Book of Common Prayer
দায়ূদের একটি গীত।
25 প্রভু, আমি নিজেকে আপনার হাতে সমর্পণ করেছি।
2 হে আমার ঈশ্বর, আমি আপনাতে আস্থা রাখি।
তাই আমাকে লজ্জিত করবেন না।
আমার শত্রুরা যেন আমার ওপর জয়লাভ না করে।
3 যদি কোন ব্যক্তি আপনার ওপর নির্ভর করে, সে কখনও হতাশাগ্রস্থ হবে না।
কিন্তু বিশ্বাসঘাতকরা হতাশ হবে।
তারা কিছুই পাবে না।
4 হে প্রভু, আপনার পথগুলি আমাকে দেখান।
আপনার পথ সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন।
5 আমায় পরিচালিত করুন এবং আপনার সত্য সম্পর্কে আমায় শিক্ষা দিন।
আপনিই আমার ঈশ্বর, আমার পরিত্রাতা।
প্রতিদিন আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
6 হে প্রভু, আমার প্রতি দয়া করে আমায় স্মরণ করবেন।
যে কোমল ভালোবাসা আপনি আমায় চিরদিন দিয়ে এসেছেন সেই ভালোবাসা আমার প্রতি প্রদর্শন করুন।
7 আমার তরুণ বয়সের কৃত কুকর্ম ও পাপ আপনি স্মরণে রাখবেন না।
হে প্রভু, আপনার সুনামের জন্য, আমায় ভালোবেসে স্মরণ করবেন।
8 প্রভু প্রকৃতপক্ষেই ভাল এবং সৎ।
তিনি পাপীদের ঠিক পথে জীবনযাপন করবার শিক্ষা দেন।
9 যারা বিনীত, তাদেরই তিনি তাঁর পথগুলি শেখান।
তিনি ন্যায়পথে তাদের পরিচালিত করেন।
10 প্রভুই রাজা, যারা তাঁর চুক্তি এবং প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করে
তিনি তাদের প্রতি সত্যনিষ্ঠ হন।
11 হে প্রভু, আমি অনেক পাপ কাজ করেছি।
কিন্তু আপনার মহত্ব দেখাবার জন্য, আমি যা যা করেছিলাম, সেগুলো সবই আপনি ক্ষমা করেছেন।
12 যদি কোন লোক প্রভুকেই অনুসরণ করবে বলে মনোনীত করে,
তাহলে ঈশ্বর তাকে বেঁচে থাকবার শ্রেষ্ঠ রাস্তা দেখাবেন।
13 সেই লোক ভাল জিনিস উপভোগ করতে পারবে,
এবং তাঁর সন্তানরা ঈশ্বরের প্রতিশ্রুত ভূখণ্ড পাবে।
14 প্রভু তাঁর গূঢ় কথা তাঁর অনুগামীদের বলেন।
তাঁর চুক্তি সম্পর্কে তিনি তাদের শিক্ষা দেন।
15 সাহায্যের জন্য আমি সর্বদাই প্রভুর দিকে চেয়ে থাকি।
তিনি সর্বদাই আমাকে সমস্যার জাল থেকে মুক্ত করেন।
16 হে প্রভু, আমি নিঃসহায় এবং নিঃসঙ্গ।
আমার দিকে মুখ ফেরান, আমায় কৃপা করুন।
17 আমাকে আমার সংকটসমূহ থেকে মুক্ত করুন।
আমার সমস্যাগুলির সমাধান করতে আমায় সাহায্য করুন।
18 আমার প্রচেষ্টা ও সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করুন।
আমার সকল পাপ থেকে আমায় ক্ষমা করে দিন।
19 আমার যেসব শত্রু আছে তাদের দিকে দেখুন।
তারা আমায় ঘৃণা করে, আমায় আঘাত করতে চায়।
20 হে ঈশ্বর, আমায় রক্ষা করুন এবং আমায় উদ্ধার করুন।
