Book of Common Prayer
117 তোমরা জাতিসকল, প্রভুর প্রশংসা কর।
তোমরা সব লোকেরা, প্রভুর প্রশংসা কর।
2 প্রভু আমাদের খুব ভালোবাসেন!
এবং প্রভু চিরদিনই আমাদের প্রতি সৎ থাকবেন।
প্রভুর প্রশংসা কর!
118 প্রভুকে সম্মান কর, কারণ তিনিই ঈশ্বর।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!
2 ইস্রায়েল এই কথা বল,
“তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
3 যাজকরা তোমরা বল,
“তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
4 তোমরা লোকেরা যারা প্রভুকে উপাসনা কর,
তোমরা বলো, “তাঁর প্রকৃত প্রেম চির প্রবহমান থাকে!”
5 আমি সমস্যায় পড়েছিলাম তাই সাহায্যের জন্য আমি প্রভুকে ডেকেছিলাম।
প্রভু আমায় উত্তর দিয়েছেন এবং আমায় মুক্ত করেছেন।
6 আমার সঙ্গে প্রভু আছেন, তাই আমি ভয় পাবো না।
লোকেরা আমাকে আহত করার জন্য কিছু করতে পারে না।
7 প্রভুই আমার সহায়।
আমি আমার শত্রুদের পরাজিত দেখবো।
8 মানুষকে বিশ্বাস করার থেকে
প্রভুকে বিশ্বাস করা অনেক ভালো।
9 তোমাদের নেতাদের বিশ্বাস করা থেকে
প্রভুকে বিশ্বাস করা অনেক ভালো।
10 বহু শত্রু আমাকে ঘিরে ধরেছিল।
কিন্তু প্রভুর শক্তির দ্বারা আমি আমার শত্রুদের পরাজিত করেছি।
11 আমার শত্রুরা ক্রমাগত আমায় ঘিরেই যাচ্ছিল।
প্রভুর শক্তির সাহায্যে আমি ওদের পরাজিত করেছি।
12 ঝাঁক ঝাঁক মৌমাছির মত শত্রুরা আমায় ঘিরে ধরেছিলো।
কিন্তু দ্রুত জ্বলনশীল ঝোপের মত ওরা শেষ হয়ে গিয়েছিলো।
প্রভুর শক্তি দিয়ে আমি ওদের পরাজিত করেছি।
13 আমার শত্রুরা আমায় আক্রমণ করেছিলো এবং আমাকে প্রায় শেষ করে দিয়েছিলো।
কিন্তু প্রভু আমায় সাহায্য করেছিলেন।
14 প্রভুই আমার শক্তি এবং আমার জয়গান!
প্রভু আমায় রক্ষা করেন!
15 ধার্ম্মিক লোকেদের বাড়ীতে তুমি এই বিজয় উৎসব শুনতে পাবে।
প্রভু আবার তাঁর মহান শক্তি প্রদর্শন করলেন।
16 প্রভুর বাহুগুলি জয়ে উত্তোলিত।
তিনি আবার একবার তাঁর মহান শক্তি দেখালেন।
17 আমি মরবো না, আমি বেঁচে থাকবো
এবং প্রভু কি করেছেন তা আমি বলবো।
18 প্রভু আমায় শাস্তি দিয়েছেন,
কিন্তু তিনি আমায় মরতে দেন নি।
19 ন্যায়ের সিংহদ্বারগুলি আমার জন্য খুলে যাও,
আমি প্রভুর উপাসনা করতে ভেতরে আসবো।
20 ওইগুলো প্রভুর দ্বার।
একমাত্র ধার্ম্মিক লোকরাই ওর মধ্যে দিয়ে যেতে পারে।
21 হে প্রভু, আমার প্রার্থনার উত্তর দেওয়ার জন্য
এবং আমাকে রক্ষা করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
22 যে পাথরটিকে স্থপতিরা চায় নি, সেটাই হয়ে গেল মুখ্য প্রস্তর।
23 প্রভু এটি করেছেন
এবং এটি দেখতে অদ্ভুত লাগছে!
24 আজকের দিন সেই দিন যা প্রভু সৃষ্টি করেছেন।
আজ আমাদের আনন্দ করতে দিন, সুখী হতে দিন।
25 লোকেরা বললো, “প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভু আমাদের রক্ষা করেছেন!
26 সেই লোকটিকে স্বাগত জানাও, যে প্রভুর নাম নিয়ে আসছে।”
যাজকরা উত্তর দিয়েছিলো, “আমরা তোমাকে প্রভুর গৃহে স্বাগত জানাই!
