Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 30

দায়ূদের গানগুলির অন্যতম এই গানটি মন্দির উৎসর্গীকরণের উদ্দেশ্যে রচিত।

30 প্রভু, আপনি আমায় আমার সংকটগুলি থেকে টেনে তুলেছেন।
    আপনি আমাকে আমার শত্রুদের হাতে পরাজিত হতে এবং বিদ্রূপ করতেও দেন নি।
    তাই আপনার প্রতি আমি সম্মান দেখাবো।
প্রভু, আমার ঈশ্বর, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম।
    এবং আমার প্রার্থনা শুনে আপনি আমায় আরোগ্য করে তুলেছেন।
আপনি আমায় কবর থেকে টেনে তুলেছেন।
    আপনি আমায় বাঁচতে দিয়েছেন।
    মৃত্যু-লোকের মৃত মানুষদের সঙ্গে আমাকে থাকতে হয় নি।

ঈশ্বরের অনুগামীরা, প্রভুর প্রতি স্তবগান কর।
    তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা কর!
যখন ঈশ্বর ক্রুদ্ধ ছিলেন তখন মৃত্যু ছিল তাঁর সিদ্ধান্ত।
    কিন্তু তিনি আমার প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে আমাকে দিয়েছেন জীবন।
রাত্রে আমি লুটিয়ে পড়ে কাঁদি।
    পরদিন সকালে আমি আনন্দে গান গাই!

যখন নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে ছিলাম
    আমি ভেবেছিলাম কিছুই আমাকে আঘাত করতে পারবে না!
হ্যাঁ, প্রভু যখন আপনি আমার প্রতি সদয় ছিলেন
    আমি অনুভব করেছিলাম কোন কিছুই আমাকে হারাতে পারবে না!
কিন্তু যখন আপনি মুখ ঘুরিয়ে নিলেন
    আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম।
তাই, হে ঈশ্বর আমি ফিরে এসে আপনার কাছে প্রার্থনা করেছি।
    আমি আপনার কাছে করুণা প্রার্থনা করেছি।
আমি বলেছিলাম, “হে ঈশ্বর, যদি আমি মরে কবরে যাই,
    তাতে কি ভালো হবে?
মৃত লোকরা শুধুই ধূলোয় শুয়ে থাকে!
    তারা আপনার প্রশংসা করে না।
    আমরা যে আপনার ওপর কতখানি নির্ভর করতে পারি, তা তারা অন্যান্য লোকদের বলে না।
10 প্রভু আমার প্রার্থনা শুনুন এবং আমার প্রতি সদয় হোন!
    প্রভু আমায় সাহায্য করুন!”

11 আমি প্রার্থনা করেছিলাম এবং আপনি আমায় সাহায্য করেছেন!
আপনি আমার কান্নাকে নৃত্যে পরিণত করেছেন।
    আপনি আমায় চটের বস্ত্র সরিয়ে দিয়ে আনন্দ দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন।
12 প্রভু আমার ঈশ্বর, আমি চিরদিন আপনার প্রশংসা করবো, তাই কখনই নীরবতা থাকবে না।
    সর্বদাই কোন একজন থাকবে, যে আপনার সম্মানের জন্য আপনার প্রশংসা গীত গাইবে।

গীতসংহিতা 32

দায়ূদের একটি মস্কীল।

32 একজন ব্যক্তি, যার পাপসমূহ ক্ষমা করা হয়েছে,
    সে প্রকৃতই ধন্য।
    যার পাপ মুছে দেওয়া হয়েছে, সেই লোকও সত্যিই ধন্য।
একজন ব্যক্তি সত্যিকারের সুখী
    যখন প্রভু তাকে বলেন তার কোন দোষ নেই।
    সেই ব্যক্তি ভাগ্যবান, সে তার গোপন পাপ লুকিয়ে রাখে নি।

ঈশ্বর, আমি বার বার আপনার কাছে প্রার্থনা করেছি,
    কিন্তু আমার গোপন পাপের কথা আমি বলিনি।
    তাই যতবার আমি প্রার্থনা করেছি, ততবারই আমি দুর্বল হয়ে পড়েছি।
দিন রাত আপনি আমার জীবনকে কঠিন থেকে কঠিনতর করে তুলেছেন।
    গ্রীষ্মকালের শুকনো জমির মত আমি শুকিয়ে গিয়েছিলাম।

তখন আমি আমার সব পাপ প্রভুর কাছে স্বীকার করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
    প্রভু, আমি আপনাকে আমার পাপের কথা বলেছি।
    আমার কোন অপরাধ আমি লুকিয়ে রাখিনি এবং আপনি আমার সব পাপ ক্ষমা করে দিয়েছেন!

