Book of Common Prayer
আসফের প্রশংসা গীতগুলির একটি
83 ঈশ্বর, নীরব থাকবেন না!
কান বন্ধ করে রাখবেন না!
ঈশ্বর আপনি কিছু বলুন।
2 ঈশ্বর, শত্রুরা আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে
এবং খুব শীঘ্রই ওরা আক্রমণ করবে।
3 আপনার লোকদের বিরুদ্ধে ওরা ফন্দি আঁটছে।
যে লোকদের আপনি ভালোবাসেন, আপনার শত্রুরা তাদের বিরুদ্ধে শলাপরামর্শ করছে।
4 ওই শত্রুরা বলাবলি করছে, “এস, আমরা ওদের পুরোপুরি ধ্বংস করে দিই।
তাহলে কোন ব্যক্তি আর কোনদিনের জন্যও ইস্রায়েলের নাম স্মরণ করবে না।”
5 ঈশ্বর, ওই সব লোক আপনার বিরুদ্ধে এবং আমাদের সঙ্গে আপনি যে চুক্তি করেছেন,
তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, এক জোট হয়েছে।
6-7 ওই শত্রুরা আমাদের সঙ্গে লড়াই করবে বলে এক জোট হয়েছে: ওদের মধ্যে যারা রয়েছে তারা হলো ইদোমবাসী, ইশ্মায়েলীয়, মোয়াব ও হাগারের উত্তরপুরুষ,
গবাল, অম্মোন ও অমালেকের অধিবাসী, সোর দেশের লোক এবং পলেষ্টীয় লোকেরা।
ওই সব লোক আমাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একজোট হয়েছে।
8 এমনকি অশূরীয়রাও ওদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
লোটের উত্তরপুরুষদের[a] ওরা খুব শক্তিশালী করেছে।
9 ঈশ্বর কীশোন নদীর কাছে, যেমন করে আপনি মিদিয়নদের পরাজিত করেছিলেন,
যেমন করে আপনি সীষরা ও যাবীনকে পরাজিত করেছিলেন তেমন করে আপনি ওই শত্রুদের পরাজিত করুন।
10 ঐন্দোরে আপনি ওদের পরাজিত করেছিলেন।
মাটিতেই ওদের দেহগুলো পচে গিয়েছিলো।
11 ঈশ্বর, ওই শত্রু নেতাদের পরাজিত করুন। ওরেব ও সেবদের প্রতি আপনি যা করেছিলেন ওদের প্রতিও তাই করুন।
সেবহ ও সল্মুন্নের প্রতি আপনি যা করেছিলেন ওদের প্রতিও তাই করুন।
12 ঈশ্বর, ওই লোকরা আমাদের
আপনার ভূখণ্ড থেকে বার করে দিতে চেয়েছিল।
13 হে ঈশ্বর, খড় কুটো যেমন বাতাসে উড়ে যায়, তেমনি ভাবে আপনি ওদের উড়িয়ে দিন।
ঝোড়ো হাওয়ায় খড় যেমন ছড়িয়ে যায় তেমনি ভাবে ওদের ইতঃস্তত ছড়িয়ে দিন।
14 দাবানল যেমন করে অরণ্য ধ্বংস করে,
লেলিহান আগুন যেমন করে পাহাড় পুড়িয়ে দেয় তেমন করে আপনি শত্রুদের ধ্বংস করুন।
15 হে ঈশ্বর, ঝড় যেমন করে ধূলো উড়িয়ে নিয়ে যায় তেমনি করে আপনি ওই লোকেদের তাড়া করুন।
টর্নেডোর মত ওদের কাঁপিয়ে দিন, ওদের উড়িয়ে দিন।
16 ঈশ্বর, আপনি ওদের এমন শিক্ষা দিন যাতে ওরা বুঝতে পারে ওরা প্রকৃতই দুর্বল।
তখন ওরা আপনার নামের উপাসনা করতে চাইবে!
17 ঈশ্বর, চিরদিনের মত ওদের ভীত ও লজ্জিত করে দিন।
ওদের অপমানিত ও বিনষ্ট করুন।
18 তখন ওরা বুঝতে পারবে যে,
আপনিই ঈশ্বর।
ওরা জানতে পারবে যে, আপনিই একমাত্র পরাৎপর,
সারা পৃথিবীর ঈশ্বর!
