Book of Common Prayer
106 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভুকে ধন্যবাদ দাও কারণ তিনি মঙ্গলময়!
ঈশ্বরের প্রেম চিরন্তন!
2 ঈশ্বর যে প্রকৃতপক্ষে কত মহান তা কেউই বর্ণনা করে বলতে পারবে না।
কোন ব্যক্তিই ঈশ্বরের যথেষ্ট প্রশংসা করতে পারে না।
3 যারা ঈশ্বরের নির্দেশ মানে তারা সুখী হয়।
ওই সব লোক সর্বদাই ভালো কাজ করে।
4 হে প্রভু, যখন আপনি আপনার লোকদের দয়া করবেন, তখন আমার কথা স্মরণে রাখবেন।
যখন আপনি আপনার লোকদের রক্ষা করবেন তখন আমায় মনে রাখতে ভুলে যাবেন না।
5 আপনার পছন্দ করা লোকদের জন্য আপনি যে সব ভালো কাজ করেন,
আমাকেও তার অংশীদার হতে দিন।
আপনার জাতির সঙ্গে আমাকেও আনন্দ করতে দিন।
আপনার লোকদের সঙ্গে আমাকেও আপনার প্রশংসা করতে দিন।
6 যেমন ভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা পাপ করেছে, আমরাও তেমন ভাবেই পাপ করেছি।
আমরা ভুল করেছি। আমরা গর্হিত কাজ করেছি!
7 হে প্রভু, মিশরে আপনি যে সব অলৌকিক কাজ করেছিলেন
তা থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা কিছুই শেখেনি।
তারা আপনার ভালবাসা ও দয়া মনে রাখে নি।
লোহিত সাগরের ধারে, আমাদের পূর্বপুরুষরা, আপনার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল।
8 কিন্তু তাঁর পবিত্র নামের মহিমার জন্য ঈশ্বর তাদের রক্ষা করেছিলেন।
তাঁর মহৎ শক্তি প্রদর্শনের জন্য ঈশ্বর ওদের রক্ষা করেছিলেন।
9 ঈশ্বর আজ্ঞা দিয়েছিলেন এবং লোহিত সাগর শুকিয়ে গিয়েছিলো।
শুকনো মরুভূমি দিয়ে চলার মত, তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের সমুদ্রের গভীরতার ভেতর দিয়ে ডাঙায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
10 ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের শত্রুদের হাত থেকে আমাদের বাঁচিয়েছিলেন!
তাদের শত্রুদের হাত থেকে ঈশ্বর তাদের উদ্ধার করেছিলেন।
11 ঈশ্বর সমুদ্র দ্বারা ওদের শত্রুদের আবৃত করেছিলেন!
ওদের একজন শত্রুও পালাতে পারে নি!
12 তারপর আমাদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেছিলেন।
তাঁরা তাঁর প্রশংসা করেছিলেন।
13 কিন্তু ঈশ্বর যা করেছিলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা খুব তাড়াতাড়ি তা ভুলে গিয়েছিলেন।
তাঁরা ঈশ্বরের পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করেন নি।
14 আমাদের পূর্বপুরুষরা মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত হয়েছিলেন।
উষর প্রান্তরে তাঁরা ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেছিলেন।
15 কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষরা যা চেয়েছিলেন, ঈশ্বর ওঁদের তাই দিয়েছিলেন।
কিন্তু ঈশ্বর ওঁদের এক ভয়াবহ রোগও দিয়েছিলেন।
16 পবিত্র শিবিরে লোকরা বিশ্বস্ত রইল
এবং মোশি ও হারোণের প্রতি তাদের উদ্যম দেখাল।
17 কিন্তু দাথন এবং অবীরামের গোষ্ঠীর দিকে মাটি দ্বিধাবিভক্ত হল,
তাদের গিলে ফেলল এবং ঢেকে দিল।[a]
18 তারপর এক আগুনের হল্কা সেই জনতাকে পুড়িয়ে দিলো।
তারপর আগুন সেই সব দুষ্ট লোকদের পুড়িয়ে দিলো।
19 হোরেব পর্বতে তারা একটা সোনার বাছুর তৈরী করেছিল।
তারা সেই মূর্ত্তিকে পূজো করেছিলো।
20 এইভাবে তৃণগ্রাসী বলদ মূর্ত্তির সঙ্গে
ওদের মহিমাময় ঈশ্বরের আদান-প্রদান করেছিলো!