এই কারণে, হে ঈশ্বর, সব অনুগামীদের আপনার প্রতি প্রার্থনা করা উচিৎ‌।
    এমনকি, যখন প্লাবনের মত বিপর্যয়গুলি অন্যদের ওপর আসে, তখনও তারা আপনার অনুগামীদের কাছে আসবে না।
হে ঈশ্বর, আমার কাছে আপনিই লুকোনোর স্থান।
    আমার সমস্যা থেকে আপনি আমায় রক্ষা করেছেন।
আপনি আমায় ঘিরে থাকেন এবং আমায় রক্ষা করেন।
    তাই আপনি যে ভাবে আমায় উদ্ধার করেছেন আমি তারই গান গাই।

প্রভু বলেন, “যে পথে তুমি বাঁচবে আমি তোমাকে সেই পথের শিক্ষা দেবো।
    আমি তোমায় সেই পথে পরিচালিত করবো।
    আমি তোমায় রক্ষা করবো এবং তোমার পথ প্রদর্শক হবো।
একটা ঘোড়া বা গাধা, যাদের বোধশক্তি নেই, তাদের মত নির্বোধ হয়ো না।
    এইসব জন্তুকে বশে আনতে গেলে, লোকদের বল্গা ও লাগাম ব্যবহার করা উচিত।
    এইসব জিনিস ছাড়া ঐসব জন্তু আপনার কাছে আসবে না।”

10 মন্দ লোকদের কাছে অনেক যন্ত্রণা আসবে।
    কিন্তু যারা প্রভুতে আস্থা রাখে, তাঁর প্রকৃত ভালোবাসা তাদের ঘিরে থাকবে।
11 ভালো লোকেরা, তোমরা আনন্দ কর এবং প্রভুতে আনন্দলাভ কর! তোমরা সৎ‌ লোকেরা আনন্দ কর!

গীতসংহিতা 42-43

দ্বিতীয় খণ্ড

(গীতসংহিতা 42–72)

পরিচালকের প্রতি: কোরহ পরিবারের একটি মস্কীল।

42 হরিণ যেমন ঝর্ণার জলের জন্য তৃষ্ণার্ত থাকে,
    সেইভাবে হে ঈশ্বর, আমার আত্মাও আপনার জন্য তৃষ্ণার্ত।
জীবন্ত ঈশ্বরের জন্য আমার আত্মা তৃষ্ণার্ত।
    আমি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি?
আমার শত্রু আমায় অনবরত উপহাস করে চলেছে।
    সে বলছে, “কোথায় তোমার ঈশ্বর?
তিনি কি এখনও তোমায় বাঁচাতে আসেন নি?”
    আমি এমনই দুঃখী যে একমাত্র চোখের জলই আমার খাদ্য হয়েছে।

পবিত্র মন্দিরে যখন আমার সুসময় ছিল, সে কথা যখন স্মরণ করি তখন আমার হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে যায়।
    আমার মনে পড়ে আমি ভীড়ের একেবারে সামনে গিয়ে জনতাকে ঈশ্বরের মন্দিরের দিকে নেতৃত্ব দিতে নিয়ে যেতাম।
উৎসব পালনের সময় প্রভুর প্রশংসায়
    জনতা যে আনন্দ গীত গাইতো আমি তা স্মরণ করি।

