Book of Common Prayer
পরিচালকের প্রতি: বাঁশীর সঙ্গে গাইবার জন্য দায়ূদের একটি গীত।
5 হে প্রভু, আমার কথা শুনুন।
আমি যা বলতে চাইছি তা বুঝে নিন।
2 হে আমার ঈশ্বর, হে রাজন,
আমার প্রার্থনা শুনুন।
3 হে প্রভু, প্রতিদিন সকালে আপনার সামনে আমার নৈবেদ্য রাখি এবং আপনার সাহায্য প্রার্থনা করি।
প্রতিদিন সকালে আপনি আমার প্রার্থনা শোনেন।
4 হে ঈশ্বর, মন্দ লোকরা আপনার কাছে থাকুক, এ আপনি চান না।
দুষ্ট লোকরা আপনার উপাসনা করে না।
5 বোকারা আপনার কাছে আসতে পারে না।
লোকদের মন্দ কাজ করাকে আপনি ঘৃণা করেন।
6 আপনি মিথ্যাবাদীদের বিনাশ করেন।
যারা অন্য লোকদের আঘাত করার জন্য গোপনে ফন্দি আঁটে সেইসব লোকদেরও আপনি ঘৃণা করেন।
7 কিন্তু প্রভু, আপনার বিশাল করুণাধন্য হয়ে, আমি আপনার মন্দিরে যাবো।
প্রভু আমার, আপনার প্রতি ভীতি এবং শ্রদ্ধাসহ আমি আপনার মন্দিরে মাথা নত করবো।
8 প্রভু আমার, আপনার সঠিক জীবনযাত্রা
আমার কাছে উদ্ঘাটন করুন।
লোকেরা আমার দুর্বলতা খুঁজছে।
তাই যেমনভাবে আমার বেঁচে থাকা উচিৎ তা আমায় দেখিয়ে দিন।
9 লোকজন সত্যি কথা বলে না।
তারা মিথ্যাবাদী, সত্যকে বিকৃত করে।
তাদের মুখ শূন্য কবরের মত।
তারা অন্য লোকদের ভালো ভালো কথা বলছে, তারা কেবল তাদের ফাঁদে ফেলতে চাইছে।
10 ঈশ্বর, ওদের শাস্তি দিন।
তাদের নিজেদের ফাঁদেই তাদের পড়তে দিন।
ঐসব লোকেরা আপনার বিরুদ্ধে গিয়েছে
অতএব ওদের বহু অন্যায়ের জন্য ওদের শাস্তি দিন।
11 কিন্তু সেই সব লোক যারা ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করে, তাদের সুখী করুন।
চিরদিনের জন্য সুখী করুন!
ঈশ্বর আমার, যারা আপনাকে ভালোবাসে, আপনি তাদের রক্ষা করুন ও শক্তি দিন।
12 হে প্রভু, সৎ লোকের জন্য আপনি যখন ভালো কাজ করেন,
তখন আপনি বিরাট বড় ঢালের মত তাদের রক্ষা করেন।
পরিচালকের প্রতি: শমীনীৎসহ তারবাদ্যে গাইবার জন্য দায়ূদের একটি গীত।
6 হে প্রভু, ক্রুদ্ধ অবস্থায় আমাকে সংশোধন করবেন না।
মহাক্রোধে আমাকে শাস্তি দেবেন না।
2 প্রভু, আমার প্রতি সদয় হোন,
আমি দুর্বল এবং অসুস্থ।
আমায় সুস্থ করে দিন
কারণ আমার হাড়গুলো নড়বড় করছে।
3 প্রভু আমার সারা দেহ টল্মল্ করছে।
প্রভু সুস্থ হতে আমার আর কতদিন লাগবে?
4 প্রভু ফিরে আসুন এবং আবার আমাকে শক্তিশালী এবং সবল করে দিন।
আপনার দয়াগুনে আমাকে পরিত্রাণ করুন।
5 মৃত লোকরা তাদের কবরে আপনাকে স্মরণ করে না।
মানুষ মৃত্যুর মুখে এসেও আপনার প্রশংসা করে না।
তাই আমায় সুস্থ করে দিন!