21 ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের রক্ষা করেছিলেন! কিন্তু তাঁরা তাঁকে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিলেন।
মিশরে যে ঈশ্বর বিরাট অলৌকিক কাজ করেছিলেন, তাঁকে তাঁরা ভুলে গেলেন।
22 হামের দেশে ঈশ্বর আশ্চর্য কার্য করেছিলেন।
লোহিত সাগরের ধারে ঈশ্বর ভয়ঙ্কর কাজ করেছিলেন।
23 ঈশ্বর ওসব লোককে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু মোশি, যাকে তিনি মনোনীত করেছিলেন তিনি ঈশ্বরকে নিরস্ত করেন।
ঈশ্বর ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন, কিন্তু মোশি পথ রোধ করে দাঁড়ান
তাই ঈশ্বর সেইসব লোকদের আর ধ্বংস করেন নি।
24 কিন্তু তারপর এইসব লোক কনানের চমৎকার রাজ্যে প্রবেশ করতে অস্বীকার করে।
ওরা বিশ্বাস করেনি যে, ওই দেশে (কনানে) বসবাসকারী মানুষদের পরাজিত করতে ঈশ্বর ওদের সাহায্য করবেন।
25 আমাদের পূর্বপুরুষরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ করতে তাঁবুর ভেতরে রয়ে গিয়েছিলেন।
তাঁরা প্রভুর কন্ঠস্বর শুনতে অস্বীকার করেছিলেন।
26 তাই ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি করেছিলেন যে তাঁরা মরুভূমিতে মারা যাবেন।
27 ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি অন্য লোকদের তাদের উত্তরপুরুষদের পরাজিত করতে দেবেন।
ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষদের তিনি বিভিন্ন জাতিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন।
28 তারপর, বাল-পিয়োরে, ঈশ্বরের লোকরা বাল মূর্ত্তির পূজা করায় যোগ দিয়েছিলো।
ঈশ্বরের লোকরা জংলী দলটিতে যোগ দিয়েছিলো এবং মৃত লোকের সম্মানে উৎসর্গ করা বলি আহার করেছিলো।
29 ঈশ্বর তাঁর লোকদের প্রতি ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন
এবং তিনি তাদের ভীষণ অসুস্থ করে দিয়েছিলেন।
30 কিন্তু পীনহস ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলো
এবং ঈশ্বর অসুস্থতা রদ করেছিলেন।
31 ঈশ্বর জানতেন যে পীনহস খুব ভালো একটা কাজ করেছিলো।
ঈশ্বর সেটা চিরদিন, অনন্তকালের জন্য স্মরণে রাখবেন!
32 মরীবার কাছে লোকজন প্রচণ্ড ক্রোধান্বিত হল।
তারা মোশিকে দিয়ে কিছু কু-কাজ করালো।
33 কারণ ওই লোকরা মোশিকে ভীষণ বিমর্ষ করে তুলল[b]
এবং সে কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই কথা বলল।
34 ঈশ্বর তাঁর লোকদের কনানে অন্য জাতিসমূহ যারা বাস করছিল তাদের ধ্বংস করে দিতে বললেন।
কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা ঈশ্বরের কথা মান্য করে নি!
35 তারা অন্য জাতিগুলোর সঙ্গে মেলামেশা করেছিল
এবং তারা যা করত ওরা তাই করতে শিখেছিল।
36 ওই লোকগুলো ঈশ্বরের লোকদের জন্য ফাঁদের মতই ভয়ঙ্কর হল।
ঈশ্বরের লোকরাও সেইসব মূর্ত্তিসমূহের পূজা করতে শুরু করলো যাদের ওরা পূজা করত।
37 এমনকি ঈশ্বরের লোকেরা তাদের সন্তানদের পর্যন্ত হত্যা করেছিলো
এবং ওই দানবদের কাছে উৎসর্গ করেছিলো।
38 ঈশ্বরের লোকরা নিস্পাপ লোকদের হত্যা করেছিলো।
ওরা ওদের নিজেদের সন্তানদেরও হত্যা করেছিলো
এবং তাদের মূর্ত্তিসমূহের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছিলো।
39 তাই অন্য লোকদের পাপে ঈশ্বরের লোকরা অপবিত্র হয়ে উঠেছিল।
ঈশ্বরের লোকরা তাদের ঈশ্বরের কাছে অবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলো এবং অন্য লোকরা যা করতো ওরাও তাই করতে শুরু করেছিল।
40 ঈশ্বর তাঁর লোকজনের ওপরে চটে গেলেন।
তাদের ব্যাপারে ঈশ্বর ক্লান্ত হয়ে গেলেন!