দায়ূদের একটি গীত। যখন থেকে দায়ূদ পাগলের মত আচরণ করেছিলেন যাতে অবীমেলক তাঁকে দূর করে দেন। এইভাবে দায়ূদ তাঁকে ছেড়ে চলে যান।
34 সর্বদা আমি প্রভুকে ধন্যবাদ জানাই।
আমার মুখ সর্বদাই তাঁর প্রশংসা করে।
2 হে বিনীত লোকরা, যখন আমি প্রভুর সম্পর্কে বড়াই করি
তোমরা শোন এবং সুখী হও।
3 আমার সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বরের প্রশংসা কর।
এসো আমরা তাঁর নামের সম্মান করি।
4 আমি ঈশ্বরের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিলাম এবং তিনি শুনেছেন।
যা কিছু আমি ভয় করতাম, তা থেকে তিনি আমায় উদ্ধার করেছেন।
5 সাহায্যের জন্য ঈশ্বরের দিকে চাও,
তিনি তোমায় গ্রহণ করবেন।
লজ্জিত হয়ো না।[a]
6 এই দরিদ্র মানুষটি প্রভুকে ডেকে সাহায্য প্রার্থনা করে।
প্রভু আমার কথা শুনেছেন
এবং সব সমস্যা থেকে তিনি আমায় রক্ষা করেছেন।
7 যারা প্রভুকে অনুসরণ করে, প্রভুর দূত এসে তাদের চারিদিকে শিবির স্থাপন করেন।
প্রভুর দূত তাদের রক্ষা করেন।
8 প্রভু কতখানি ভালো তা দেখাবার জন্য প্রভুর স্বাদ গ্রহণ কর।
যে প্রভুর ওপর নির্ভর করে সে সত্যিই সুখী হয়।
9 তোমরা প্রভুর পবিত্র অনুগামীরা, প্রভুকে শ্রদ্ধা কর।
কারণ অনুগামীদের কাছে প্রত্যেকটি জিনিস আছে যা তাদের প্রয়োজন।
10 বলবান লোকরাও ক্ষুধার্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়বে।
কিন্তু যারা ঈশ্বরের কাছে সাহায্যের জন্য যাবে, তারা সব ভালো জিনিসই পাবে।
11 শিশুরা, আমার কথা শোন,
আমি তোমাদের শিখিয়ে দেবো কেমন করে প্রভুকে শ্রদ্ধা করতে হয়।
12 যদি কেউ জীবনকে ভালোবাসে
এবং দীর্ঘ ও ভালো জীবনযাপন করতে চায়,
13 তাহলে, সেই ব্যক্তি যেন মন্দ কথা না বলে,
সে যেন মিথ্যা কথা না বলে।
14 খারাপ কাজ করা বন্ধ করে দাও! ভালো কাজ কর।
শান্তির জন্য কাজ কর। যতক্ষণ না শান্তি পাও, ততক্ষণ তার পেছনে ছুটে বেড়াও।
15 ভালো লোকদের প্রভু রক্ষা করেন।
তিনি তাদের প্রার্থনা শোনেন।
16 কিন্তু যারা খারাপ কাজ করে প্রভু তাদের বিরোধী।
তিনি তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেন!
17 প্রভুর কাছে প্রার্থনা কর এবং তিনি তোমার কথা শুনবেন
এবং সব সংকট থেকে তিনি তোমায় উদ্ধার করবেন।
18 যখন সংকট আসে তখন কয়েকজন দম্ভ করা থেকে বিরত হয়।
প্রভু সেই সব ভগ্ন হৃদয় লোকের কাছাকাছি থাকেন এবং তাদের উদ্ধার করেন।
19 ভালো লোকদের অনেক সমস্যা হতে পারে,
কিন্তু প্রত্যেকটা সমস্যা থেকে প্রভু তাদের উদ্ধার করবেন।
20 তাদের প্রত্যেকটি হাড় প্রভু রক্ষা করবেন।
তাদের একটি হাড়ও ভাঙবে না।
21 দুষ্ট লোকদের শয়তানি
তাদের ক্রমশঃ ধ্বংস করবে।
22 প্রভু তাঁর দাসদের আত্মাকে রক্ষা করেন।
যারা তাঁর ওপর নির্ভর করে তিনি তাদের বিনষ্ট হতে দেবেন না।
সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: কোরহ পরিবার থেকে একটি প্রশংসা গীত।
85 প্রভু, আপনার রাজ্যের প্রতি সদয় হোন।
যাকোবের লোকেরা বিদেশে নির্বাসিত।
নির্বাসিতদের ওদের নিজের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন।
2 প্রভু, আপনার লোকেদের ক্ষমা করে দিন!
