Book of Common Prayer
দায়ূদের একটি ভজন।
145 হে আমার ঈশ্বর এবং রাজা, আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিনের জন্য এবং অনন্তকালের জন্য আমি আপনার নামকে আশীর্বাদ করি।
2 প্রতিদিন আমি আপনার প্রশংসা করি।
চিরদিনের জন্য আমি আপনার নামের প্রশংসা করি।
3 প্রভু মহান; লোকজন ভীষণভাবে তাঁর প্রশংসা করে।
যে সব মহৎ কাজ তিনি করেন, তা আমরা গুনতে পারি না।
4 প্রভু, আপনি যা করেন তার জন্য লোকজন চিরদিন আপনার প্রশংসা করবে।
আপনি যে মহৎ কাজ করেন তার সম্পর্কে তারা বলবে।
5 আপনার মহত্ব এবং মহিমা দুইই চমৎকার।
আপনার বিস্ময়কর কাজ সম্পর্কে আমি বলবো।
6 প্রভু, যে সব বিস্ময়কর কাজ আপনি করেন সে সম্পর্কে লোকে বলবে।
আপনি যে সব মহৎ কাজ করেন সে সম্পর্কে আমি বলবো।
7 আপনি যেসব ভালো কাজ করেন সে সম্পর্কে লোকরা বলবে।
লোকে আপনার ধার্ম্মিকতার গান গাইবে।
8 প্রভু দয়াময় এবং ক্ষমাশীল।
প্রভু স্থিতধী এবং প্রেমে পরিপূর্ণ।
9 প্রতিটি লোকের জন্যই প্রভু মঙ্গলকর।
প্রভু যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার প্রতিটি বস্তুর প্রতি তিনি করুণা প্রদর্শন করেন।
10 প্রভু, আপনি যা করেন, তাই আপনাকে প্রশংসা এনে দেয়।
আপনার অনুগামীরা আপনার প্রশংসা করে।
11 তারা বলে আপনার রাজত্ব কত মহৎ।
তারা আপনার মহত্ব সম্বন্ধে বলে।
12 তাই হে প্রভু, আপনি যে সব মহৎ কাজ করেন অন্য লোকেরা তা জানতে পারে
এবং তারা জানতে পারে আপনার রাজত্ব কত বিশাল এবং গৌরবময়।
13 প্রভু, আপনার রাজত্ব চির বিরাজমান থাকবে।
আপনি চিরদিনই রাজত্ব করবেন।
14 পতিত মানুষকে প্রভু উদ্ধার করেন।
যারা সমস্যায় পড়ে প্রভু তাদের সাহায্য করেন।
15 হে প্রভু, সমস্ত জীবিত প্রাণী তাদের খাদ্যের জন্য আপনার দিকে চেয়ে থাকে।
এবং যথাসময়ে আপনি তাদের খাদ্য দেন।
16 হে প্রভু, আপনি আপনার হাত খুলে দিন
এবং জীবিত প্রাণীদের যা কিছু প্রয়োজন তা দিন।
17 প্রভু যা কিছু করেন তা সবই ভালো।
যা কিছু তিনি করেন তা দেখিয়ে দেয় তিনি কত মঙ্গলকর এবং বিশ্বস্ত।
18 যারা তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করে, প্রভু ওই সব লোকের কাছেই থাকেন।
তিনি তাঁর উপাসকদের অন্তরঙ্গ।
19 তাঁর অনুগামীরা যা চান প্রভু তাই করেন।
তিনি ওদের প্রার্থনার উত্তর দেন এবং ওদের রক্ষা করেন।
20 যারা তাঁকে ভালোবাসে, প্রভু তাদের রক্ষা করেন।
কিন্তু মন্দ লোকদের প্রভু বিনাশ করেন।
21 আমি প্রভুর প্রশংসা করবো!
সব লোক যেন চিরদিন ধরে তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা করে।
104 হে আমার আত্মা প্রভুর প্রশংসা কর!
হে প্রভু আমার ঈশ্বর, আপনি মহান!