41 ঈশ্বর তাঁর লোকেদের,[c] কেউ চায় নি এমন কিছুতে পরিবর্তন করে দিলেন।
ঈশ্বর ওদের শত্রুদের দিয়ে ওদের শাসন করালেন।
42 ঈশ্বরের লোকদের শত্রুরা ওদের দাবিয়ে রাখলো
এবং তাদের নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে রাখলো।
43 ঈশ্বর তাদের বহুবার রক্ষা করেছিলেন
কিন্তু তারা ঈশ্বরের উপদেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।[d]
অতএব, এই কারণে লোকদের সম্মানে খাটো করা হয়েছিল।
44 কিন্তু ঈশ্বরের লোকরা যখনই সমস্যায় পড়েছে ওরা সাহায্যের জন্য ঈশ্বরকে ডেকেছে
এবং প্রত্যেকবারই ঈশ্বর ওদের প্রার্থনা শুনেছেন।
45 ঈশ্বর সর্বদাই তাঁর চুক্তির কথা স্মরণে রেখেছিলেন
এবং তাঁর মহৎ প্রেম দিয়ে তিনি সর্বদাই ওদের স্বস্তি দিয়েছিলেন।
46 অন্য জাতিরা ওদের বন্দী হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলো।
কিন্তু তাঁর লোকদের প্রতি ওদের সদয় করেন।
47 হে প্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আমাদের রক্ষা করুন!
আমাদের অন্য সব জাতি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন
যাতে আমরা আপনার পবিত্র নামের প্রশংসা করতে পারি
এবং বন্দনা গান করে আপনাকে সম্মান করতে পারি।
48 ইস্রায়েলের প্রভু ঈশ্বরের বন্দনা কর। ঈশ্বর চির বিরাজমান
এবং তিনি চিরদিন বিরাজিত থাকবেন।
সব লোকরা বলল, “আমেন!”
প্রভুর প্রশংসা কর!
বিশেষ ছুটির দিনগুলি
23 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: প্রভুর মনোনীত উৎসবগুলিকে তোমরা পবিত্র সভা বলে ঘোষণা কর। এইগুলি হল আমার নির্দিষ্ট ছুটির দিন:
বিশ্রামপর্ব
3 “ছদিন ধরে কাজ কর, কিন্তু সপ্তম দিন কর্মবিরতির জন্য নির্দিষ্ট বিশ্রামপর্ব হবে বিশ্রামের বিশেষ দিন। তোমরা অবশ্যই কোন কাজ করবে না। এটা তোমাদের সকলের বাড়ীতেই প্রভুর জন্য বিশ্রামের দিন হবে।
নিস্তারপর্ব
4 “এগুলি হল প্রভুর মনোনীত নিস্তারপর্ব। তোমরা এগুলির জন্য মনোনীত সময়ে পবিত্র সভার কথা ঘোষণা করবে। 5 প্রভুর নিস্তারপর্বের দিন হল প্রথম মাসের 14 দিনের দিন সূর্যাস্তের সময়।
খামিরবিহীন রুটির পর্ব
6 “খামিরবিহীন রুটির উৎসব হবে ঐ একই মাসের 15 দিনের দিন। তোমরা সাত দিন ধরে খামিরবিহীন রুটি খাবে। 7 এই ছুটির প্রথম দিনে তোমাদের এক বিশেষ সভা হবে। তোমরা অবশ্যই ঐ দিনটিতে কোন কাজ করবে না। 8 সাতদিন ধরে তোমরা প্রভুর কাছে অগ্নিপ্রদত্ত উৎসর্গগুলি আনবে। তারপর সপ্তমদিনে আর একটি পবিত্র সভা হবে। তোমরা অবশ্যই ঐ দিনে কোন কাজ করবে না।”
প্রথম শস্য ছেদনের পর্ব