ওদের পাপ মুছে দিন!
3 প্রভু, আর ক্রুদ্ধ হবেন না।
রাগে আত্মহারা হবেন না।
4 হে আমাদের পরিত্রাতা ঈশ্বর,
আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ হওয়া থেকে বিরত হোন এবং আবার আমাদের গ্রহণ করুন।
5 চিরদিনই কি আপনি
আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ থাকবেন?
6 আবার আমাদের জীবন্ত করে দিন!
আপনার লোকদের সুখী করুন।
7 প্রভু আমাদের রক্ষা করুন
এবং আপনি যে আমাদের ভালোবাসেন তা প্রদর্শন করুন।
8 প্রভু ঈশ্বর কি বলেছেন তা আমি শুনেছি।
তিনি বলেছেন, তাঁর লোকদের জন্য ও তাঁর অনুগামীদের জন্য শান্তি থাকবে।
তিনি আরও বলেছেন, তাই ওদের আর কখনও নির্বোধ জীবনযাত্রায় ফিরে যাওয়া উচিৎ হবে না।
9 ঈশ্বর তাঁর অনুগামীদের খুব শীঘ্রই রক্ষা করবেন।
আমরা খুব শীঘ্রই সম্মানের সঙ্গে আমাদের ভূখণ্ডে বাস করবো।
10 তারা সত্য এবং করুণাকে অভিনন্দন জানাবে।
তারা শান্তি ও ধার্ম্মিকতাকে চুমু খাবে।
11 পৃথিবীর লোকরা ঈশ্বরের প্রতি নিষ্ঠাবান হবে।
স্বর্গ থেকে ঈশ্বর ওদের মঙ্গল করবেন।
12 প্রভু আমাদের অনেক ভালো জিনিস দেবেন।
জমিগুলো প্রচুর পরিমাণে ভালো শস্য দেবে।
13 ধার্ম্মিকতা ঈশ্বরের আগে আগে যাবে
এবং তাঁর চলার পথ প্রস্তুত করবে।
দায়ূদের প্রার্থনা।
86 আমি একজন দীন, অসহায় মানুষ।
প্রভু আমার কথা দয়া করে শুনুন এবং আমার প্রার্থনার উত্তর দিন।
2 প্রভু, আমি আপনার অনুগামী, অনুগ্রহ করে আমায় রক্ষা করুন!
আমি আপনার দাস, আপনি আমার ঈশ্বর।
আমি আপনাতে বিশ্বাস করি, তাই আমায় রক্ষা করুন।
3 হে আমার প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন।
সারাদিন ধরে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি।
4 প্রভু, আমার জীবন আমি আপনার হাতে দিলাম।
আমি আপনার দাস, তাই আমায় সুখী করুন।
5 প্রভু, আপনি মঙ্গলময় এবং করুণাময়।
আপনার লোকেরা সাহায্যের জন্য আপনাকে ডাকে।
প্রকৃতই আপনি ওই সব লোককে ভালোবাসেন।
6 প্রভু, আমার প্রার্থনা শুনুন।
করুণার জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
7 প্রভু, আমার সঙ্কটের সময়ে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি।
আমি জানি আপনি আমায় উত্তর দেবেন!
8 ঈশ্বর, আপনার মত কেউই নেই।
আপনি যা করেছেন তা আর কেউ করতে পারবে না।
9 প্রভু, আপনিই প্রত্যেকটি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
ওরা সবাই যেন এসে আপনার উপাসনা করে।
ওদের সকলে যেন আপনার নামের সম্মান করে।
10 ঈশ্বর, আপনি মহান এবং আপনি আশ্চর্য কার্য করেন!
আপনি একমাত্র আপনিই ঈশ্বর!
11 প্রভু, আপনার পথ সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন
এবং আমি আপনার সত্য পথ অবলম্বন করে বেঁচে থাকবো।
আপনার উপাসনা করাকে আমার জীবনের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় করতে আমায় সাহায্য করুন।
12 ঈশ্বর, প্রভু আমার, আমার সকল অন্তর দিয়ে আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিন আমি আপনার নামের সম্মান করবো!