5-6 কেন আমি এত বিমর্ষ হব?
    কেন আমি এত মর্মপীড়া ভোগ করব?
আমি ঈশ্বরের সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করবো।
    তবু আমি তাঁর প্রশংসা করবার একটা সুযোগ পাবো।
    তিনি আমায় রক্ষা করবেন!
“হে আমার ঈশ্বর, আমি এত দুঃখিত কারণ, এই ছোট্ট পাহাড়, এই জায়গা থেকে আমি আপনাকে স্মরণ করছি।
    যেখানে হর্ম্মোণ পর্বত ও যর্দন নদী এসে মিলেছে।”
পৃথিবীর গভীর অতল থেকে আগত জল,
    জলপ্রপাতের মধ্যে দিয়ে ঝরে পড়ছে, আমি সেই জলের গর্জন শুনেছি।
প্রভু আপনার সব তরঙ্গ বিক্ষোভ আমার মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে।
    আপনি আমায় সমস্যার মধ্যে ফেলেছেন!

প্রত্যেক দিন আমার প্রতি প্রভু তাঁর প্রকৃত ভালোবাসা দেখান।
    প্রতি রাতে আমার জীবন্ত ঈশ্বরের জন্য আমার একটি প্রার্থনা সঙ্গীত আছে।
আমি আমার শৈলস্বরূপ ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলব, “প্রভু, কেন আপনি আমায় ভুলে গেছেন?
    কেন আমি আমার শত্রুদের নিষ্ঠুরতার জন্য ভুগব?”
10 আমার শত্রুরা আমাকে অনবরত অপমান করে চলেছে এবং তারা আমাকে চরম আঘাত হেনে জিজ্ঞাসা করছে, “কোথায় তোমার ঈশ্বর?
    তিনি কি এখনও তোমায় বাঁচাতে আসেন নি?”

11 কেন আমি অত দুঃখিত হবো?
    কেন আমি অবসন্ন হবো?
আমাকে প্রভুর সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
    আমি তবুও তাঁর প্রশংসা করবার একটা সুযোগ পাব।
    তিনি আমায় রক্ষা করবেন!

43 হে ঈশ্বর, একজন লোক আছে যে আপনার একনিষ্ঠ ভক্ত নয়।
সে লোক অত্যন্ত ঠগ ও মিথ্যাবাদী।
হে ঈশ্বর, আমাকে ঐ লোকটার হাত থেকে রক্ষা করুন!
আমাকে প্রতিরক্ষা করুন এবং প্রমাণ করে দিন যে আমি নির্দোষ।
ঈশ্বর, আপনিই আমার দূর্গস্বরূপ!
    প্রভু, কেন আপনি আমায় ত্যাগ করে গেছেন?
কেন আমি আমার পীড়নকারী
    শত্রুর হাতে এত বিপর্যস্ত হবো?
হে ঈশ্বর, আপনার সত্য এবং আলো আমার ওপর বিকীর্ণ হোক্।
    আপনার আলো ও সত্য আমায় পথ দেখাবে।
ঐগুলো আমায় আপনার পবিত্র পর্বতে নিয়ে যাবে।
    ঐগুলো আমাকে আপনার গৃহের পথ দেখাবে।
আমি ঈশ্বরের বেদীর কাছে যাবো।
    আমি সেই ঈশ্বরের কাছে যাবো, যিনি আমায় এত সুখী করেছেন।
ঈশ্বর, হে আমার ঈশ্বর,
    আমি বীণা বাজিয়ে আপনার প্রশংসা করবো।

কেন আমি এত দুঃখিত?
    কেন আমি এত অবসন্ন?
আমার ঈশ্বরের সাহায্যের জন্য প্রতীক্ষা করা উচিৎ‌।
    আমি তবুও প্রভুর প্রশংসা করবার একটা সুযোগ পাব।
    তিনি আমায় রক্ষা করবেন!

ইয়োব 22:1-4

ইলীফসের উত্তর

22 তখন তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিল:

“ঈশ্বরের কি তোমার সাহায্যের প্রয়োজন আছে?
    না! এমনকি একজন খুব জ্ঞানী লোকও ঈশ্বরের কাছে প্রয়োজনীয় নয়।
তুমি যদি ন্যায়পরায়ণ হও তাহলে ঈশ্বরের কি কোন সাহায্য হয়?
    না! অথবা তুমি যদি অনিন্দনীয় হও তাহলে তা কি ঈশ্বরের পক্ষে লাভজনক হয়? না!
ইয়োব, তোমার সমীহর কারণেই কি ঈশ্বর তোমাকে সংশোধন করেন?
    এই কারণেই কি তিনি বিচারে তোমার বিরুদ্ধে আসেন?