27 প্রভুই ঈশ্বর এবং তিনি আমাদের গ্রহণ করেন।
বলির জন্য একটা মেষ বাঁধ এবং সেটাকে বেদীর কোণে নিয়ে চল।”
28 প্রভু, আপনিই আমার ঈশ্বর, আপনাকে ধন্যবাদ দিই।
আমি আপনার প্রশংসা করি!
29 প্রভুর প্রশংসা কর! কারণ তিনি মঙ্গলময়।
তাঁর প্রকৃত প্রেম চিরন্তন।
112 প্রভুর প্রশংসা কর!
সেই ব্যক্তি যে প্রভুকে ভয় ও শ্রদ্ধা করে সে খুব সুখী হবে।
সেই ব্যক্তি ঈশ্বরের আজ্ঞা পছন্দ করে।
2 তার উত্তরপুরুষরা এই পৃথিবীতে মহৎ হবে।
সৎ লোকদের উত্তরপুরুষরা সত্যিকারের ধন্য হবে।
3 সেই ব্যক্তির পরিবার প্রচণ্ড ধনী হবে
এবং তার ধার্মিকতা চিরদিন বজায় থাকবে।
4 সৎ লোকদের কাছে ঈশ্বর অন্ধকারে প্রতিভাত একটি আলোর মত।
ঈশ্বর দয়াময়, ক্ষমাশীল এবং ভালো।
5 একজন ব্যক্তির পক্ষে দয়ালু এবং উদার হওয়া ভালো।
একজন ব্যক্তির পক্ষে তার কর্মে সৎ থাকা ভালো।
6 সেই ব্যক্তির কোনদিন পতন হবে না।
একজন ধার্মিক ব্যক্তিকে চিরদিন স্মরণ করা হবে।
7 সে দুঃসংবাদে ভীত হবে না।
সে তার নিজের বিশ্বাসে দৃঢ় কেননা সে প্রভুতে আস্থা রাখে।
8 সেই ব্যক্তি নিজের বিশ্বাসে দৃঢ়।
সে কখনও ভয় পাবে না, সুতরাং সে তার শত্রুদের পরাজিত করবে।
9 সেই ব্যক্তি দরিদ্রদের মুক্তহস্থে দান করে
এবং তার ধার্মিকতা চিরদিন বজায় থাকবে।
সে বিরাট সম্মান পাবে।
10 দুষ্ট লোকরা এইসব দেখে রেগে যায়।
ওরা রাগে দাঁত কড়মড় করতে থাকে কিন্তু তারপর ওরা অদৃশ্য হয়ে যায়।
যা সব থেকে বেশী করে দুষ্ট লোকরা চায় তা ওরা পাবে না।
113 প্রভুর প্রশংসা কর!
প্রভুর দাসরা, তাঁর প্রশংসা কর!
প্রভুর নামের প্রশংসা কর।
2 প্রভুর নাম এখনকার জন্য এবং চিরকালের জন্য ধন্য হোক্।
3 যেখানে পূর্বদিকে সূর্যোদয় হয়
সেখান থেকে শুরু করে পশ্চিমে যেখানে সূর্য অস্ত যায় সেখান পর্যন্ত প্রভুর নামের প্রশংসা হোক্।
4 প্রভু, সমস্ত জাতিগুলির উর্দ্ধে।
তাঁর মহিমা আকাশ পর্যন্ত যায়।
5 কোন ব্যক্তিই আমাদের প্রভু ঈশ্বরের মত নয়।
ঈশ্বর স্বর্গের উঁচু আসনে বসেন।
6 ঈশ্বর আমাদের থেকে এত উঁচুতে আছেন যে আকাশ ও পৃথিবীকে দেখতে হলে
তাঁকে নীচের দিকে তাকাতে হয়।
7 ঈশ্বর দরিদ্র লোকদের ধূলো থেকে ওপরে তোলেন।
আস্তাকুঁড় থেকে ঈশ্বর ভিখারীদের তুলে আনেন।
8 এবং সেই সব লোকদের ঈশ্বর খুব গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেন।
ঈশ্বর তাদের লোকদের ওপর নেতৃত্ব করবার জন্য উচ্চ স্থানগুলি দেন।
9 একজন নারীর কোন সন্তান না থাকতে পারে।
কিন্তু ঈশ্বর তাকে সন্তান দেন ও সুখী করেন।
প্রভুর প্রশংসা কর!