13 ঈশ্বর আপনি আমার জন্য কত মহান ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন
এবং মৃত্যুর হাত থেকে আমায় রক্ষা করেছেন।
14 ঈশ্বর, অহঙ্কারী লোকরা আমায় আক্রমণ করছে।
একদল নৃশংস লোক আমায় হত্যার চেষ্টা করছে।
ওই সব লোক আপনাকে সম্মান করে না।
15 প্রভু, আপনি দয়াময় ও করুণাময় ঈশ্বর।
আপনি ধৈর্য্যশীল, বিশ্বস্ত এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
16 ঈশ্বর, আমার প্রতি সদয় হোন এবং দেখান যে আপনি আমার কথা শুনেছেন।
আমি আপনার দাস, আমায় শক্তি দিন।
আমি আপনার দাস, আমায় রক্ষা করুন!
17 ঈশ্বর, আপনি যে আমায় সাহায্য করবেন তা প্রদর্শন করে আমায় একটা চিহ্ন দিন।
আমার শত্রুরা সেই চিহ্ন দেখবে এবং ওরা হতাশ হবে।
সেটা প্রমাণ করবে যে আপনি আমার প্রার্থনা শুনেছেন এবং আপনি আমাকে সাহায্য করবেন।
মরিয়ম এবং হারোণ মোশির বিরুদ্ধে অভিযোগ করল
12 মরিয়ম এবং হারোণ মোশির বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করল। কারণ মোশি একজন কুশীয়া মহিলাকে বিবাহ করেছিল। তারা মনে করেছিল যে মোশির পক্ষে একজন কুশীয়া মহিলাকে বিবাহ করা ঠিক হয় নি। 2 তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, “প্রভু লোকের সঙ্গে কথা বলার জন্য কি কেবল মোশিকেই ব্যবহার করেছেন? প্রভু কি আমাদের মাধ্যমেও কথা বলেন নি?”
প্রভু এই কথাগুলো শুনলেন। 3 (মোশি খুব নম্র ছিল। পৃথিবীতে যে কোনো মানুষের থেকে সে বেশী নম্র ছিল।) 4 হঠাৎই প্রভু এলেন এবং মোশি, হারোণ এবং মরিয়মের সঙ্গে কথা বললেন। প্রভু বললেন, “তোমরা তিনজন এখন সমাগম তাঁবুতে এসো।”
সুতরাং মোশি, হারোণ এবং মরিয়ম পবিত্র তাঁবুতে গেল। 5 প্রভু মেঘ স্তম্ভের মধ্যে নেমে এলেন এবং পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ পথে এসে দাঁড়ালেন। প্রভু ডাকলেন, “হারোণ এবং মরিয়ম!” হারোণ এবং মরিয়ম তখন বেরিয়ে এল। 6 ঈশ্বর বললেন, “আমার কথা শোনো! তোমাদের মধ্যে ভাববাদী থাকবে। আমি প্রভু দর্শনে তাদের দেখা দেবো। আমি তাদের সঙ্গে স্বপ্নে কথা বলবো। 7 কিন্তু আমার দাস মোশি সেরকম নয়। মোশি আমার বিশ্বস্ত সেবক। আমার বাড়ীর প্রত্যেকেই তাকে বিশ্বাস করে। 8 আমি যখন তার সঙ্গে কথা বলি, তখন তার সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলি। আমি এমন কোনো ধাঁধার সাহায্য নিই না যার ভেতরে কোনো অর্থ লুকিয়ে আছে; আমি তাকে যে জিনিস জানাতে চাই সেটা আমি তাকে পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দিই। এবং মোশি প্রভুর সেই প্রতিমূর্ত্তির দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে। সুতরাং আমার সেবক মোশির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস তোমাদের কি করে হল?”
9 প্রভু তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হলেন, তাই তাদের ত্যাগ করলেন। 10 পবিত্র তাঁবু থেকে মেঘ উপরে উঠলে দেখা গেল মরিয়মের চামড়া হিমের মত সাদা। হারোণ ঘুরে মরিয়মের দিকে তাকিয়ে দেখল, তার শরীরের চামড়ার রং তুষারের মতো সাদা। তার মারাত্মক চামড়ার রোগ হয়েছে।
11 তখন হারোণ মোশির কাছে অনুনয় করে বলল, “মহাশয়, দয়া করুন, আমরা মুর্খের মতো যে কাজ করেছিলাম তার জন্য আমাদের ক্ষমা করুন। 12 মৃত অবস্থায় জন্ম হয়েছে এমন একটি শিশুর মতো তাকে তার শরীরের চামড়া হারাতে দেবেন না।” (কখনও কখনও এক একটি শিশুর জন্ম হয় যাদের শরীরের অর্ধেক চামড়া ক্ষয়ে গেছে।)
13 এই কারণে মোশি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করল, “ঈশ্বর, দয়া করে মরিয়মকে এই অসুস্থতা থেকে আরোগ্য করুন!”