ইয়োব 22:21-23:7

21 “এখন ইয়োব, নিজেকে ঈশ্বরের কাছে সঁপে দাও এবং তাঁর সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্থাপন কর।
    এটা কর, তুমি অনেক ভালো জিনিস পাবে।
22 এই শিক্ষা গ্রহণ কর।
    তিনি যা বলেন, তাতে মনোযোগ দাও।
23 ইয়োব, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে ফিরে এসো, তুমি উদ্ধার হয়ে যাবে।
    কিন্তু তুমি অবশ্যই তোমার তাঁবুগুলি থেকে অহিতকারী মন্দকে দূর করবে।
24 নিজের জমানো সোনাকে আবর্জনার বেশী কিছু ভেবো না,
    তোমার শ্রেষ্ঠ সোনাকেও[a] নদীর নুড়ি-পাথরের মত তুচ্ছ জ্ঞান কর।
25 এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে তোমার সোনা করে নাও।
    ঈশ্বরকে তোমার রূপোর স্তূপ হতে দাও।
26 তারপর তুমি ঈশ্বরকে উপভোগ করতে পারবে।
    তারপর তুমি ঈশ্বরের সামনে দাঁড়াতে পারবে।
27 তুমি তাঁর কাছে প্রার্থনা করবে এবং তিনি তোমার প্রার্থনা শুনবেন।
    তবেই তুমি তোমার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবে।
28 যদি তুমি কিছু করবে বলে মনস্থির করে থাকো তাহলে তা ফলপ্রসূ হবে।
    এবং তোমার ভবিষ্যৎ অবশ্যই উজ্জ্বল হবে!
29 ঈশ্বর অহঙ্কারী লোকদের লজ্জায় ফেলেন।
    কিন্তু তিনি বিনয়ী লোকদের সাহায্য করেন।
30 তখন তুমি যারা ভুল করে তাদের সাহায্য করতে পারবে।
    তুমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে এবং তিনি তাদের ক্ষমা করে দেবেন।
    কেন? কারণ তুমি শুচি-শুদ্ধ হয়ে যাবে।”

ইয়োবের উত্তর

23 তখন ইয়োব উত্তর দিলেন:

“আমি আজ পর্যন্ত অভিযোগ করে যাচ্ছি।
    কেন? কারণ আমি এখনও ভুগছি।
আমার ইচ্ছা হয়, ঈশ্বরকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যায় তা যদি জানতাম,
    তাহলে আমি সেই জায়গায় যেতাম।
আমি আমার কথা ঈশ্বরের কাছে বলতাম,
    আমি যে নির্দোষ এটা প্রমাণ করার জন্য আমি আমার যুক্তিগুলো সাজাতাম।
কেমন করে ঈশ্বর আমার প্রশ্নের জবাব দেবেন সেটাই আমি জানতে চাই।
    আমি ঈশ্বরের উত্তরকে বুঝতে চাই।
ঈশ্বর কি আমার বিরুদ্ধে তাঁর শক্তিকে ব্যবহার করবেন?
    না, তিনি আমার কথা শুনবেন!
সেখানে একটি ন্যায়পরায়ণ লোক ঈশ্বরের সঙ্গে তর্ক করতে পারে।
    তখন আমার বিচারক আমাকে মুক্তি দিতে পারেন।

প্রেরিত 13:26-43

26 “ভাইরা, অব্রাহামের বংশধররা, আর অইহুদীদের মধ্যে যাঁরা ঈশ্বরের উপাসনা করেন, আপনারা সকলে জানুন যে আমাদেরই কাছে পরিত্রাণের এই বার্তা পাঠানো হয়েছে। 27 জেরুশালেমের অধিবাসীরা ও তাদের নেতারা যীশুকে ত্রাণকর্তা হিসেবে চিনতে পারে নি, যদিও ভাববাদীদের বাক্য যা প্রভু যীশুর সম্বন্ধে বলে তা তাদের কাছেই প্রতি বিশ্রামবারে পাঠ করা হত। যিহূদিরাই তাকে দোষী সাব্যস্ত করল, আর এইভাবে তারা ভাববাদীদের বাক্য সফল করেছে। 28 মৃত্যুদণ্ড দেবার মতো তাঁর কোন দোষ না পেলেও তারা পীলাতের কাছে তাঁকে হত্যা করার জন্য দাবী জানায়।