মহিমা এবং সম্মান সহ সজ্জিত।
2 যেমন করে মানুষ জামাকাপড় পরে, তেমন করে আপনি আলোক পরিধান করেন।
আপনিই আকাশকে পর্দার মত বিস্তৃত করেছেন।
3 ঈশ্বর তার ওপরে আপনি আপনার গৃহ নির্মাণ করেছেন।
ঘন মেঘকে রথের মত ব্যবহার করে,
বাতাসের ডানায় ভর করে আপনি সারা আকাশে ঘুরে বেড়ান।
4 ঈশ্বর, আপনার দূতদের আপনি বাতাসের মত
এবং আপনার দাসদের আগুনের মত করে সৃষ্টি করেছেন।[a]
5 ঈশ্বর, পৃথিবীকে আপনি তার শক্ত ভিতের ওপর নির্মাণ করেছেন,
তাই পৃথিবী কখনও পড়ে যাবে না।
6 কম্বলের মত আপনি তাকে জল দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন।
জলরাশি পর্বতকে ঢেকে দিয়েছে।
7 কিন্তু আপনি নির্দেশ দিয়েছিলেন তাই জলও সরে গিয়েছিলো।
ঈশ্বর আপনি জলের দিকে চেয়ে উচ্চস্বরে নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং জলরাশি সরে গিয়েছিলো।
8 সেই জলরাশি পর্বতসমূহ থেকে বয়ে গিয়ে পড়েছিলো উপত্যকার মধ্যে
এবং তারপর তার জন্য যে নির্দিষ্ট জায়গা আপনি তৈরী করেছিলেন সেখানে ঝরে পড়েছিলো।
9 আপনিই সমুদ্রের সীমা নির্ধারণ করেছেন।
অতএব, জলরাশি আর অত উঁচুতে উঠবে না যাতে পৃথিবী পুনরায় ঢেকে যেতে পারে।
10 ঈশ্বর, আপনিই প্রস্রবণের জলকে নদীর ধারায় প্রবাহিত করিয়েছেন।
পার্বত্য ধারা বেয়ে তা নীচে নেমে আসে।
11 সেই জলধারা সব বন্য প্রাণীদের পানীয় জল দেয়।
এমন কি বুনো গাধারাও এখানে জল পান করতে আসে।
12 জলের ধারে বুনো পাখিরা বাস করতে আসে,
কাছাকাছি গাছের ডালে বসে তারা গান গায়।
13 ঈশ্বর পর্বত বেয়ে বৃষ্টি পাঠান।
যে সব জিনিস ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন সেগুলি পৃথিবীর যা কিছু প্রয়োজন তার সবই জোগান দেয়।
14 পশুদের জন্য তিনি ঘাস দিয়েছেন।
আমরা আমাদের কঠিন পরিশ্রম দিয়ে যে উদ্ভিদগুলি রোপন করি তাও তিনিই দেন, ওই সব গাছ মাটি থেকে আমাদের খাদ্য দেয়।
15 যে দ্রাক্ষারস আমাদের সুখী করে,
যে তেল আমাদের চামড়া নরম রাখে,
যে খাদ্য আমাদের শক্তিশালী করে সে সবই ঈশ্বর আমাদের দেন।
16 লিবানোনের মস্ত বড় এরস গাছগুলো ঈশ্বরের।
প্রভুই ওই গাছগুলো লাগিয়েছেন এবং ওদের প্রয়োজনীয় জল তিনিই দিয়েছিলেন।
17 ওই গাছগুলোতে চড়ুই থেকে শুরু করে
সারস পর্যন্ত সব পাখি বাসা করেছে।
18 উঁচু পর্বতে বুনো ছাগলরা থাকে।
বিশাল বিশাল পাথরের মধ্যে পাহাড়ী ভোঁদড় লুকিয়ে থাকে।
19 হে ঈশ্বর, কবে ছুটি শুরু হবে তা বলে দেওয়ার জন্য আপনি আমাদের চাঁদ দিয়েছেন।
এবং কখন অস্ত যেতে হবে সূর্য তা সব সময়েই জানে।
20 রাত্রি হবার জন্য আপনি অন্ধকার সৃষ্টি করেছেন,
সেই সময় হিংস্র পশুরা বেরিয়ে আসে এবং ঘুরে বেড়ায়।
21 আক্রমণের সময় সিংহ গর্জন করে ওঠে,
ঈশ্বর যে খাদ্য তাদের দেন তা যেন তারা গর্জন করে চাইতে থাকে।
22 তারপর সূর্য ওঠে
এবং পশুরা তাদের ঘরে গিয়ে বিশ্রাম করে।
23 তারপর লোকরা যে যার কাজে যায়
এবং তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে।
24 হে ঈশ্বর, আপনি অনেক বিস্ময়কর কাজ করেছেন।
আপনার সৃষ্ট জিনিসে এই পৃথিবী পূর্ণ।
আপনি যা কিছু করেন, তার মধ্যে আমরা আপনার প্রজ্ঞা দেখি।
25 সাগরের দিকে দেখ তা কত বড়!
