Book of Common Prayer
দায়ূদের একটি গীত: যখন থেকে তিনি যিহূদার মরুভূমিতে ছিলেন।
63 ঈশ্বর, আপনিই আমার ঈশ্বর।
আমি আপনাকে ভীষণভাবে চাই।
রৌদ্রদগ্ধ শুকনো জমির মত,
আমার দেহ ও আত্মা আপনার জন্য তৃষ্ণার্ত হয়ে রয়েছে।
2 হ্যাঁ, আপনার মন্দিরে আমি আপনাকে দেখেছি।
আপনার শক্তি এবং মহিমাও আমি দেখেছি।
3 আপনার ভালোবাসা জীবনের চেয়েও উত্তম।
আমার ওষ্ঠদ্বয় আপনারই প্রশংসা করে।
4 হ্যাঁ, আমার এ জীবনে আমি আপনারই প্রশংসা করবো।
আপনার পবিত্র নামে আমি দু-হাত তুলে প্রার্থনা করবো।
5 আমি এমনই সন্তুষ্ট হব যেন আমি সব থেকে সেরা খাবার খেয়েছি।
এবং আমার আনন্দপ্লুত মুখ দিয়ে আমি আপনারই প্রশংসা করবো।
6 যখন আমি বিছানায় শুতে যাবো তখন আমি আপনাকে স্মরণ করবো।
মধ্যরাত্রে আমি আপনার ধ্যান করব।
7 আপনি সত্যিই আমাকে সাহায্য করেছেন!
আপনি যখন আমায় সুরক্ষা দেন তখন আমি আনন্দোল্লাস করি!
8 আমার আত্মা আপনাকে জড়িয়ে ধরে থাকে।
আপনার ডান হাত আমাকে সহায়তা দেয়।
9 যারা আমায় মেরে ফেলতে ইচ্ছা করে ওরা সবাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
ওরা ওদের কবরে তলিয়ে যাবে।
10 তরবারির দ্বারা ওদের মৃত্যু হবে।
বুনো কুকুর ওদের মৃতদেহ ছিঁড়ে খাবে।
11 কিন্তু রাজা দায়ূদ তাঁর ঈশ্বরকে নিয়েই সুখী হবে
এবং যারা তাঁকে মান্য করে তারাই ঈশ্বরের প্রশংসা করবে কারণ তিনি সব মিথ্যাবাদীকে পরাজিত করেছেন।
একটি প্রশংসা গীত
98 প্রভুর উদ্দেশ্যে একটা নতুন গান গাও,
কারণ তিনি নতুন নতুন আশ্চর্য কার্য করেছেন!
তাঁর পবিত্র ডান বাহু
আবার তাঁকে বিজয় এনে দিয়েছে।
2 প্রভু জাতিগুলোর নিকট তাঁর উদ্ধার করার শক্তি প্রকাশ করেছেন।
প্রভু তাদের তাঁর ন্যায়পরায়ণতা প্রদর্শন করেছেন।
3 ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি প্রভুর বিশ্বস্ততা তাঁর অনুগামীরা স্মরণ করে।
দূরদূরান্তের দেশও আমাদের ঈশ্বরের ত্রাণশক্তি দেখেছে।
4 পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ, প্রভুর উদ্দেশ্যে আনন্দধ্বনি দাও।
শীঘ্রই প্রশংসা গীত শুরু কর!
5 হে বীণা, প্রভুর প্রশংসা কর।
বীণার সুর প্রভুর প্রশংসা কর।
6 ভেঁপু ও বাঁশি বাজাও
এবং আমাদের রাজা প্রভুর উদ্দেশ্যে আনন্দ ধ্বনি দাও!
7 সমুদ্র এবং পৃথিবী এবং যেখানে যা কিছু আছে
সবাই যেন উচ্চস্বরে গেয়ে ওঠে।
8 হে নদীসমূহ, তোমরা হাততালি দাও!
হে পর্বতরাজি, তোমরা একসঙ্গে গেয়ে ওঠো!
9 প্রভুর সামনে গান গাও
কেননা তিনি বিশ্বকে শাসন করতে আসছেন।
তিনি ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে এই বিশ্বকে শাসন করবেন।
তিনি সততার সঙ্গে লোকদের শাসন করবেন।
দায়ূদের একটি গীত।
103 হে আমার আত্মা, প্রভুকে ধন্যবাদ দাও!
আমার প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা কর!
2 হে আমার আত্মা, প্রভুর প্রশংসা কর!