6 হে প্রভু, সারা রাত ধরে প্রার্থনা করে
আমি নিজেকে ক্ষয় করেছি।
আমার চোখের জলে
আমার বিছানা ভিজে গেছে।
7 আমার শত্রুরা আমাকে যা দুঃখ দিয়েছে
তার দরুণ কেঁদে কেঁদে আমার চোখ দুর্বল হয়ে গেছে।
8 মন্দ লোকরা, তোমরা চলে যাও।
কেন? কারণ প্রভু আমার কান্না শুনেছেন।
9 প্রভু আমার মিনতি শুনেছেন।
প্রভু আমার প্রার্থনা গ্রহণ করেছেন এবং আমায় উত্তর দিয়েছেন।
10 আমার সকল শত্রু হতাশ এবং নিরাশ হবে।
হঠাৎ একটা কিছু ঘটবে এবং ঐসব শত্রুরা লজ্জায় চলে যাবে।
10 প্রভু, আপনি এত দূরে থাকেন কেন?
সমস্যা জর্জরিত মানুষ আপনাকে দেখতে পায় না।
2 অহঙ্কারী এবং দুষ্ট লোকরা মন্দ ফন্দি আঁটছে
এবং তারা দরিদ্র লোকেদের আঘাত করে।
3 মন্দ লোকরা যা চায় তার বড়াই করে।
ঐসব লোভী লোকরা ঈশ্বরের নিন্দা করে।
এইভাবেই মন্দ লোকেরা প্রকাশ করে যে তারা প্রভুকে ঘৃণা করে।
4 মন্দ লোকরা ঈশ্বরকে অনুসরণ করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দাম্ভিক।
তারা রাশি রাশি মন্দ ফন্দি আঁটে।
তারা এমন ভাব করে যেন ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই।
5 মন্দ লোকরা সর্বদাই কুটিল কাজকর্ম করে।
এমনকি তারা ঈশ্বরের বিধিসকল ও মহান শিক্ষামালাকে লক্ষ্য করে না।[a]
ঈশ্বরের শত্রুরা তাঁর শিক্ষামালাকে উপেক্ষা করে।
6 ঐসব লোকজন মনে করে, কোনদিন ওদের খারাপ কিছু হবে না।
তারা বলে, “আমরা সব দিনই মজা করবো, আমাদের কোন শাস্তি হবে না।”
7 ঐসব লোকরা সর্বদা অভিশাপ দিচ্ছে।
অন্যান্য লোকজন সম্পর্কে তারা সর্বদাই কটু ও মিথ্যা কথা বলে চলেছে।
সর্বদাই তারা অহিতকর কাজ করার ফন্দি আঁটে।
8 ঐসব লোক অন্যান্য লোকদের ধরার জন্য গোপন স্থানে লুকিয়ে থাকে।
তারা লুকিয়ে থাকে, মানুষকে আঘাত করার জন্য খুঁজতে থাকে।
নির্দোষ লোকদের ওরা হত্যা করে।
9 মন্দ লোকরা সেই সব সিংহের মত
যারা তাদের আহার্য পশুকে ধরার জন্য ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করতে থাকে।
তারা দরিদ্র লোকদের আক্রমণ করে।
মন্দ লোকদের তৈরী ফাঁদে দরিদ্র লোকরা ধরা পড়ে।
10 ঐসব লোক হতভাগ্য ও বিড়ম্বিত মানুষকে
বার বার আঘাত করে।
11 এই কারণে ভাগ্যহত লোকরা ভাবে, “ঈশ্বর আমাদের ভুলেই গেছেন
আমাদের থেকে তিনি চিরদিনের জন্য বিমুখ হয়েছেন!
আমাদের ওপর যা যা ঘটে চলেছে প্রভু তা দেখছেন না!”
12 প্রভু জেগে উঠুন এবং কিছু করুন!
ঈশ্বর, ঐসব মন্দ লোককে শাস্তি দিন!
ঐসব বঞ্চিত দরিদ্র লোকদের ভুলে যাবেন না!
13 মন্দ লোকরা কেন ঈশ্বরকে অবজ্ঞা করে?
কারণ তারা ভাবে, ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন না।
14 প্রভু, মন্দ লোকরা যে সব নির্দয় ও অহিতকর কাজ করে, নিশ্চয় আপনি তা দেখতে পান।
ঐসবের দিকে দেখুন এবং কিছু করুন!