সাগরের মধ্যে কত রকম ছোট
এবং বড় প্রাণীসমূহ আছে যা গোনা যায় না!
26 আপনার সৃষ্ট লিবিয়াথন যখন সমুদ্রে খেলা করে,
তখন জাহাজসমূহ সমুদ্র পারাপার করে।
27 ঈশ্বর, ওই সব জিনিসই আপনার ওপর নির্ভর করে।
যথাসময়ে আপনি ওদের খাদ্য দেন।
28 সব জীবন্ত প্রাণীকেই আপনি তাদের আহারের খাদ্য দেন।
ভালো ভালো খাবারে ভর্ত্তি করে আপনি আপনার করযুগল উন্মুক্ত করেন এবং তারা সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আহার করে যায়।
29 কিন্তু যখন আপনি ওদের থেকে বিমুখ হন ওরা ভয় পেয়ে যায়।
ওদের আত্মা ওদের ছেড়ে যায়, ওরা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মারা যায় এবং ওদের দেহ আবার ধূলোয় পরিণত হয়!
30 কিন্তু যখন আপনি আপনার আত্মাকে পাঠালেন, প্রভু, তখন ওরা আবার স্বাস্থ্যবান হল।
দেশটিকে আপনি আবার নতুন করে তোলেন!
31 প্রভুর মহিমা চিরদিন বিরাজ করুক!
ঈশ্বর যা সৃষ্টি করেছেন তা তিনি উপভোগ করুন।
32 প্রভু যদি একবার পৃথিবীর দিকে তাকান
পৃথিবী কেঁপে যাবে।
পর্বতকে তিনি স্পর্শ করলে
সেখান থেকে ধোঁয়া বেরোতে থাকবে।
33 আমার সারা জীবন আমি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে গান গাইব।
যতক্ষণ আমি বেঁচে থাকবো, আমি প্রভুর প্রশংসা গীত গাইব।
34 আমি যা বলেছি, তা যেন ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে।
প্রভুর সঙ্গ লাভ করে আমি খুশী।
35 পাপ যেন পৃথিবী থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
দুষ্ট লোকদের অস্তিত্ব যেন আর না থাকে।
হে আমার আত্মা, প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভুর প্রশংসা কর!