29 “যীশুর বিষয়ে যা কিছু শাস্ত্রে লেখা হয়েছে তার সবকিছু সম্পন্ন করবার পর, তারা তাঁর মৃতদেহ সেই ক্রুশ থেকে নামিয়ে এক কবরে রেখেছিল। 30 কিন্তু ঈশ্বর যীশুকে পুনর্জীবিত করলেন। 31 যাঁরা তাঁর সঙ্গে গালীল থেকে জেরুশালেমে এসেছিলেন, তাঁদের তিনি অনেক দিন পর্যন্ত দেখা দিয়েছিলেন। তাঁরাই এখন লোকদের কাছে সর্বসমক্ষে তাঁর সাক্ষী।

32 “আমরা আপনাদের কাছে এই সুসমাচার জানাচ্ছি, যা ঈশ্বর আমাদের পিতৃপুরুষের কাছে প্রতিশ্রুতি স্বরূপ দিয়েছিলেন; 33 যীশুকে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত করে ঈশ্বর আমাদের কাছে অর্থাৎ তাঁর সন্তানদের জন্যে সেই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন। যেমন দ্বিতীয় গীতে লেখা আছে:

‘তুমি আমার পুত্র,
    আজই আমি তোমার পিতা হয়েছি।’(A)

34 ঈশ্বর যীশুকে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত করেছেন। যীশু আর কখনও ক্ষয় পাবেন না। এই বিষয়ে ঈশ্বর বলেছেন:

‘আমি দায়ূদের কাছে যে পবিত্র ও সত্য প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিলাম, তা তোমাকে দেব।’(B)

35 আবার আর এক জায়গায় ঈশ্বর বলেছেন:

‘তুমি তোমার পবিত্রতমকে ক্ষয় দেখতে দেবে না।’(C)

36 “দায়ূদ তাঁর সময়ে ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করার পর মারা গেলে পিতৃপুরুষের কবরের মধ্যে তাঁকেও কবর দেওয়া হল ও তাঁর দেহও ক্ষয় পেল। 37 কিন্তু ঈশ্বর যাঁকে (যীশুকে) মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত করেছেন, তিনি ক্ষয় দেখেন নি। 38-39 তাই ভাইরা, আমি চাই আপনারা জানুন যে এই যীশুর মাধ্যমেই পাপের ক্ষমা লাভের কথা আপনাদের কাছে ঘোষণা করে হচ্ছে। মোশির বিধি-ব্যবস্থায় আপনারা পাপ থেকে মুক্ত হতে পারতেন না; কিন্তু প্রত্যেক ব্যক্তি যে যীশুর ওপর বিশ্বাস করে, সে পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে। 40 তাই সাবধান! ভাববাদীরা যা বলে গেছেন, তা যেন আপনাদের জীবনে ফলে না যায়। ভাববাদীরা বললেন,

41 ‘শোন, তোমরা যারা উপহাস কর!
    তোমরা দেখ, অবাক হও ও ধ্বংস হয়ে যাও,
কারণ আমি তোমাদের সময়ে এমন কাজ করেছি,
    যে কাজের কথা তোমাদের বলা হলেও
    তোমরা বিশ্বাস করবে না।’”(D)

42 পৌল ও বার্ণবা যখন সমাজ-গৃহ থেকে চলে যাচ্ছেন, তখন লোকেরা অনুরোধ করল যেন পরের বিশ্রামবারে তারা আরো বিস্তারিতভাবে ঐসব কথা তাদের জানান। 43 সমাজ-গৃহের সভা শেষ হলে, অনেক ইহুদী ও ইহুদী ধর্মাবলম্বী ভক্ত লোকেরা পৌল ও বার্ণবার পিছনে পিছনে গেল। পৌল ও বার্ণবা ঐসব লোকদের সঙ্গে কথা বললেন ও ঈশ্বরের অনুগ্রহে আস্থা রেখে চলার পরামর্শ দিলেন।