সমস্যাগ্রস্ত মানুষ আপনার সাহায্যের দিকে চেয়ে রয়েছে।
হে প্রভু, আপনিই সেইজন যিনি অনাথদের সাহায্য করেন।
অতএব তাদের সাহায্য করুন!
15 প্রভু, মন্দ লোকদের বিনাশ করুন।
16 প্রভু চিরকালের এবং অনন্তকালের রাজা।
বিদেশী জাতিগুলি তাঁর দেশ থেকে অদৃশ্য হয়েছে।
17 হে প্রভু, দরিদ্র লোকরা কি চায় তা আপনি শুনেছেন।
তাদের প্রার্থনা শুনুন এবং তারা যা চায় তাই করুন!
18 প্রভু পিতৃ-মাতৃহীন সন্তানদের রক্ষা করুন।
দুঃখী লোকেদের অধিক যন্ত্রণার সম্মুখীন করবেন না।
এমন করুন যেন মন্দ লোকরা এখানে থাকতে ভয় পায়।
পরিচালকের প্রতি: দায়ূদের গীত।
11 আমি প্রভুর ওপর বিশ্বাস রাখি। তবে কেন তোমরা আমায় দৌড়ে গিয়ে লুকিয়ে পড়ার পরামর্শ দিয়েছিলে?
তুমি আমায় বলেছিলে, “পাখীর মত তোমার পর্বতে উড়ে যেতে!”
2 মন্দ লোকরা শিকারীর মত, তারা অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে।
তারা ধনুকের ছিলা টেনে ধরে।
তারা তাদের তীর লোকের দিকে তাক করে এবং সাধু ও সৎ লোকের হৃদয়ে তা সরাসরি বিদ্ধ করে।
3 সমাজে ভিতগুলোই যদি নষ্ট হয়ে যায়,
তবে সৎ লোকরা কি করবে?
4 প্রভু তাঁর পবিত্র মন্দিরে রয়েছেন।
প্রভু স্বর্গে তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন।
এই পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে, তার সবই তিনি দেখতে পান।
লোকরা সত্যিকারের ভাল না মন্দ তা জানবার জন্য প্রভু লোকেদের খুব কাছ থেকে ভালভাবে নিরীক্ষণ করেন।
5 প্রভু সৎ লোকদের খোঁজেন।
কিন্তু হিংসাশ্রয়ী বদ লোকদের পরিত্যাগ করেন।
6 মন্দ লোকদের ওপর তিনি জ্বলন্ত কয়লা ও গন্ধক বর্ষণ করবেন।
ঐসব মন্দ লোক উত্তপ্ত ও অগ্নিময় বাতাস ছাড়া আর কিছুই পাবে না।
7 কিন্তু প্রভু ভালো। যেসব লোক ভাল কাজ করে তিনি তাদের ভালোবাসেন।
সৎ লোকরা তাঁরই সঙ্গে থাকবে এবং তাঁকে দেখতে পাবে।
পাপের শুরু
3 প্রভু ঈশ্বর যত রকম বন্য প্রাণী সৃষ্টি করেছিলেন সে সবগুলোর মধ্যে সাপ সবচেয়ে চালাক ছিল। সাপ সেই নারীর সঙ্গে একটা চালাকি করতে চাইল। একদিন সাপটা সেই নারীকে জিজ্ঞেস করল, “নারী, ঈশ্বর কি বাগানের কোনও গাছের ফল না খেতে সত্যিই আদেশ দিয়েছেন?”
2 তখন নারী সাপটাকে বলল, “না! ঈশ্বর তা বলেন নি! বাগানের সব গাছগুলো থেকে আমরা ফল খেতে পারি। 3 শুধু একটি গাছ আছে যার ফল কিছুতেই খেতে পারি না। ঈশ্বর আমাদের বলেছিলেন, ‘বাগানের মাঝখানে যে গাছটা আছে, তার ফল কোনমতেই খাবে না। এমন কি ঐ গাছটা ছোঁবেও না—ছুঁলেই মরবে।’”
4 কিন্তু সাপটা নারীকে বলল, “না, মরবে না। 5 ঈশ্বর জানেন, যদি তোমরা ঐ গাছের ফল খাও তাহলে তোমাদের ভালো আর মন্দের জ্ঞান হবে। আর তোমরা তখন ঈশ্বরের মত হয়ে যাবে!”
