহরের বাইরে বৈথনিয়ায় গিয়ে রাতে সেখানেই থাকলেন।

বিশ্বাসের শক্তি

(মার্ক 11:12-14, 20-24)

18 পরদিন সকালে তিনি যখন জেরুশালেমে ফিরছিলেন, সেই সময় যীশুর খিদে পেল। 19 তিনি পথের ধারে একটি ডুমুর গাছ দেখতে পেয়ে সেই গাছটার কাছে গেলেন। কিন্তু পাতা ছাড়া তাতে কিছু দেখতে পেলেন না। তখন তিনি সেই গাছটিকে বললেন, “তোমাতে আর কখনও ফল হবে না।” আর সেই ডুমুর গাছটি শুকিয়ে গেল।

20 এই ঘটনা দেখে শিষ্যরা আশ্চর্য হয়ে বললেন, “এই ডুমুর গাছটা এত তাড়াতাড়ি কেমন করে শুকিয়ে গেল?”

21 এর উত্তরে যীশু তাঁদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের যদি ঈশ্বরের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস থাকে, যদি সন্দেহ না কর, তবে ডুমুর গাছের প্রতি আমি যা করেছি, তোমরাও তা করতে পারবে। শুধু তাই নয়, তোমরা যদি ঐ পাহাড়কে বল, ‘ওঠ, ঐ সাগরে গিয়ে আছড়ে পড়’ দেখবে তাই হবে। 22 যদি বিশ্বাস থাকে, তবে প্রার্থনায় তোমরা যা চাইবে তা পাবে।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International