পাথর থেকে জল নির্গত হল
17 সমস্ত ইস্রায়েলীয়রা একসঙ্গে সীন মরুভূমি থেকে তাদের যাত্রা শুরু করল। প্রভু যেমনভাবে তাদের নেতৃত্ব দিলেন তারা সেইভাবে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতে শুরু করল। ঘুরতে ঘুরতে তারা রফীদীমে গিয়ে শিবির স্থাপন করল। সেখানে কোনও পানীয় জল ছিল না। 2 তাই ঐসব লোকরা আবার মোশির সঙ্গে তর্ক শুরু করল এবং বলল, “আমাদের পানীয় জল দাও।”
মোশি তাদের বলল, “তোমরা কেন আমার বিরোধিতা করছো? কেনই বা তোমরা প্রভুকে পরীক্ষা করছো?”
3 কিন্তু লোকরা তখন প্রচণ্ড তৃষ্ণার্ত ছিল। তাই তারা পুনরায় মোশির কাছে নালিশ জানাতে শুরু করল। তারা বলল, “কেন তুমি আমাদের মিশর থেকে বার করে আনলে? তুমি কি আমাদের, আমাদের সন্তানদের এবং গবাদি পশুদের পানীয় জলের অভাবে মারার জন্য মিশর থেকে বাইরে নিয়ে এসেছো?”
4 তারপর মোশি প্রভুর কাছে কেঁদে পড়ল এবং বলল, “আমি এদের নিয়ে কি করি? যদি এখুনি কিছু না করা যায় তাহলে এরা তো সত্যি সত্যি আমাকে পাথর দিয়ে মেরে ফেলবে।”
5 প্রভু মোশিকে বললেন, “কিছু প্রবীণ নেতাদের নিয়ে ইস্রায়েলের লোকের সামনে গিয়ে দাঁড়াও। সঙ্গে তোমার পথ চলার লাঠিকেও নেবে যে লাঠি দিয়ে তুমি নীল নদে আঘাত করেছিলে। 6 আমি তোমার সামনে হোরেব পর্বতের (সীনয় পর্বত) ওপর দাঁড়াব। পথ চলার লাঠি দিয়ে ঐ পাথরে আঘাত করো আর তখনই দেখবে পাথর থেকে জল বেরিয়ে আসছে। ঐ জল লোকরা পান করতে পারবে।”
মোশি তাই করল এবং ইস্রায়েলের প্রবীণ নেতারাও তা স্বচক্ষে দেখতে পেল। 7 মোশি ঐ স্থানের নাম দিল মঃসা ও মরীবা, কারণ ঐ স্থানেই ইস্রায়েলের লোকরা তার বিরোধিতা করেছিল এবং ঈশ্বরের পরীক্ষা নিয়েছিল। লোকজন চেয়েছিল প্রভু তাদের সঙ্গে আছেন কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে।
খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের দর্শন
15 কেউই ঈশ্বরকে দেখতে পায় না;
কিন্তু যীশুই অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি
এবং সমস্ত সৃষ্টির প্রথমজাত।
16 তাঁর পরাক্রমে সবকিছুই সৃষ্টি হয়েছে।
স্বর্গে ও মর্ত্যে, দৃশ্য ও অদৃশ্য যা কিছু আছে,
সমস্ত আত্মিক শক্তি, প্রভুবৃন্দ, শাসনকারী কর্তৃত্ত্ব,
সকলই তাঁর দ্বারা ও তাঁর নিমিত্ত সৃষ্ট হয়েছে।
17 সবকিছুর পূর্বেই খ্রীষ্টের অস্তিত্ব ছিল;
তাঁর শক্তিতেই সব কিছু স্থিতিশীল আছে।
18 খ্রীষ্ট হলেন দেহের মস্তক আর সেই দেহ হচ্ছে মণ্ডলী।
সব কিছুর আদি তিনি,
মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিতদের মধ্যে তিনি প্রথম,
তাই সব কিছুতেই তাঁর স্থান প্রথম।
19 তাই ঈশ্বর তাঁর সমস্ত পূর্ণতায় খ্রীষ্টে বাস করে খুশী হয়েছিলেন,
20 আর খ্রীষ্টের ক্রুশের ওপর পতিত রক্তের দ্বারা শান্তি স্থাপন করে কি স্বর্গের,
কি মর্ত্যের সব কিছু খ্রীষ্টের মাধ্যমে তাঁর কাছে পুনরায় ফিরিয়ে এনেছিলেন।