6 সেই নারী দেখল গাছটা সুন্দর এবং এর ফল সুস্বাদু, আর এই ভেবে সে উত্তেজিত হল যে ঐ গাছ তাকে জ্ঞান দেবে। তাই নারী গাছটার থেকে ফল নিয়ে খেল। তার স্বামী সেখানেই ছিল, তাই সে স্বামীকেও ফলের একটা টুকরো দিল আর তার স্বামীও সেটা খেল।
7 তখন সেই নারী ও পুরুষ দুজনের মধ্যেই একটা পরিবর্তন ঘটল। যেন তাদের চোখ খুলে গেল আর তারা সব কিছু অন্যভাবে দেখতে শুরু করল। তারা দেখল তাদের কোনও জামাকাপড় নেই। তারা উলঙ্গ। তাই তারা কয়েকটা ডুমুরের পাতা জোগাড় করে সেগুলোকে জুড়ে জুড়ে সেলাই করল এবং সেগুলোকে পোশাক হিসেবে পরল।
8 প্রভু ঈশ্বর বিকেল বেলা বাগানে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁর পায়ের শব্দ শুনে সেই পুরুষ ও নারী বাগানে গাছগুলির মাঝখানে গিয়ে লুকালো। 9 কিন্তু প্রভু ঈশ্বর পুরুষটিকে ডাকলেন, “তুমি কোথায়?”
10 পুরুষটি বলল, “আপনার পায়ের শব্দ শুনে ভয় পেলাম। আমি যে উলঙ্গ। তাই আমি লুকিয়ে আছি।”
11 প্রভু ঈশ্বর মানুষটিকে বললেন, “কে বলল যে তুমি উলঙ্গ? তোমার লজ্জা করছে কেন? যে গাছটার ফল খেতে আমি বারণ করেছিলাম তুমি কি সেই বিশেষ গাছের ফল খেয়েছ?”
12 সেই পুরুষ বলল, “আমার জন্য যে নারী আপনি তৈরী করেছিলেন সেই নারী গাছটা থেকে আমায় ফল দিয়েছিল, তাই আমি সেটা খেয়েছি।”
13 তখন প্রভু ঈশ্বর সেই নারীকে বললেন, “তুমি এ কি করেছ?”
সেই নারী বলল, “সাপটা আমার সঙ্গে চালাকি করেছে। সাপটা আমায় ভুলিযে দিল আর আমিও ফলটা খেয়ে ফেললাম।”
14 সুতরাং প্রভু ঈশ্বর সাপটাকে বললেন,
“তুমি ভীষণ খারাপ কাজ করেছ;
তার ফলে তোমার খারাপ হবে।
অন্যান্য পশুর চেয়ে
তোমার পক্ষে বেশী খারাপ হবে।
সমস্ত জীবন তুমি বুকে হেঁটে চলবে
আর মাটির ধুলো খাবে।
15 তোমার এবং নারীর মধ্যে
আমি শত্রুতা সৃষ্টি করব
এবং তার সন্তান-সন্ততি এবং তোমার সন্তান সন্ততির মধ্যে
এই শত্রুতা বয়ে চলবে।
তুমি কামড় দেবে তার সন্তানের পায়ে
কিন্তু সে তোমার মাথা চূর্ণ করবে।”
16 তারপর প্রভু ঈশ্বর নারীকে বললেন,
“তুমি যখন গর্ভবতী হবে,
আমি সেই দশাটাকে দুঃসহ করে তুলব,
তুমি অসহ্য ব্যথায়
সন্তানের জন্ম দেবে।
তুমি তোমার স্বামীকে আকুলভাবে কামনা করবে
কিন্তু সে তোমার উপরে কর্তৃত্ত্ব করবে।”
17 তারপর প্রভু ঈশ্বর পুরুষকে বললেন,
“আমি তোমায় ঐ গাছের ফল খেতে বারণ করেছিলাম।
তবু তুমি নারীর কথা শুনে নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়েছ।
তাই তোমার কারণে আমি এই ভূমিকে শাপ দেব।