আমি আপনার ওপর নির্ভর করি।
দয়া করে আমায় হতাশ করবেন না।
21 হে ঈশ্বর, আপনি প্রকৃতই ভাল।
আমি আপনাতে নির্ভর করি, তাই আমায় রক্ষা করুন।
22 হে ঈশ্বর, ইস্রায়েলের লোকদের,
তাদের শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
পরিচালকের প্রতি: মুৎ-লব্বেন স্বরে দায়ূদের একটি গীত।
9 আমি আমার সমস্ত অন্তঃকরণ দিয়ে প্রভুর প্রশংসা করি।
প্রভু, আপনার সৃষ্টি করা প্রত্যেকটি আশ্চর্য কার্য সম্পর্কে আমি বলবো।
2 আপনি আমাকে অত্যন্ত সুখী করেছেন।
হে পরাৎপর ঈশ্বর, আমি আপনার নামের প্রশংসা করি।
3 আপনার কাছ থেকে আমার শত্রুরা দূরে পালিয়ে গেছে।
কিন্তু তাদের পতন হবে ও তারা বিনষ্ট হবে।
4 আপনি একজন সুবিচারক। আপনার সিংহাসনে আপনি ধর্ম বিচারকের মতই বসেছিলেন।
হে প্রভু, আপনি আমার অবস্থার কথা শুনেছিলেন এবং আমার সম্বন্ধে আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।
5 আপনি সেসব লোকের সমালোচনা করেছেন।
প্রভু, সেই সব দুষ্ট লোককে আপনি বিনষ্ট করেছেন।
যারা বেঁচে রয়েছে, তাদের নামের তালিকা থেকে আপনি সেই সব দুষ্ট লোকের নাম চিরদিনের জন্য মুছে দিয়েছেন।
6 শত্রুরা নিশ্চিহ্ন হয়েছে!
প্রভু, আপনি তাদের নগরসমূহ ধ্বংস করেছেন!
এখন শুধুমাত্র ভাঙা বাড়ীগুলো পড়ে আছে।
সেই সব দুষ্ট লোকদের কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবার মত কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
7 কিন্তু প্রভু চিরদিনের জন্য শাসন করেন।
প্রভু তাঁর রাজ্যকে শক্তিশালী করেছেন।
পৃথিবীতে ন্যায় আনবার জন্য তিনি এই কাজ করেছেন।
8 প্রভু পৃথিবীতে প্রত্যেককে ন্যায় বিচার দেন।
প্রভু সব জাতিদের সৎভাবে বিচার করেন।
9 বহু মানুষ তাদের নানাবিধ সমস্যার ফাঁদে আবদ্ধ এবং জর্জরিত।
তাদের সমস্যার ভারের নীচে তারা পিষ্ট হয়ে গেছে।
প্রভু, তাদের জন্য আপনি নিরাপদ স্থান হোন
যেন তারা আপনার কাছে যেতে পারে।
10 লোকেরা যারা আপনার নাম জানে
তারা আপনার ওপর বিশ্বাস রাখবে।
প্রভু, লোকজন যদি আপনার কাছে আসে,
আপনি তাদের সাহায্য না করে ফিরিয়ে দেবেন না।
11 হে সিয়োন-বাসীরা, তোমরা প্রভুর প্রশংসা কর।
প্রভুর মহৎ কর্মের কথা অন্যান্য জাতিকে বল।
12 যারা প্রভুর কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল
তিনি তাদের কথা মনে রেখেছেন।
সেই বঞ্চিত দরিদ্র লোকেরা সাহায্য প্রার্থনা করেছিল।
প্রভু তাদের ভুলে যান নি।
13 আমি ঈশ্বরের কাছে এই প্রার্থনা করেছিলাম: “প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন।