মিশর দেশ ত্যাগ করার যাত্রাপথ
17 ফরৌণ যখন লোকদের চলে যেতে দিলেন, ঈশ্বর তাদের পলেষ্টীয় দেশের মধ্যে দিয়ে ভূমধ্যসাগর বরাবর সহজ সমুদ্র পথ ব্যবহার করতে দেন নি, যদিও সেটা রাস্তা ছিল। ঈশ্বর বলেছিলেন, “ঐ দিক দিয়ে গেলে যুদ্ধ করতে হবে। তখন লোকরা মত পরিবর্তন করে আবার মিশরেই ফিরে যেতে পারে।”
18 তাই ঈশ্বর তাদের সূফ সাগরের দিকবর্তী মরুভূমির মধ্যে দিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। মিশর ত্যাগ করার সময় ইস্রায়েলের লোকরা যুদ্ধের পোশাকে নিজেদের সজ্জিত করল।
যোষেফ ঘরে গেল
19 মোশি যোষেফের অস্থি বয়ে নিয়ে চলল। (যোষেফ মারা যাবার আগে ইস্রায়েলের পুত্রদের এই কাজ করার প্রতিশ্রুতি করিয়ে নিয়েছিল। যোষেফ বলেছিল, “ঈশ্বর তোমাদের যখন রক্ষা করবেন তখন তোমরা মিশর দেশ থেকে আমার অস্থি সকল বয়ে নিয়ে এসো।”)
প্রভু তাঁর লোকদের নেতৃত্ব দিলেন
20 ইস্রায়েলীয়রা সুক্কোৎ ছেড়ে এসেছিল এবং এথমে, যেটা মরুভুমির কাছে ছিল, সেখানে তাঁবু গাড়ল। 21 প্রভু সেই সময় তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে এলেন। সেই যাত্রার সময় প্রভু পথ দেখানোর জন্য দিনের বেলায় লম্বা মেঘ স্তম্ভ এবং রাতের বেলায় আগুনের শিখা ব্যবহার করতেন। ঐ আগুনের শিখা রাতের বেলায় তাদের পথ চলার আলো যোগাতো। 22 লম্বা মেঘ স্তম্ভ সারাদিন তাদের সঙ্গে থাকত এবং রাতে থাকত আগুনের শিখা।
14 তারপর প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “ওদের বলো, মিগ্দোল এবং সূফ সাগরের মাঝখানে বাল্সফোনের সামনে রাত্রিযাপন করতে। 3 তাহলে ফরৌণ ভাববে যে ইস্রায়েলের লোকরা মরুভূমিতে হারিয়ে গেছে। ওদের আর কোথাও যাবার জায়গা নেই। 4 তখন আমি ফরৌণকে সাহসী করে তুলব যাতে সে তোমাদের তাড়া করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি ফরৌণ ও তার সেনাদের পরাজিত করব। এটা আমার সম্মান বাড়াবে। এবং মিশরের লোকরা তখন জানতে পারবে যে আমিই প্রভু।” ইস্রায়েলের লোকরা ঈশ্বরের কথামতোই কাজ করল।
বিশ্বাসে জীবন কাটানো
16 এইজন্য আমরা হতাশ হই না, কারণ যদিও আমাদের এই দেহ বিনাশপ্রাপ্ত হতে থাকছে তবু আমাদের অন্তরাত্মা দিনে দিনে নতুন হয়ে উঠছে। 17 বস্তুত আমাদের এই দুঃখ কষ্ট সাময়িক মাত্র। সাময়িক এই কষ্টভোগ আমাদের জীবনে নিয়ে আসবে শ্রেষ্ঠ শাশ্বত মহিমা যা আমাদের দুঃখ কষ্টের সঙ্গে তুলনার যোগ্য নয়। 18 তাই যা দেখা যায় তার দিকে লক্ষ্য না করে বরং যা যা দৃশ্যের অতীত তার ওপরই আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করি। যা যা দৃশ্যমান তা তো অল্পকালস্থায়ী: কিন্তু যা যা দৃশ্যাতীত তা চিরস্থায়ী।