যোহন 10:1-18

মেষপালক ও মেষপাল

10 যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি; যদি কেউ সদর দরজা দিয়ে মেষ খোঁয়াড়ে না ঢোকে এবং তার পরিবর্তে অন্য কোন ভাবে টপকে ঢোকে, তবে সে একজন চোর বা ডাকাত; কিন্তু যে ব্যক্তি দরজা দিয়ে ঢোকে সে মেষপালক। দারোয়ান তাকে দরজা খুলে দেয়, আর মেষরা তার কন্ঠস্বর শোনে। সে তার নিজের মেষগুলিকে নাম ধরে ডাকে আর তাদের বাইরে নিয়ে যায়। সে যখন তার নিজের সব মেষদের বার করে নেয়, তখন সে তাদের আগে আগে চলে, আর মেষরা তার পেছনে পেছনে চলতে থাকে, কারণ তারা তার কন্ঠস্বর চেনে। কিন্তু মেষরা যাকে জানে না এমন লোকের পেছনে যাবে না, বরং তারা তার থেকে দূরে পালিয়ে যাবে, কারণ তারা অচেনা লোকের কন্ঠস্বর চেনে না।”

যীশু তাদের এই দৃষ্টান্তটি বললেন; কিন্তু তিনি যে কি বলতে চাইছেন তা তারা বুঝতে পারল না।

যীশুই উত্তম মেষপালক

তখন যীশু আবার তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি; আমি মেষদের জন্য খোঁয়াড়ের দরজা স্বরূপ। যারা আমার আগে এসেছে তারা সব চোর ডাকাত, কিন্তু মেষরা তাদের ডাক শোনে নি। আমিই দরজা। যদি কেউ আমার মধ্য দিয়ে ঢোকে তবে সে রক্ষা পাবে। সে ভেতরে আসবে এবং বাইরে গেলে তার চারণভূমি পাবে। 10 চোর কেবল চুরি, খুন ও ধ্বংস করতে আসে। আমি এসেছি, যাতে লোকেরা জীবন লাভ করে, আর যেন তা পরিপূর্ণ ভাবেই লাভ করে।”

11 “আমিই উত্তম মেষপালক। উত্তম পালক মেষদের জন্য তার জীবন সমর্পণ করে। 12 কোন বেতনভূক কর্মচারী প্রকৃত মেষপালক নয়। মেষরা তার নিজের নয়, তাই সে যখন নেকড়ে বাঘ আসতে দেখে তখন মেষদের ফেলে রেখে পালায়। আর নেকড়ে বাঘ তাদের আক্রমণ করে এবং তারা ছড়িয়ে পড়ে। 13 বেতনভূক কর্মচারী পালায়, কারণ বেতনের বিনিময়ে সে কাজ করে, মেষদের জন্য তার কোন চিন্তাই নেই।

14-15 “আমিই উত্তম পালক। আমি আমার মেষদের জানি আর আমার মেষরা আমায় জানে। ঠিক যেমন আমার পিতা আমাকে জানেন, আমিও আমার পিতাকে জানি; আর আমি মেষদের জন্য আমার জীবন সঁপে দিই। 16 আমার এমন আরো অনেক মেষ আছে যারা এই খোঁয়াড়ের নয়। আমি অবশ্যই তাদেরও আনব, তারাও আমার কথা শুনবে আর তারা তখন সকলে এক পাল হবে আর তাদের পালকও হবেন একজন। 17 এই কারণেই পিতা আমায় ভালবাসেন, কারণ আমি আমার প্রাণ দান করি যেন আবার তা পেতে পারি। 18 কেউ আমার কাছ থেকে তা হরণ করে নিতে পারবে না, বরং আমি তা স্ব-ইচ্ছাতেই করছি। এটা দান করার অধিকার আমার আছে এবং আবার তা ফিরে পাওয়ার অধিকারও আমার আছে। আমার পিতার কাছ থেকেই আমি এইসব শুনেছি।”

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International