দেখুন, আমার শত্রুরা আমায় আঘাত করেছে।
আমাকে ‘মৃত্যুর ফটকগুলি’ থেকে রক্ষা করুন।
14 তাহলে, হে প্রভু, জেরুশালেম শহরের ফটকে আমি আপনার প্রশংসাগীত করতে পারবো।
এতে আমি সুখী হবো। কারণ আপনি আমায় রক্ষা করেছিলেন।”
15 অন্য সব জাতি, লোকদের ফাঁদে ফেলার জন্য মাটিতে গর্ত খুঁড়েছে।
কিন্তু তারা নিজেরাই নিজের ফাঁদে পড়ে গেছে।
অন্যসব লোকজনকে ধরবে বলে ওরা লুকিয়ে জাল পেতেছিল
কিন্তু ওরা নিজের জালেই ধরা পড়ে গেছে।
16 প্রভু ওই মন্দ লোকদের ধরেছেন।
তাই লোকজন জানতে পারলো, যারা মন্দ কাজ করে প্রভু তাদের শাস্তি দেন।
17 যারা ঈশ্বরকে ভুলে যায় তারাই মন্দ।
তারা পাতালে পতিত হবে।
18 কখনও কখনও এমন মনে হয় যে, সমস্যা জর্জরিত মানুষকে ঈশ্বর ভুলে গেছেন।
এমনও মনে হচ্ছে যে, এইসব দরিদ্র লোকদের কোন আশা বাকী নেই।
কিন্তু ঈশ্বর কখনই তাদের চিরদিনের মত ভোলেন না।
19 হে প্রভু, উঠুন এবং জাতিগণের বিচার করুন।
মানুষকে একথা ভাবতে দেবেন না যে তারা শক্তিশালী।
20 লোকদের কিছু শিক্ষা দিন।
তাদের একথা বুঝতে দিন যে তারা কেবলই মানুষ।
দায়ূদের একটি গীত।
15 প্রভু, কে আপনার পবিত্র তাঁবুতে থাকতে পারে?
কে আপনার পবিত্র পর্বতে থাকতে পারে?
2 একমাত্র তারাই পারে যারা পবিত্রভাবে জীবনযাপন করে, সৎ কাজ করে,
এবং তাদের অন্তর থেকে সত্য কথা বলে,
তারাই আপনার পবিত্র পর্বতে বাস করতে পারে।
3 এই ধরণের লোক, অন্যান্য মানুষ সম্পর্কে খারাপ কথা বলে না।
তারা তাদের প্রতিবেশীদের আঘাত করবার জন্য কোন কাজ করে না।
তারা তাদের খুব কাছের মানুষ সম্পর্কে লজ্জাজনক কিছু বলে না।
4 ঈশ্বরকে যারা খুশী করে না, তারা তাদের সম্মান করে না।
কিন্তু যারা প্রভুর সেবা করে, তারা তাদের সম্মান প্রদর্শন করে।
যদি তারা প্রতিবেশীর কাছে কোন প্রতিশ্রুতি করে,
তবে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে।
5 যদি তারা কাউকে টাকা ধার দেয়,
তারা সেই ঋণের জন্য সুদ চায় না।
এমনকি, কেউ যদি তাদের নির্দোষ লোকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবার জন্য টাকা দিতে চায়
তবু তারা সে কাজ করতে অস্বীকার করে।
যে কেউ এইভাবে জীবনযাপন করে, সে সর্বদাই ঈশ্বরের কাছে থাকবে।[a]
13 পরদিন মোশি লোকদের বিচার করতে বসল। বিচার সভায় এত লোক হয়েছিল যে সবাইকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হল।
14 মোশিকে লোকদের বিচার করতে দেখে যিথ্রো তাকে জিজ্ঞেস করল, “তুমি কেন একা বিচারকের দায়িত্ব পালন করছো? এবং সবাই সারাদিন ধরে কেনই বা শুধু তোমার কাছেই আসছে?”