ভূমি তোমাদের যে খাদ্য দেবে তার জন্যে এখন থেকে সারাজীবন তোমায় অতি কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।
18 ভূমি তোমার জন্য কাঁটাঝোপ জন্ম দেবে
এবং তোমাকে বুনো গাছপালা খেতে হবে।[a]
19 তোমার খাদ্যের জন্যে তুমি কঠোর পরিশ্রম করবে
যে পর্যন্ত না মুখ ঘামে ভরে যায়।
তুমি মরণ পর্যন্ত পরিশ্রম করবে,
তারপর পুনরায় ধূলি হয়ে যাবে।
আমি ধুলি থেকে তোমায় সৃষ্টি করেছি
এবং যখন তোমার মৃত্যু হবে পুনরায় তুমি ধূলিতে পরিণত হবে।”
20 আদম তার স্ত্রীর নাম রাখল হবা, কারণ সে সমস্ত জীবিত মানুষের জননী হল।
21 প্রভু ঈশ্বর পশুর চামড়া দিয়ে আদম ও হবার জন্য পোশাক বানিয়ে তাদের পরিয়ে দিলেন।
22 প্রভু ঈশ্বর বললেন, “দেখ, ওরা এখন ভালো আর মন্দ বিষয়ে জেনে আমাদের মত হয়ে গেছে। এখন মানুষটা জীবনবৃক্ষের ফল পেড়েও খেতে পারে। আর তা যদি খায় তাহলে ওরা চিরজীবি হবে।”
23 সুতরাং প্রভু ঈশ্বর মানুষকে এদন উদ্যান ত্যাগ করতে বাধ্য করলেন। যে ভুমি থেকে আদমকে তৈরী করা হয়েছিল, বাধ্য হয়ে সে সেই ভুমিতেই কাজ করতে থাকল। 24 প্রভু ঈশ্বর মানুষকে ঐ উদ্যান থেকে তাড়িয়ে দিলেন। প্রভু করূব দূতদের উদ্যানের প্রবেশ পথে পাহারায় রাখলেন এবং তিনি আগুনের একটা তরবারিকেও সেখানে রাখলেন। জীবনবৃক্ষের কাছে যাবার পথটি পাহারা দেবার জন্য ঐ তরবারিটি চারদিকে জ্বলজ্বল করছিল।
আমাদের পরিত্রাণ বিধি-ব্যবস্থা থেকে মহান
2 এই জন্য যে বাণী আমরা শুনেছি, তাতে আরো ভালভাবে মন দেওয়া আমাদের উচিত, যেন আমরা তার প্রকৃত পথ থেকে বিচ্যুত না হই। 2 যে শিক্ষা স্বর্গদূতদের মুখ দিয়ে ঈশ্বর জানিয়েছিলেন ও যা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছিল, সেই শিক্ষা যখনই ইহুদীরা অমান্য করে অবাধ্যতা দেখিয়েছে—তাদের শাস্তি হয়েছে, 3 তখন এমন মহত্ এই পরিত্রাণ যা আমাদেরই জন্য এসেছে তা অগ্রাহ্য করলে আমরা কিভাবে রক্ষা পাব? এই পরিত্রাণের কথা প্রভু স্বয়ং ঘোষণা করেছিলেন; আর যাঁরা তাঁর কাছ থেকে এই বাণী শুনেছিল, তারাই আমাদের কাছে এই পরিত্রাণের সত্যতা প্রমাণ করল। 4 ঈশ্বরও নানা সঙ্কেত, আশ্চর্যজনক কাজ, অলৌকিক ঘটনা ও মানুষকে দেওয়া পবিত্র আত্মার নানা বরদানের মাধ্যমে তাঁর ইচ্ছানুয়াযী এবিষয়ে সাক্ষ্য রেখেছেন।
খ্রীষ্ট তাদের রক্ষার্থে মানুষের মতো হয়েছিলেন
5 বাস্তবিক যে জগতের বিষয়ে আমরা বলছি, ঈশ্বর সেই ভাবী জগতকে তাঁর স্বর্গদূতদের কর্তৃত্ত্বাধীন রাখেন নি। 6 এটা শাস্ত্রের কোন এক জায়গায় লেখা আছে:
“হে ঈশ্বর, মানুষ এমন কি যে
তার বিষয়ে তুমি চিন্তা কর?