21 এক সময় তোমরা ঈশ্বর থেকে আলাদা ছিলে। তোমরা তোমাদের চিন্তায় ও তোমাদের কুকর্মের জন্য ঘোর ঈশ্বর বিরোধী ছিলে। 22 এখন খ্রীষ্টের পার্থিব দেহের দ্বারা ঈশ্বর তোমাদের তাঁর সঙ্গে পুনর্মিলিত করেছেন, যাতে তিনি তোমাদের ঈশ্বরের সাক্ষাতে পবিত্র, নির্দোষ ও নিষ্কলঙ্করূপে উপস্থিত করতে পারেন। 23 তোমরা যে সুসমাচার শুনেছ যদি তা বিশ্বাস করে স্থির থাক এবং সুসমাচার থেকে যে প্রত্যাশা তোমরা পেয়েছ তা থেকে যদি সরে না যাও তবে খ্রীষ্ট এসব সম্পন্ন করবেন। জগতের সর্বত্র সমস্ত লোকের কাছে সেই একই সুসমাচার প্রচারিত হয়েছে। আমি পৌল সেই সুসমাচারের দাস হয়েছি।
যীশু পবিত্র আত্মার বিষয়ে বললেন
37 পর্বের শেষ দিন, যে দিনটি বিশেষ দিন, সেই দিন যীশু উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বললেন, “কারোর যদি পিপাসা পেয়ে থাকে তবে সে আমার কাছে এসে পান করুক। 38 শাস্ত্রে এ কথা বলে, যে আমার ওপর বিশ্বাস করে তার অন্তর থেকে জীবন্ত জলের নদী বইবে।” 39 যীশু পবিত্র আত্মা সম্পর্কে এই কথা বললেন, “সেই পবিত্র আত্মা তখনও দেওয়া হয় নি, কারণ যীশু তখনও মহিমান্বিত হন নি; কিন্তু পরে যারা যীশুকে বিশ্বাস করে তারা সেই আত্মা পাবে।”
যীশুকে নিয়ে লোকদের মধ্যে তর্ক
40 সমবেত জনতা যখন এই কথা শুনল তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “ইনি সত্যিই সেই ভাববাদী।”
41 অন্যরা বলল, “ইনি মশীহ (খ্রীষ্ট)।”
এ সত্ত্বেও কেউ কেউ বলল, “খ্রীষ্ট গালীলী থেকে আসবেন না। 42 শাস্ত্রে কি একথা লেখা নেই যে খ্রীষ্টকে দায়ূদের বংশধর হতে হবে; আর দায়ূদ যে বৈৎলেহম শহরে থাকতেন, তিনি সেখান থেকে আসবেন?” 43 তাঁর জন্য এইভাবে লোকদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হল। 44 কেউ কেউ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চাইল; কিন্তু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না।
ইহুদী নেতাদের অবিশ্বাস
45 তখন মন্দিরের সেই পদাতিকরা, প্রধান যাজক ও ফরীশীদের কাছে ফিরে গেল। তাঁরা মন্দিরের সেই পদাতিককে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা তাঁকে ধরে আনলে না কেন?”
46 পদাতিকরা বলল, “উনি যে সব কথা বলছিলেন কোন মানুষ কখনও সেই ধরণের কথা বলেনি!”
47 তখন ফরীশীরা বললেন, “তাহলে তোমরাও কি ঠকে গেলে? 48 ফরীশী বা নেতাদের মধ্যে এমন কেউ কি ছিলেন যিনি তাঁর ওপর বিশ্বাস করেছেন? 49 কিন্তু এইসব লোকেরা বিধি-ব্যবস্থার কিছুই জানে না। তারা অভিশপ্ত এবং ঈশ্বরের কৃপা থেকে বঞ্চিত।”
50 তখন এই নেতাদের একজন নীকদীম, যিনি ফরীশীদের মধ্যে একজন, তাঁদের বললেন, তিনিই আগে একবার যীশুর কাছে গিয়েছিলেন। 51 কোন ব্যক্তির কথা না শুনে আমরা আমাদের বিধি-ব্যবস্থায় তার বিচার করতে পারি না। সে কি করেছে তা না জেনে আমরা তার বিচার করতে পারি না।
52 এর উত্তরে তারা তাকে বলল, “তুমি নিশ্চয়ই গালীলী থেকে আসো নি, তাই না? শাস্ত্র পড়ে দেখো তাহলে জানবে যে গালীলী থেকে কোন ভাববাদীর আবির্ভাব হয় নি।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International