15 তখন মোশি তার শ্বশুরকে বলল, “লোকরা আমার কাছে ঈশ্বরের সিদ্ধান্ত জানতে আসে। 16 যখন মানুষদের মধ্যে কোন বিবাদ তৈরী হয় তখন তারা আমার কাছে আসে। আমিই ঠিক করে দিই কে সঠিক আর কে বেঠিক। এই উপায়ে আমি মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের বিধি ও শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিই।”
17 কিন্তু মোশির শ্বশুর তাকে বলল, “এটা ঐ কাজের সঠিক উপায় নয়। 18 এটা তোমার একার কাজ নয়। তুমি একা এই কাজ করতে পারবে না। এভাবে তুমিও উদ্যম হারাবে এবং লোকরাও ক্লান্ত হয়ে পড়বে! 19 এখন মন দিয়ে আমার কথা শোন। আমার কিছু উপদেশ গ্রহণ করো। এবং আমি প্রার্থনা করি ঈশ্বর যেন সর্বদা তোমার সঙ্গে থাকেন। তুমি সর্বদা লোকদের সমস্যা শুনে যাবে এবং সেগুলো নিয়ে তুমি সর্বদা ঈশ্বরের কাছে বলবে। 20 তুমি ঈশ্বরের বিধি ও শিক্ষামালাকে লোকদের মধ্যে জাগিয়ে তুলবে। তাদের বলবে তারা যেন ঈশ্বর প্রদত্ত বিধিকে না ভাঙ্গে। তাদের বলবে সঠিক পথে চলতে। তাদের কি করা উচিৎ তাও বলে দেবে। 21 কিন্তু তোমাকে কিছু মানুষকে বিচারক হিসাবে এবং নেতা হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
“কিছু ভাল মানুষ যাদের তুমি বিশ্বাস করতে পারো তাদের নির্বাচন করো—তারা ঈশ্বরকে সম্মান করবে। তাদেরই নির্বাচন করবে যারা অর্থের জন্য নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করবে না এবং এদের মানুষদের শাসক হিসাবে তৈরি করো। 1000 জন প্রতি, 100 জন প্রতি, 50 জন প্রতি এবং 10 জন প্রতি শাসক মনোনীত করো। 22 এবার ঐ লোকেদের শাসনের ভার এই শাসকদের হাতে ছেড়ে দাও। যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ মামলা থাকে তাহলে সেই শাসকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তোমার কাছে আসবে। কিন্তু সাধারণ মামলার সিদ্ধান্তগুলি অবশ্য তারা নিজেরাই করে নেবে। এইভাবে তোমার বেশ কিছু কাজের ভার তারা বহন করবে এবং তার ফলে লোকদের নেতৃত্ব দিতে তোমারও সুবিধা হবে। 23 যদি তুমি এভাবে এগোতে পারো, আর ঈশ্বর যদি চান তাহলে তুমি তোমার দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে এবং একইভাবে লোকরাও তাদের সমস্যার সমাধান করে ঘরে ফিরে যেতে পারবে।”
24 যিথ্রো যা বলল মোশি তাই করল। 25 ইস্রায়েলের লোকদের থেকে কিছু ভাল লোককে সে মনোনীত করল। তারপর সে তাদের নেতা হিসেবে তুলে ধরল। মোশি প্রতি 1000 জনের জন্য, প্রতি 100 জনের জন্য, প্রতি 50 জনের জন্য, এবং প্রতি 10 জনের জন্য শাসক নিযুক্ত করল। 26 এরপর থেকে সেই প্রধানরাই সাধারণ লোকদের শাসন করতে শুরু করল। লোকদের মধ্যে বিবাদ দেখা দিলে তারা নিজের নিজের অঞ্চলের নির্দিষ্ট প্রধানের কাছে যেতে লাগল সমস্যা সমাধানের জন্য। কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কোন সমস্যা বা মামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হত মোশিকে।