ভুলে যেও না যে তিনি সত্যিই দয়ালু।
3 ঈশ্বর আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করেন।
তিনি আমাদের সকল রোগ থেকে সারিয়ে তোলেন।
4 ঈশ্বর আমাদের জীবনকে কবর থেকে রক্ষা করেন।
তিনি আমাদের প্রেম ও সহানুভূতি দেন।
5 তিনি আমাদের রাশি রাশি ভালো জিনিস দেন।
তিনিই সেইজন যিনি পুরানো পালক ঘসে নতুন পালক গজানো
একটি ঈগলের মত তোমাদের যৌবন পুনরুজ্জীবিত করেন।
6 প্রভুই সৎ।
প্রভু অবদমিত লোকদের কাছে ন্যায় বিচার ও নিরপেক্ষতা আনেন।
7 ঈশ্বর মোশিকে তাঁর শিক্ষামালা দিয়েছিলেন।
যে সব ক্ষমতা সম্পন্ন কাজ ঈশ্বর করতে পারেন সে সব তিনি ইস্রায়েলকে দেখিয়েছিলেন।
8 প্রভু দয়ালু এবং ক্ষমতাশীল।
ঈশ্বর ধৈর্য্যশীল এবং প্রেমে পূর্ণ।
9 প্রভু সব সময় আমাদের সমালোচনা করেন না।
প্রভু সর্বদা আমাদের ওপর ক্রুদ্ধ থাকেন না।
10 আমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করেছিলাম
কিন্তু প্রাপ্য শাস্তি তিনি আমাদের দেন নি।
11 যেমন করে পৃথিবীর ওপরে আকাশ বিস্তৃত হয়ে আছে,
তেমনি ঈশ্বরের অনুগামীদের ওপরে ঈশ্বরের প্রেম পরিব্যপ্ত হয়ে আছে।
12 পূর্ব যেমন পশ্চিমের থেকে বিচ্ছিন্ন, তেমন করেই ঈশ্বর,
আমাদের কাছ থেকে আমাদের পাপকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে গেছেন।
13 পিতা যেমন পুত্রের প্রতি দয়াময়
তেমনি প্রভুও তাঁর অনুগামীদের প্রতি দয়ালু।
14 ঈশ্বর আমাদের সম্পর্কে সব কিছুই জানেন।
ঈশ্বর জানেন যে আমরা ধূলো থেকে সৃষ্ট হয়েছি।
15 ঈশ্বর জানেন আমাদের জীবন
ঘাসের মত অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত।
ঈশ্বর জানেন আমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বুনো ফুলের মত, সেই সব ফুল খুব তাড়াতাড়ি জন্মায়।
16 তারপর উত্তপ্ত বাতাস বইলেই সেই সব ফুল ঝরে পড়ে।
আবার তুমি বলতেও পারবে না সেই সব ফুল কোথায় জন্মেছিল।
17 কিন্তু প্রভু তাঁর অনুগামীদের প্রতি সবসময়ই স্নেহশীল।
তিনি চিরদিনই তাঁর অনুগামীদের ভালোবাসবেন।
ঈশ্বর তাঁর সন্তানদের প্রতি এবং সন্তানদের সন্তানের প্রতিও ভালো ব্যবহার করবেন।
18 যারা তাঁর চুক্তি অনুসরণ করে, তাদের প্রতি ঈশ্বর ভালো ব্যবহার করেন।
যারা তাঁর আজ্ঞা মেনে চলে তাদের প্রতিও ঈশ্বর ভালো ব্যবহার করেন।
19 স্বর্গে ঈশ্বরের সিংহাসন রয়েছে
এবং তিনিই সব কিছুর শাসন করছেন।
20 হে দূতগণ, প্রভুর প্রশংসা কর!
তোমরা দূতরা সেই শক্তিশালী সৈন্য যারা ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করো।
তোমরা ঈশ্বরের কথা শোন এবং তাঁর আজ্ঞা মান্য কর।
21 প্রভু এবং তাঁর সকল সৈন্যদের প্রশংসা কর।
তোমরা তাঁর দাস।
ঈশ্বর যা চান তোমরা তাই কর।
22 প্রভুর প্রশংসা কর।
তাঁর রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় তাঁর সব কাজগুলিকে প্রশংসা কর।
হে আমার আত্মা, প্রভুর প্রশংসা কর!
1 এগুলি হল, উপদেশকের কথা যিনি ছিলেন দায়ূদের পুত্র এবং জেরুশালেমের রাজা।
2 সবই এত অর্থহীন! তাই উপদেশকের মতে সবই অসার, সবই সময়ের অপচয়! 3 মানুষ সূর্যের নীচে যে কঠিন পরিশ্রম করে সে কি তার কোন ফল পায়? না!