5 আমরা জানি পৃথিবীতে আমরা তাঁবুর মত যে বাড়িতে বাস করি তা যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে আমাদের একটি ঈশ্বরদত্ত বাড়ি আছে, যে বাড়ি মানুষের তৈরী নয়, স্বর্গে সে বাড়ি চিরকাল ধরেই আছে। 2 বাস্তবিক আমরা এই তাঁবুতে থাকতে থাকতে কাতরভাবে আর্তনাদ করছি। আমরা মনেপ্রাণে কামনা করছি যে আমাদের স্বর্গীয় আবাস দিয়ে আমাদের ঢেকে দেওয়া হোক্। 3 কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে এই পোশাক পরবার পর দেখা যাবে যে আমরা উলঙ্গ নই। 4 বাস্তবে আমরা এই দেহের মধ্যে থেকে ভারাক্রান্ত হওয়াতে আর্তনাদ করছি। আমাদের বর্তমান (দেহরূপ) পোশাকটি ত্যাগ করার ইচ্ছা আমাদের নেই; বরং আমরা চাই যে নতুন (স্বর্গীয় দেহরূপ) পোশাকটি পুরাতনের ওপর পরি যাতে নশ্বর জীবন আবৃত হয়ে যায়। 5 আর এর জন্য ঈশ্বর আমাদের প্রস্তুত করেছেন। এইজন্য তিনি পবিত্র আত্মাকে আমাদের কাছে জামিনস্বরূপ পাঠিয়েছেন।
6 আমাদের মনে সর্বদা ভরসা আছে; আমরা জানি যতদিন এই দেহের ঘরে বাস করব ততদিন আমরা প্রভুর কাছ থেকে দূরে থাকব। 7 আমরা বিশ্বাসের দ্বারা চলি, বাইরের দৃশ্যের দ্বারা নয়। 8 তাই আমি বলি যে আমাদের নিশ্চিত ভরসা আছে এবং বাস্তবিক আমরা এই দেহ ত্যাগ করে, আমাদের প্রকৃত আবাস প্রভুর কাছে থাকাই ভাল মনে করি। 9 আমাদের লক্ষ্য এই যে আমরা এই দেহের ঘরে বাস করি বা না করি, আমরা যেন ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে চলি। 10 কারণ আমাদের সকলকে খ্রীষ্টের বিচারাসনের সামনে দাঁড়াতে হবে; আর এই নশ্বর দেহে বাস করার সময় আমরা ভাল বা মন্দ যা কিছু করেছি তার উপযুক্ত প্রতিদান আমাদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে।
কয়েকজন সদ্দূকী যীশুকে ফাঁদে ফেলতে চাইল
(মথি 22:23-33; লূক 20:27-40)
18 পরে কয়েকজন সদ্দূকী তাঁর কাছে এল যারা বলত পুনরুত্থান বলে কিছু নেই। তারা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, 19 “গুরু, মোশি আমাদের জন্য লিখেছেন, কারও ভাই যদি স্ত্রী রেখে মারা যায়, আর সে যদি কোন ছেলেমেয়ে না রেখে যায় তবে তার ভাই যেন ঐ বিধবাকে বিয়ে করে নিজের ভাইয়ের বংশ রক্ষা করে।[a] 20 সাত ভাই ছিল, প্রথম জন একজন স্ত্রীলোককে বিয়ে করল আর সে ছেলেমেয়ে না রেখে মারা গেল। 21 পরে দ্বিতীয় জন তাকে বিয়ে করল; কিন্তু সেও ছেলেমেয়ে না রেখে মারা গেল। তৃতীয় ভাই আগের ভাইয়ের মত বিয়ে করে ছেলেমেয়ে না রেখে মার গেল। 22 এই সাত ভাইয়ের কেউই কোন ছেলেমেয়ে রেখে যায় নি। সবশেষে সেই স্ত্রীলোকটিও মারা গেল। 23 মৃত্যুর পরে যখন তারা বেঁচে উঠবে, সে তাদের মধ্যে কার স্ত্রী হবে? কারণ তারা সাতজনই তো তাকে বিয়ে করেছিল।”
24 যীশু তাদের বললেন, “তোমরা কেন এই ভুলের মধ্যে রয়েছ? তোমরা না জান শাস্ত্র, না জান ঈশ্বরের শক্তির কথা। 25 কারণ মৃতদের মধ্যে থেকে পুনরুত্থিত হলে তারা বিয়ে করে না, বা তাদের বিয়ে দেওয়া হয় না, বরং তারা স্বর্গে স্বর্গদূতদের মতোই থাকে। 26 কিন্তু পুনরুত্থান হবে কিনা এ ব্যাপারে মোশির পুস্তকে লেখা জ্বলন্ত ঝোপের[b] অংশটিতে ঈশ্বর তাকে কি বলেছিলেন তা কি তোমরা পড় নি? তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস্হাকের ঈশ্বর এবং যাকোবের ঈশ্বর।’(A) 27 তিনি মৃতদের ঈশ্বর নন, জীবিতদেরই ঈশ্বর। তোমরা বড়ই ভুল করেছ।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International