9 প্রভু মোশিকে বললেন, 10 “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: আমি তোমাদের যে দেশ দেবো তাতে তোমরা প্রবেশ করবে। তোমরা এর শস্য ছেদন করলে শস্যের প্রথম আঁটি যাজকের কাছে আনবে। 11 যাজক প্রভুর সামনে সেই আঁটি দোলাবে যেন তোমাদের জন্য তা গ্রাহ্য হয়। যাজক রবিবার সকালে সেই শস্যের আঁটি দোলাবে।
12 “যে দিন তোমরা শস্যের আঁটি দোলাবে, সেদিন তোমরা একটি এক বছর বয়সী পুরুষ মেষ উপহার দেবে। সেই মেষের মধ্যে যেন কোন দোষ না থাকে। ঐ মেষটি প্রভুর কাছে হোমবলির নৈবেদ্য হবে। 13 এছাড়া তোমরা অবশ্যই অলিভ তেল মেশানো 16 কাপ মিহি ময়দা শস্য নৈবেদ্য হিসাবে দেবে। এর সাথে দেবে 1 কোয়ার্ট দ্রাক্ষারস। সেই নৈবেদ্যর গন্ধ প্রভুকে খুশী করবে। 14 ঈশ্বরের কাছে তা নৈবেদ্য হিসাবে না আনা পর্যন্ত তোমরা অবশ্যই কোন নতুন শস্য অথবা ফল বা নতুন শস্য থেকে তৈরী রুটি খাবে না। তোমরা যেখানেই বাস কর না কেন এই বিধি তোমাদের বংশ পরম্পরায় চলবে।
ফসল কাটার পর্ব
15 “সেই রবিবারের সকাল থেকে (অর্থাৎ দোলনীয় নৈবেদ্যর জন্য আনীত শস্যের আঁটি আনার দিন থেকে) সাত সপ্তাহ গুনে নাও। 16 সপ্তম সপ্তাহ পরে রবিবারে (অর্থাৎ 50 দিন পরে) তোমরা প্রভুর কাছে একটি নতুন শস্য নৈবেদ্য আনবে। 17 ঐ দিনে তোমাদের বাড়ী থেকে দুুকরো রুটি নিয়ে আসবে। ঐ রুটি দোলনীয় নৈবেদ্যর জন্য নির্দিষ্ট হবে। ঐ রুটি তৈরী করার জন্য খামির এবং 16 কাপ ময়দা ব্যবহার কর। এটাই হবে তোমাদের প্রথম শস্য থেকে প্রভুর কাছে দেওয়া উপহার।
18 “লোকরা শস্য নৈবেদ্যর সঙ্গে একটি ষাঁড়, একটি মেষ এবং সাতটি এক বছর বয়স্ক পুরুষ মেষশাবক দেবে। ঐসব প্রাণীর মধ্যে অবশ্যই কোন দোষ থাকবে না। তারা প্রভুর কাছে হোমবলির নৈবেদ্য হবে। শস্য নৈবেদ্য ও পেয় নৈবেদ্যর সাথে হবে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে অগ্নির দ্বারা প্রদত্ত নৈবেদ্য। এর গন্ধ প্রভুকে খুশী করবে। 19 এ ছাড়াও তোমরা পাপার্থক নৈবেদ্যর জন্য একটি পুরুষ ছাগল এবং মঙ্গল নৈবেদ্য হিসেবে দুটি এক বছর বয়সী পুরুষ মেষশাবক আনবে।
20 “যাজক তাদের প্রথম শস্য থেকে তৈরী রুটি সহ দোলনীয় নৈবেদ্যর দুটি মেষশাবক প্রভুর সামনে দোলাবে। তারা প্রভুর কাছে পবিত্র। তারা থাকবে যাজকের অধিকারে। 21 ঐ একই দিনে তোমরা এক পবিত্র সভা ডাকবে। তোমরা অবশ্যই কোন কাজ করবে না। তোমাদের সকলের বাড়ীতে এই বিধি চিরকালের জন্য চলবে।
22 “উপরন্তু যখন তোমরা তোমাদের জমিতে শস্য বপন করবে, তখন তোমাদের ক্ষেতের কোণগুলির শস্য কাটবে না। মাটির ওপর পড়ে থাকা শস্য তোমরা তুলবে না। সেই জিনিসগুলি গরীবদের জন্য এবং তোমাদের দেশে ভ্রমণকারী বিদেশীদের জন্য রেখে দেবে। আমিই প্রভু তোমাদের ঈশ্বর!”