কোন কিছুই বদলায় না
4 বংশপরম্পরা পর্যায়ক্রমে আসে এবং যায়। কিন্তু পৃথিবী চিরন্তণ। 5 সূর্য ওঠে আবার অস্ত যায়। তারপর দ্রুত ফিরে যায় সেই একই জায়গায় যেখান থেকে আবার সূর্য ওঠে।
6 বাতাস দক্ষিণে বয় এবং উত্তরেও বয়। বাতাস চারিদিক ঘুরে ঘুরে আবার তার নিজের জায়গায় ফিরে যায়।
7 সব নদী বার বার একই দিকে বয়ে চলে। সমস্ত নদীই সমুদ্রে গিয়ে মেশে কিন্তু সমুদ্র কখনও পূর্ণ হয় না।
8 সব কথাই ক্লান্তিকর। কিন্তু তবুও লোকে কথা বলে। আমরা সব সময়ই কথা শুনি কিন্তু তাতে আমরা সন্তুষ্ট হই না। আবার সব সময় আমরা যে সব জিনিস দেখি তাতেও আমাদের মন ভরে না।
কোন কিছুই নতুন নয়
9 সব জিনিসই সৃষ্টির সময় যেমন ছিল সে রকমই থেকে যায়। যা আগে করা হয়েছে তাই আবার পরেও করা হবে। সূর্যের নীচে কোন কিছুই নতুন নয়।
10 এমন কোন কিছু নেই যাকে কোন ব্যক্তি নতুন বলতে পারে! যে জিনিসকে মানুষ নতুন বলবে তা আমাদের জন্মের আগে থেকেই বর্তমান।
11 যা অনেক আগে ঘটে গেছে সে ঘটনা লোকে মনে রাখে না। এখন যা ঘটছে ভবিষ্যতে তা লোকে ভুলে যাবে। পরবর্তী প্রজন্ম মনেও রাখবে না আগেকার লোক তাদের জন্য কি করে গেছে।
ফিলিপ ইথিওপিয়ার একজন লোককে শিক্ষা দিলেন
26 প্রভুর এক দূত ফিলিপকে বললেন, “প্রস্তুত হও, দক্ষিণে যে পথ জেরুশালেম থেকে ঘসার দিকে নেমে গেছে, সেই পথ ধরে নেমে যাও।”
27 তখন ফিলিপ প্রস্তুত হয়ে সেই পথ ধরে রওনা দিলেন এবং সেই পথে একজন ইথিওপিয়ানকে দেখতে পেলেন, তিনি নপুংসক। তিনি ইথিওপিয়ার কান্দাকি রাণীর কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। ইনি জেরুশালেমে উপাসনা করতে গিয়েছিলেন। 28 ফেরার পথে তিনি তাঁর রথে বসে ভাববাদী যিশাইয়র পুস্তক থেকে পড়ছিলেন।
29 তখন পবিত্র আত্মা ফিলিপকে বললেন, “ঐ রথের কাছে যাও, তাঁর সঙ্গ ধর!” 30 ফিলিপ দৌড়ে রথের কাছে গিয়ে শুনলেন, সেই কোষাধ্যক্ষ ভাববাদী যিশাইয়র পুস্তক থেকে পড়ছেন। ফিলিপ জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি যা পড়ছেন তা কি বুঝতে পারছেন?”