27 কিছুদিন পর মোশি তার শ্বশুর যিথ্রোকে বিদায় জানাল এবং যিথ্রো তার দেশে ফিরে গেল।
ঈশ্বরের পাল
5 যারা মণ্ডলীর প্রাচীন তাদের কাছে এখন আমার এই বক্তব্য, আমি নিজেও একজন প্রাচীন হিসেবে খ্রীষ্টের দুঃখভোগের একজন সাক্ষী। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যে ঐশীমহিমা প্রকাশিত হবে আমি হব তার একজন অংশীদার। আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, 2 তোমাদের তত্ত্বাবধানে ঈশ্বরের যে পাল আছে তাদের দেখাশোনা কর। স্বেচ্ছায় তাদের পরিচর্যা কর, বাধ্য হয়ে নয় বা কিছু পাবার আশাতেও নয়, বরং স্বেচ্ছায় ও আগ্রহের সঙ্গে, ঈশ্বর যেমন চান। 3 যাদের দায়িত্বভার তোমরা পেয়েছ তাদের ওপর প্রভুত্ব চালিও না, কিন্তু পালের আদর্শ স্বরূপ হও। 4 যেদিন প্রধান পালক (খ্রীষ্ট) দেখা দেবেন সেদিন তোমরা নিশ্চয়ই সেই অম্লান মহিমাময় মুকুট লাভ করবে।
5 যুবকরা, তোমরা প্রাচীনদের অনুগত হও, আর নতনম্র হয়ে একে অপরের সেবা কর, কারণ
“ঈশ্বর অহঙ্কারীদের বিরোধিতা করেন;
কিন্তু নতনম্রদের অনুগ্রহ করেন।”(A)
6 তাই তোমরা ঈশ্বরের পরাক্রান্ত হাতের নীচে অবনত থাক, যেন ঠিক সময়ে তিনি তোমাদের উন্নীত করেন। 7 তোমাদের সমস্ত ভাবনা চিন্তার ভার তাঁকে দাও, কারণ তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন।
8 তোমরা সংযত ও সতর্ক থাক, তোমাদের মহাশত্রু দিয়াবল গর্জনকারী সিংহের মত কাকে গ্রাস করবে তা খুঁজে বেড়াচ্ছে। 9 তোমরা দিয়াবলের প্রতিরোধ কর, বিশ্বাসে বলবান হও। তোমরা জান, সারা বিশ্বে তোমাদের বিশ্বাসী ভাইরাও এই রকম দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়েই দিন কাটাচ্ছে।
10 হ্যাঁ, তোমাদের দুঃখভোগ অল্পকালের জন্য; কিন্তু তারপর ঈশ্বর সব কিছু ঠিক করে দেবেন ও তোমাদের শক্তিশালী করে তুলবেন। তিনি পতন থেকে রক্ষা করার জন্য তোমাদের সাহায্য করবেন। তিনিই সেই ঈশ্বর যিনি সবাইকে অনুগ্রহ বিতরণ করেন। যীশু খ্রীষ্টে তাঁর অনন্ত মহিমার ভাগীদার হবার জন্য তিনি তোমাদের আহ্বান করেছেন। 11 যুগে যুগে তাঁরই পরাক্রম হোক্। আমেন।
শেষ শুভেচ্ছা
12 সীল, যাকে আমি খ্রীষ্টে বিশ্বস্ত ভাই বলে জানি তার মাধ্যমে তোমাদের কাছে এই সংক্ষিপ্ত চিঠি পাঠাচ্ছি। যেন তোমরা আশ্বস্ত ও উৎসাহিত হও। আমি একথা বলতে চাই, এই হচ্ছে ঈশ্বরের প্রকৃত অনুগ্রহ এবং সেই অনুগ্রহে দৃঢ়ভাবে স্থির থাক।
13 বাবিলের মণ্ডলী, যাকে ঈশ্বর তোমাদের সাথে মনোনীত করেছেন, তারা তাদের শুভেচ্ছা তোমাদের পাঠাচ্ছে এবং আমার পুত্র মার্কও শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। 14 প্রেমচুম্বনে পরস্পর মঙ্গলাচার কর।
তোমরা যারা খ্রীষ্টে আছ তাদের সবার কাছে শান্তি নেমে আসুক।