মন্দ ঘটনা ঘটবে
2 আমার ভাই ও বোনেরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আগমন সম্পর্কে আমি তোমাদের কিছু বলতে চাই। আমরা যখন একসঙ্গে তাঁর সাক্ষাতে মিলিত হতে যাব সেই সময়টা সম্পর্কে তোমাদের কিছু জানাতে চাই। 2 আমি অনুরোধ করি প্রভুর দিন এসে গেছে শুনে তোমাদের বিবেচনা বোধ হারিও না, বা বিচলিত হয়ো না। কেউ কেউ হয়তো ভাববাণী করে বা বিশেষ বার্তার মাধ্যমে তা বলতে পারে। আমাদের কাছ থেকে পাওয়া এ সম্পর্কে কোন চিঠি কেউ পড়তে পারে। 3 দেখ কেউ যেন এ বিষয়ে তোমাদের কোনভাবে প্রতারিত করতে না পারে। সেই দিন আসার আগে পৃথিবীতে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখা যাবে। সেই পাপ পুরুষ ধ্বংস হওয়ায় যার ভাগ্যে লেখা আছে, সে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত সেই দিন আসবে না। 4 যা কিছু ঈশ্বর নামে আখ্যাত ও উপাসনার যোগ্য সে তার বিরোধিতা করবে ও সবার উপরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে। এমনকি সেই পাপ পুরুষ ঈশ্বরের মন্দিরে গিয়েও সেখানে আসন করে নেবে এবং ঘোষণা করবে যে সে ঈশ্বর।
5 তোমাদের কি মনে পড়ে না, এমন যে ঘটবে তার বিবরণ আমি তোমাদের কাছে থাকার সময় জানিয়েছিলাম? 6 তোমরা জান, কোন্ শক্তি ঐ পাপ পুরুষকে বাধা দিয়ে রাখছে যাতে সে নিরূপিত সময়ে প্রকাশ পায়। 7 আমি এসব বলছি কারণ মন্দতার সেই গোপন শক্তি এখনই জগতে কাজ করে চলেছে। কিন্তু একজন রয়েছেন যিনি এই শক্তিকে প্রতিরোধ করে আসছেন, তিনি তা করতেই থাকবেন যতক্ষণ না তা দূর হয়। 8 তারপর সেই পাপপুরুষ প্রকাশিত হবে, আর প্রভু তাঁর মুখের তেজোময় নিঃশ্বাস এবং আবির্ভাবের মহিমা দ্বারা সেই পাপ পুরুষকে ধ্বংস করবেন।
9 শয়তানের শক্তিতে সেই পাপ পুরুষ আসবে। সে মহাপরাক্রমের সাহায্যে নানা ছলনাময়ী অলৌকিক কাজ, অদ্ভুত লক্ষণ ও চিহ্ন দেখাবে। 10 যারা বিনাশপথের যাত্রী তাদের ভ্রান্তিজনক বিষয়ে সে ভোলাবে। পরিত্রাণ পাবার জন্য যে সত্য রয়েছে তা ভালবাসতে যারা অস্বীকার করছে, তারাই সেই বিনাশপথের যাত্রী। 11 তাই ঈশ্বর ওদের মধ্যে এমন এক শক্তি পাঠিয়েছেন, যাতে ওরা ভুল কাজ করে। 12 তাই যারা সত্যে বিশ্বাস করল না, ও মন্দ বিষয়ে আনন্দ করল তারা বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবে।
তোমরা পরিত্রাণের জন্য মনোনীত
13 প্রভুর প্রিয় ভাই ও বোনেরা, তোমাদের জন্য আমাদের সর্বদা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। এইজন্য ঈশ্বর প্রথম থেকেই তোমাদের মনোনীত করেছিলেন যাতে আত্মায় পবিত্র হয়ে এবং সত্যকে বিশ্বাস সহকারে গ্রহণ করার মাধ্যমে তোমরা পরিত্রাণ পাও। 14 যে সুসমাচার আমরা প্রচার করেছিলাম তার মাধ্যমে ঈশ্বর তোমাদের আহ্বান করেছিলেন, যাতে তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মহিমার সহভাগী হতে পার। 15 তাই ভাই ও বোনেরা, শক্ত হয়ে দাঁড়াও, আর আমরা তোমাদের যে শিক্ষা দিয়েছি সে বিষয়েও বিশ্বাসে স্থির থাক। মৌখিকভাবে ও পত্রের দ্বারা এইসব বিষয়ে আমরা তোমাদের শিক্ষা দিয়েছিলাম।