31 তিনি বললেন, “কি করে বুঝব যদি বুঝিয়ে দেওয়ার কেউ না থাকে?” আর তিনি ফিলিপকে রথে উঠে এসে তার কাছে বসতে বললেন। 32 শাস্ত্রের যে অংশটি তিনি পাঠ করছিলেন তা হল:
“হত হবার জন্য মেষের মতো তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল।
লোম ছাঁটাইকারীদের সামনে ভেড়া যেমন মুখ বুজে থাকে,
তেমনি তিনি মুখ খোলেন নি।
33 তাঁর হীন অবস্থায়, তাঁর ন্যায় অধিকার থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হল।
কেউ আর কখনও তাঁর বংশধরদের কথা বলবে না,
কারণ পৃথিবীতে তাঁর জীবন সমাপ্ত হল।”(A)
34 সেই কোষাধ্যক্ষ ফিলিপকে বললেন, “অনুগ্রহ করে বলুন, ভাববাদী কার বিষয়ে এই কথা বলছেন? তিনি কি তাঁর নিজের বিষয়ে বলছেন, অথবা অন্য কারো বিষয়ে?” 35 তখন ফিলিপ শাস্ত্রের সেই অংশ থেকে শুরু করে যীশুর বিষয়ে সুসমাচার তাঁকে জানালেন।
36 তাঁরা রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে জলাশয়ের কাছে এসে হাজির হলে সেই নপুংসক বললেন, “দেখুন! এখানে জল আছে! বাপ্তাইজ হতে আমার বাধা কোথায়?” 37 [a] 38 তিনি রথ থামাতে হুকুম করলেন, আর ফিলিপ ও নপুংসক উভয়ে জলে নামলেন। ফিলিপ তাঁকে বাপ্তিস্ম দিলেন। 39 তাঁরা যখন জলের মধ্য থেকে উঠলেন, তখন প্রভুর আত্মা ফিলিপকে সরিয়ে নিয়ে গেলেন, সেই কোষাধ্যক্ষ তাকে আর দেখতে পেলেন না; কিন্তু আনন্দ করতে করতে তাঁর পথে এগিয়ে চললেন। 40 ফিলিপ নিজেকে অসদোদে দেখতে পেলেন আর তিনি কৈসরিয়ার পথে রওনা হয়ে যাত্রা পথে সব নগরে সুসমাচার প্রচার করলেন।
প্রার্থনার বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
(মথি 6:9-15)
11 যীশু এক জায়গায় প্রার্থনা করছিলেন। প্রার্থনা শেষ হলে পর তাঁর একজন শিষ্য এসে তাঁকে বললেন, “প্রভু, যোহন যেমন তাঁর শিষ্যদের প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলেন, আপনিও তেমনি আমাদের প্রার্থনা করতে শেখান।”
2 তখন যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা যখন প্রার্থনা কর তখন বলো,
‘পিতা, তোমার পবিত্র নামের সমাদর হোক্,
তোমার রাজ্য আসুক।
3 দিনের আহার তুমি প্রতিদিন আমাদের দাও।
4 আমাদের পাপ ক্ষমা কর,
কারণ আমাদের বিরুদ্ধে যারা অন্যায় করেছে, আমরাও তাদের ক্ষমা করেছি,
আর আমাদের পরীক্ষায় পড়তে দিও না।’”
অনবরত যাঞ্চা কর
(মথি 7:7-11)
5-6 এরপর যীশু তাঁদের বললেন, “ধর, তোমাদের কারো একজন বন্ধু আছে। আর সে মাঝরাতে তার কাছে গিয়ে বলল, ‘বন্ধু আমায় খান তিনেক রুটি ধার দাও, কারণ আমার এক বন্ধু যাত্রাপথে এই মাত্র আমার ঘরে এসেছে, তাকে খেতে দেবার মতো ঘরে কিছু নেই।’ 7 সেই লোক যদি ঘরের ভেতর থেকে উত্তর দেয়, ‘দেখ, আমায় বিরক্ত করো না! এখন দরজা বন্ধ আছে আর ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমি শুয়ে পড়েছি। আমি এখন তোমাকে কিছু দেবার জন্য উঠতে পারব না।’ 8 আমি তোমাদের বলছি, সে যদি বন্ধু হিসাবে উঠে তাকে কিছু না দেয়, তবু লোকটি বার বার করে অনুরোধ করছে বলে সে উঠবে ও তার যা দরকার তা তাকে দেবে। 9 তাই আমি তোমাদের বলছি, তোমরা চাও, তোমাদের দেওয়া হবে, খোঁজ তোমরা পাবে। দরজায় ধাক্কা দাও, তোমাদের জন্য দরজা খোলা হবে। 10 কারণ যারা চায়, তারা পায়। যারা খোঁজ করে, তারা সন্ধান পায় আর যারা দরজায় ধাক্কা দেয়, তাদের জন্য দরজা খোলা হয়। 11 তোমাদের মধ্যে এমন বাবা কি কেউ আছে যার ছেলে মাছ চাইলে সে তাকে মাছের বদলে সাপ দেবে? 12 অথবা ছেলে যদি ডিম চায় তবে তাকে কাঁকড়াবিছা দেবে? 13 তাই তোমরা যদি মন্দ প্রকৃতির হয়েও তোমাদের ছেলেমেয়েদের ভাল ভাল জিনিস দিতে জান, তবে স্বর্গের পিতার কাছে যারা চায়, তিনি যে তাদের পবিত্র আত্মা দেবেন, এটা কত না নিশ্চয়।”
Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International