14 প্রভু মোশিকে উত্তর দিলেন, “যদি তার পিতা তার মুখে থুথু ফেলে, তাহলে সে সাত দিনের জন্যে লজ্জিত থাকত না? সুতরাং তাকে সাত দিনের জন্য শিবিরের বাইরে রাখো। ঐ সময়ের পরে, সে সুস্থ হয়ে উঠবে। তখন সে শিবিরে ফিরে আসতে পারে।”
15 সুতরাং তারা মরিয়মকে সাত দিনের জন্য শিবিরের বাইরে নিয়ে গেল এবং লোকরাও সেই জায়গা থেকে আর এগোলো না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে আবার শিবিরে ফিরিয়ে না নিয়ে আসা হল। 16 এরপর লোকরা হৎসেরোত্ ত্যাগ করে পারণ মরুভূমির উদ্দেশ্যে গমন করল এবং ঐ মরুভূমিতেই শিবির স্থাপন করল।
12 যারা বিধি-ব্যবস্থা জানে আর যারা তা কখনই শোনে নি, পাপ করলে তারা সকলে একই পর্যায়ে পড়ে। বিধি-ব্যবস্থা না জেনে যত লোক পাপ করেছে, তারা সকলেই বিধি-ব্যবস্থা ছাড়াই বিনষ্ট হবে। একইভাবে যাদের কাছে বিধি-ব্যবস্থা আছে তবু পাপ করে, তাদের বিধি-ব্যবস্থা দ্বারাই বিচার হবে। 13 বিধি-ব্যবস্থার কথা শুধু শুনলে ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন হওয়া যায় না বরং বিধি-ব্যবস্থা যা বলে তা সর্বদা পালন করলেই ঈশ্বরের কাছে ধার্মিক হওয়া যায়।
14 অইহুদীরা কোন বিধি-ব্যবস্থা পায় নি, অথচ তারা যখন স্বভাবতঃ বিধি-ব্যবস্থা অনুযায়ী কাজ করে তখন তারা নিজেরাই নিজেদের বিধি-ব্যবস্থা। যদিও তাদের অধিকারে কোন বিধি-ব্যবস্থা নেই তবুও এটাই সত্য। 15 তারা দেখায় যে, বিধি-ব্যবস্থার নির্দেশ কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ, তা তারা তাদের হৃদয় দিয়েই জানে। তাদের বিবেকও এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়। অনেক সময় তাদের চিন্তাধারাই ব্যক্ত করে যে তারা অন্যায় কাজ করছে আর তাতে তারা দোষী হয়। কোন কোন সময় তাদের চিন্তাধারা ব্যক্ত করে যে তারা ঠিকই করছে, আর তাই তারা দোষী হয় না।
16 এসব তখনই ঘটবে যখন ঈশ্বর, যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে মানুষের সকল গুপ্ত বিষয়ের বিচার করবেন। যে সুসমাচার আমি লোকদের কাছে প্রচার করি তা এই কথাই বলছে।
ইহুদীরা এবং বিধি-ব্যবস্থা
17 তোমার অবস্থা কেমন? তুমি নিজেকে ইহুদী বলে পরিচয় দাও এবং বিধি-ব্যবস্থার উপর নির্ভর কর ও গর্ব কর যে তুমি ঈশ্বরের কাছাকাছি রয়েছ। 18 তুমি জান যে ঈশ্বর তোমার কাছ থেকে কোন্ কাজ আশা করেন; আর কোন্টা গুরুত্বপূর্ণ তাও তুমি জান, কারণ তুমি বিধি-ব্যবস্থা শিক্ষা করেছ। 19 যারা ঠিক পথ চেনে না তুমি মনে কর এমন লোকদের তুমি একজন পথ প্রদর্শক। তুমি মনে কর যারা অন্ধকারে আছে তুমি তাদের কাছে জ্যোতিস্বরূপ। 20 তুমি মনে কর যে, যাদের মৌলিক শিক্ষার প্রয়োজন তুমি তাদের শিক্ষক হতে পার। তোমার কাছে বিধি-ব্যবস্থা আছে তাই তুমি মনে কর যে তুমি সবই জান ও সব সত্য তোমার কাছেই রয়েছে। 