16-17 আমরা প্রার্থনা করি যে স্বয়ং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট ও ঈশ্বর পিতা তোমাদের সান্ত্বনাদান করুন ও যা কিছু সৎ কাজ তোমরা কর ও বল তার জন্য শক্তি দান করুন। ঈশ্বর আমাদের ভালোবেসেছিলেন এবং তাঁর অনুগ্রহে আমাদের এক আশা ও সান্ত্বনা দিয়েছিলেন, যা চিরকাল বিরাজ করবে।
অপরের বিচারের বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
(লূক 6:37-38, 41-42)
7 “পরের বিচার করো না, তাহলে তোমার বিচারও কেউ করবে না। 2 কারণ যেভাবে তোমরা অন্যের বিচার কর, সেই ভাবে তোমাদেরও বিচার করা হবে; আর যেভাবে তুমি মাপবে সেই ভাবে তোমার জন্যও মাপা হবে।
3 “তোমার ভাইয়ের চোখে যে কুটো আছে কেবল তা-ই দেখছ; কিন্তু নিজের চোখের মধ্যে যে তক্তা আছে তা দেখতে পাও না? 4 যখন তোমার নিজের চোখেই একটা তক্তা রয়েছে তখন কিভাবে তোমার ভাইকে বলছ, ‘এস তোমার চোখ থেকে কুটোটা বার করে দিই?’ 5 ভণ্ড! প্রথমে তোমার নিজের চোখ থেকে তক্তাটা বার করে ফেলো, তাহলে তোমার ভাইয়ের চোখ থেকে কুটোটা বার করার জন্য স্পষ্ট দেখতে পাবে।
6 “কোন পবিত্র বস্তু কুকুরকে দিও না আর শুয়োরের সামনে তোমাদের মুক্তো ছুঁড়ো না, তাহলে সে তা পায়ের তলায় মাড়িয়ে নষ্ট করবে ও তোমার দিকে ফিরে তোমায় আক্রমণ করবে।
প্রয়োজনীয় বিষয়ের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা কর
(লূক 11:9-13)
7 “চাইতে থাক, তোমাদের দেওয়া হবে। খুঁজতে থাক, পাবে। দরজায় ধাক্কা দিতে থাক, তোমাদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হবে। 8 কারণ যে চাইতে থাকে সে পায়, যে খুঁজতে থাকে সে খুঁজে পায়, আর যে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে তার জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়।
9 “তোমার ছেলে যদি তোমার কাছে রুটি চায়, তবে তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে তার সন্তানকে রুটির বদলে পাথরের টুকরো দেবে? 10 যদি সে একটা মাছ চায় তবে বাবা কি তার হাতে একটা সাপ তুলে দেবে? নিশ্চয় না। 11 তোমরা মন্দ হয়েও যদি তোমাদের সন্তানদের ভাল ভাল জিনিস দিতে জানো, তবে তোমাদের স্বর্গের পিতা ঈশ্বরের কাছে যারা চায়, তাদের তিনি নিশ্চয়ই উৎকৃষ্ট জিনিস দেবেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান
12 “তাই অপরের কাছ থেকে তোমরা যে ব্যবহার প্রত্যাশা কর, তাদের প্রতিও তেমনি ব্যবহার কর। এটাই হল মোশির বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের শিক্ষার অর্থ।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International