যীশু খ্রীষ্টের বংশ তালিকা
(লূক 3:23-38)
1 এই হল যীশু খ্রীষ্টের বংশ তালিকা। ইনি ছিলেন রাজা দায়ূদের বংশধর, দায়ূদ ছিলেন অব্রাহামের বংশধর।
2 অব্রাহামের ছেলে ইস্হাক।
ইস্হাকের ছেলে যাকোব।
যাকোবের ছেলে যিহূদা ও তার ভাইরা।
3 যিহূদার ছেলে পেরস ও সেরহ। (এদের মায়ের নাম তামর।)
পেরসের ছেলে হিষ্রোণ।
হিষ্রোণের ছেলে রাম।
4 রামের ছেলে অম্মীনাদব।
অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন।
নহশোনের ছেলে সল্মোন।
5 সল্মোনের ছেলে বোয়স। (এঁর মায়ের নাম রাহব।)
বোয়সের ছেলে ওবেদ। এর মায়ের নাম রূৎ।
ওবেদের ছেলে যিশয়।
6 যিশয়ের ছেলে রাজা দায়ূদ।
দায়ূদের ছেলে রাজা শলোমন। (এর মা ছিলেন ঊরিয়ের বিধবা স্ত্রী।)
7 শলোমনের ছেলে রহবিয়াম।
রহবিয়ামের ছেলে অবিয়।
অবিয়ের ছেলে আসা।
8 আসার ছেলে যিহোশাফট।
যিহোশাফটের ছেলে যোরাম।
যোরামের ছেলে উষিয়।
9 উষিয়ের ছেলে যোথম।
যোথমের ছেলে আহস।
আহসের ছেলে হিষ্কিয়।
10 হিষ্কিয়ের ছেলে মনঃশি।
মনঃশির ছেলে আমোন।
আমোনের ছেলে যোশিয়।
11 যোশিয়ের ছেলে যিকনিয় ও তার ভাইরা। বাবিলে ইহুদীদের নির্বাসনের সময় এঁরা জন্মেছিলেন।
12 যিকনিয়ের ছেলে শল্টীয়েল। ইনি বাবিলে নির্বাসনের পর জন্মেছিলেন। শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল।
13 সরুব্বাবিলের ছেলে অবীহূদ।
অবীহূদের ছেলে ইলীয়াকীম।
ইলীয়াকীমের ছেলে আসোর।
14 আসোরের ছেলে সাদোক।
সাদোকের ছেলে আখীম।
আখীমের ছেলে ইলীহূদ।
15 ইলীহূদের ছেলে ইলিয়াসর।
ইলিয়াসরের ছেলে মত্তন।
মত্তনের ছেলে যাকোব।
16 যাকোবের ছেলে যোষেফ।
এই যোষেফই ছিলেন মরিয়মের স্বামী
এবং মরিয়মের গর্ভে যীশুর জন্ম হয়, যাঁকে মশীহ বা খ্রীষ্ট বলে।
17 এইভাবে অব্রাহাম থেকে দায়ূদ পর্যন্ত মোট চৌদ্দ পুরুষ। দায়ূদের পর থেকে বাবিলে নির্বাসন পর্যন্ত মোট চৌদ্দ পুরুষ এবং বাবিলে নির্বাসনের পর থেকে খ্রীষ্টের আগমন পর্যন্ত মোট চৌদ্দ পুরুষ।
বাপ্তিস্মদাতা যোহনের কাজ
(মার্ক 1:1-8; লূক 3:1-9, 15-17; যোহন 1:19-28)
3 সেই সময় বাপ্তিস্মদাতা যোহন এসে যিহূদিয়ার প্রান্তর এলাকায় প্রচার করতে লাগলেন। 2 তিনি বললেন, “তোমরা মন ফেরাও, দেখ স্বর্গরাজ্য এসে পড়ল।” 3 এই যোহনের বিষয়েই ভাববাদী যিশাইয় বলেছিলেন:
“প্রান্তরে এক উচ্চ রব শোনা যাচ্ছে,
‘তোমরা প্রভুর পথ প্রস্তুত কর;
যে পথ দিয়ে তিনি যাবেন তা সমান কর।’”(A)
4 যোহন উটের লোমের তৈরী পোশাক পরতেন, কোমরে চামড়ার বেল্ট বাঁধতেন। পঙ্গপাল ও বনমধু ছিল তাঁর খাদ্য। 5 জেরুশালেম, সমগ্র যিহূদিয়া ও যর্দনের আশপাশের অঞ্চলের লোকেরা প্রান্তরে তাঁর কাছে আসতে লাগল। 6 তারা এসে নিজেদের পাপ স্বীকার করত আর তিনি তাদের যর্দন নদীতে বাপ্তাইজ করতেন।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International