21 তুমি অপরকে শিক্ষা দিয়ে থাক; কিন্তু তুমি কি নিজেকেও শিক্ষা দাও? চুরি করো না বলে তুমি অপরকে শিক্ষা দাও। কিন্তু তুমি নিজে চুরি কর। 22 তুমি বল লোকে যেন যৌন পাপে লিপ্ত না হয়; কিন্তু তুমি নিজে সেই পাপে পাপী। তুমি প্রতিমা ঘৃণা কর কিন্তু মন্দির থেকে চুরি কর। 23 তুমি ঈশ্বরের বিধি-ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব কর আবার সেই একই বিধি-ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে ঈশ্বরেরই অবমাননা কর। 24 শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে: “ইহুদীরা, তোমাদের জন্যই অইহুদীরা ঈশ্বরের নিন্দা করে।”(A)
যীশু হারিয়ে যাওয়া ভেড়ার দৃষ্টান্ত দিলেন
(লূক 15:3-7)
10 “দেখো, তোমরা আমার এই নম্র মানুষদের মধ্যে একজনকেও তুচ্ছ করো না, কারণ আমি তোমাদের বলছি যে স্বর্গে তাদের স্বর্গদূতেরা সব সময় আমার স্বর্গীয় পিতার মুখের দিকে চেয়ে আছেন। 11 [a]
12 “তোমরা কি মনে কর? যদি কোন লোকের একশোটি ভেড়া থাকে, আর তার মধ্যে যদি একটা ভুল পথে চলে যায় তবে সে কি নিরানব্বইটাকে পাহাড়ের ধারে রেখে দিয়ে সেই হারানো ভেড়াটা খুঁজতে যাবে না? 13 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যখন সে সেই ভেড়াটা খুঁজে পায় তখন যে নিরানব্বইটা ভুল পথে যায় নি, তাদের চেয়ে যেটা হারিয়ে গিয়েছিল তাকে ফিরে পেয়ে সে বেশী আনন্দ করে। 14 ঠিক সেই ভাবে, তোমাদের পিতা যিনি স্বর্গে আছেন, তিনি চান না, যে এই ছোটদের মধ্যে একজনও হারিয়ে যায়।
যখন কেউ কোন অন্যায় করে
(লূক 17:3)
15 “তোমার ভাই যদি তোমার বিরুদ্ধে কোন অন্যায় করে, তবে তার কাছে একান্তে গিয়ে তার দোষ দেখিয়ে দাও। সে যদি তোমার কথা শোনে, তবে তুমি তাকে আবার তোমার ভাই বলে ফিরে পেলে। 16 কিন্তু সে যদি তোমার কথা না শোনে, তবে আরো দু-একজনকে সঙ্গে নিয়ে তার কাছে যাও, যেন ঐ দুজন কিংবা তিনজন সাক্ষীর কথায় প্রত্যেকটা বিষয় সত্য বলে প্রমাণিত হয়। 17 সে যদি তাদের কথা শুনতে না চায়, তবে মণ্ডলীতে তা জানাও। আর সে যদি মণ্ডলীর কথাও শুনতে না চায়, তবে সে তোমার কাছে বিধর্মী ও কর আদায়কারীর মত হোক্।
18 “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, পৃথিবীতে তোমরা যা বেঁধে রাখবে, স্বর্গেও তা বাঁধা হবে। আর পৃথিবীতে তোমরা যা খুলে দেবে স্বর্গেও তা খুলে দেওয়া হবে। 19 আমি তোমাদের আবার বলছি, পৃথিবীতে তোমাদের মধ্যে দুজন যদি একমত হয়ে কোন বিষয় নিয়ে প্রার্থনা কর, তবে আমার স্বর্গের পিতা তাদের জন্য তা পূরণ করবেন। 20 একথা সত্য, কারণ আমার অনুসারীদের মধ্যে দুজন কিংবা তিনজন যেখানে আমার নামে সমবেত হয়, সেখানে তাদের মাঝে আমি আছি।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International