অথবা মানবসন্তানই বা কে
যে তুমি তার কথা ভাব?
7 তুমি তাকে অল্প সময়ের জন্যই স্বর্গদূতদের থেকে নীচুতে রেখেছিলে;
কিন্তু তুমি তাকেই পরালে সম্মান ও মহিমার মুকুট।
8 আর সব কিছুই তুমি রাখলে তার পদতলে।”(A)
সবকিছু তার অধীন করাতে কোন কিছুই তার কর্তৃত্বের বাইরে রইল না, যদিও এখন আমরা অবশ্য সব কিছু তার অধীনে দেখছি না। 9 কিন্তু আমরা যীশুকে দেখেছি, যাঁকে অল্পক্ষণের জন্য স্বর্গদূতদের থেকে নীচে স্থান দেওয়া হয়েছিল। সেই যীশুকেই এখন সম্মান আর মহিমার মুকুট পরানো হয়েছে। কারণ তিনি মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করেছেন এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহে সকল মানুষের জন্য মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন।
10 কেবল ঈশ্বরই সেই জন যাঁর দ্বারা সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে এবং সবকিছুই তাঁর মহিমার জন্য, তাই অনেক সন্তানকে তাঁর মহিমার ভাগীদার করতে ঈশ্বর প্রয়োজনীয় কাজটিই করলেন। তিনি তাদের পরিত্রাণের প্রবর্তক যীশুকে নির্যাতন ভোগের মাধ্যমে সিদ্ধ ত্রাণকর্তা করেছেন।
যোহন যীশু সম্পর্কে লোকেদের বললেন
(মথি 3:1-12; মার্ক 1:1-8; লূক 3:1-9, 15-17)
19 জেরুশালেমের ইহুদীরা কয়েকজন যাজক ও লেবীয়কে যোহনের কাছে পাঠালেন। তাঁরা এসে যোহনকে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কে?” 20 যোহন একথার জবাব খোলাখুলিভাবেই দিলেন; তিনি উত্তর দিতে অস্বীকার করলেন না। তিনি স্পষ্টভাবে স্বীকার করলেন, “আমি সেই খ্রীষ্ট নই।”
21 তখন তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তাহলে আপনি কে? আপনি কি এলিয়?”
যোহন বললেন, “না, আমি এলিয় নই।”
ইহুদীরা জিজ্ঞেস করলেন, “তবে আপনি কি সেই ভাববাদী?”
যোহন এর জবাবে বললেন, “না।”
22 তখন তাঁরা বললেন, “তাহলে আপনি কে? আমাদের বলুন যাতে যারা আমাদের পাঠিয়েছে তাদের জবাব দিতে পারি। আপনার নিজের বিষয়ে আপনি কি বলেন?”
23 ভাববাদী যিশাইয় যা বলেছিলেন তা উল্লেখ করে যোহন বললেন,
“আমি তাঁর রব, যিনি মরু প্রান্তরে চিৎকার করে বলছেন,
‘তোমার প্রভুর জন্য পথ সোজা কর!’”(A)
24 যাদের পাঠানো হয়েছিল তাদের মধ্যে কিছু ফরীশী সম্প্রদায়ের লোক ছিল। 25 তাঁরা যোহনকে বললেন, “আপনি যদি সেই খ্রীষ্ট নন, এলিয় নন, ভাববাদীও নন, তাহলে আপনি বাপ্তাইজ করছেন কেন?”
26 এর উত্তরে যোহন বললেন, “আমি জলে বাপ্তাইজ করছি। তোমাদের মধ্যে একজন দাঁড়িয়ে আছেন যাঁকে তোমরা চেন না। 27 তিনিই সেই লোক যিনি আমার পরে আসছেন। আমি তাঁর পায়ের চটির ফিতে খোলবার যোগ্য নই।”
28 যর্দন নদীর অপর পারে বৈথনিয়াতে যেখানে যোহন লোকেদের বাপ্তাইজ করছিলেন, সেইখানে এইসব ঘটেছিল।
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International