Print Page Options
Previous Prev Day Next DayNext

Book of Common Prayer

Daily Old and New Testament readings based on the Book of Common Prayer.
Duration: 861 days
Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)
Version
গীতসংহিতা 95

95 এস, আমরা প্রভুর প্রশংসা করি!
    যে শিলা আমাদের রক্ষা করেন তাঁর উদ্দেশ্যে আমরা উচ্চস্বরে প্রশংসাধ্বনি দিই।
আমরা প্রভুর উদ্দেশ্যে ধন্যবাদের গান গাই।
    তাঁর প্রশংসায় আমরা আনন্দগান গাই।
কেন? কারণ প্রভুই মহান ঈশ্বর!
    তিনিই সেই মহান রাজা যিনি সকল “দেবতাদের” শাসন করছেন।
গভীরতম গুহা, উচ্চতম পর্বত, সবই প্রভুর।
সমুদ্রও তাঁরই—তিনিই তা সৃষ্টি করেছেন।
    ঈশ্বর তাঁর নিজের হাতে এই শুকনো জমি সৃষ্টি করেছেন।
এস, আমরা অবনত হয়ে তাঁর উপাসনা করি!
    যে প্রভু আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর প্রশংসা করি!
কেন? কারণ যদি আমরা তাঁর কন্ঠ শুনি
    তাহলে তিনি আমাদের ঈশ্বর হবেন
    এবং আমরা হব সেই লোকেরা যাদের তিনি খাদ্য জোগান,

আমরা হব সেই মেষ যাদের তিনি স্বহস্তে নেতৃত্ব দেন।
ঈশ্বর বলেন, “মরীবাতে তোমরা যেমন অবাধ্য হয়েছিলে,
    মঃসার মরুপ্রান্তরে যেমন হয়েছিল, তেমন হয়ো না।
তোমাদের পূর্বপুরুষরা আমায় পরীক্ষা করেছে।
    ওরা আমাকে পরীক্ষা করেছিলো কিন্তু এই সময় ওরা দেখেছিলো আমি কি করতে পারি!
10 40 বছর ধরে আমি ওদের প্রতি ধৈর্য্য ধারণ করেছি।
    আমি জানি যে ওরা বিশ্বাসী নয়।
    ওরা আমার শিক্ষামালা অনুসরণ করতে অগ্রাহ্য করেছে।
11 তাই ওদের প্রতি আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম এবং আমি কথা দিয়েছিলাম যে,
    ‘ওরা আমার বিশ্রামের স্থানে কখনো প্রবেশ করতে পারবে না।’”

গীতসংহিতা 88

কোরহ পরিবার থেকে একটি প্রশংসা গীত। সঙ্গীত পরিচালকের প্রতি: একটি যন্ত্রণাদায়ক রোগ সম্পর্কে ইষ্রাহীয় হেমনের একটি মস্কীল।

88 প্রভু ঈশ্বর, আপনিই আমার পরিত্রাতা।
    দিন রাত্রি ধরে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি।
আমার প্রার্থনার দিকে মনোযোগ দিন।
    করুণার জন্য আমার প্রার্থনা শুনুন।
আমার আত্মা এই যন্ত্রণায় অনেক কষ্ট পেয়েছে!
    খুব তাড়াতাড়ি আমি মারা যাবো।
ইতিমধ্যেই লোকরা আমার সঙ্গে সেই রকম আচরণ শুরু করেছে, যা একজন মৃতের প্রতি করা হয়,
    অথবা একজন লোক যে বেঁচে থাকার পক্ষে খুব দুর্বল তার সঙ্গে যেমন ব্যবহার করা হয়।
ওরা মৃতদের মধ্যে আমাকে খোঁজে।
    আমি সেই মৃত লোকের মত কবরে পড়ে আছি,
যে মৃত লোককে আপনি ভুলে গেছেন,
    যে আপনার থেকে এবং আপনার যত্ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
আপনি আমাকে মাটির সেই গর্তে পুরে দিয়েছেন।
    হ্যাঁ, আপনি আমাকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছেন।
হে ঈশ্বর, আপনি আমার প্রতি ক্রোধান্বিত ছিলেন
    এবং আপনি আমায় শাস্তি দিয়েছেন।

আপনি আমার বন্ধুদের আমায় ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছেন।
    অচ্ছুত লোকের মত ওরা সবাই আমাকে এড়িয়ে যায়।
আমি গৃহবন্দী হয়ে আছি, আমি বাইরে যেতে পারি না।
    যন্ত্রণায় কেঁদে কেঁদে আমার চোখ টন্টন্ করছে।
প্রভু, সারাক্ষণ আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি!
    প্রার্থনার সময় আমার দুটি বাহু আমি আপনার দিকে তুলে ধরি।
10 প্রভু, আপনি কি মৃত লোকদের জন্য অলৌকিক কাজসমূহ করেন?
    প্রেতরা কি জেগে উঠে আপনার প্রশংসা করে? না!

11 কবরে থাকা লোকরা কি আপনার সত্য প্রেম সম্বন্ধে কথা বলতে পারে?
    মৃত্যুর জগতে থাকা লোকেরা কি আপনার বিশ্বস্ততার কথা বলতে পারে? না!
12 যে সব আশ্চর্য কার্য আপনি করেন, অন্ধকারে থাকা মৃতরা তা দেখতে পায় না।
    বিস্মৃতির দেশে মৃত লোকেরা আপনার ধার্ম্মিকতার কথা বলতে পারে না।
13 প্রভু, আমাকে সাহায্য করার জন্য আপনার কাছে প্রার্থনা জানাচ্ছি!
    প্রত্যেকদিন উষাকালে আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি।
14 প্রভু কেন আপনি আমায় ত্যাগ করেছেন?
    কেন আপনি আমার কথা শুনতে পান না?
15 তরুণ বয়স থেকেই আমি অসুস্থ ও দুর্বল।
    আমি আপনার ক্রোধ ভোগ করেছি।
আমি আপনার ক্রোধের শিকার হয়েছি।
    আমি অসহায়!
16 প্রভু, আপনার ক্রোধ
    আমাকে ধ্বংস করেছে।
17 জ্বালা-যন্ত্রণা আমার নিত্যসঙ্গী।
    আমার মনে হচ্ছে যেন, আমি আমার জ্বালা-যন্ত্রণায় ডুবে যাচ্ছি।
18 প্রভু, আমার প্রিয়জন ও বন্ধুদের থেকে আপনি আমার বিচ্ছিন্ন করেছেন।
    একমাত্র অন্ধকারই আমার সঙ্গী হওয়ার জন্য অবশিষ্ট রয়েছে।

গীতসংহিতা 91-92

91 গুপ্ত আশ্রয় লাভের জন্য তুমি পরাৎ‌‌পরের কাছে যেতে পারো।
    সুরক্ষার জন্য তুমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে যেতে পারো।
আমি প্রভুকে বলেছি, “আপনিই আমার নিরাপদ আশ্রয়স্থল, আপনিই আমার দুর্গ।
    হে আমার ঈশ্বর, আমি আপনাকে বিশ্বাস করি।”
ভয়ঙ্কর ব্যাধি এবং গুপ্ত বিপদ থেকে
    ঈশ্বর তোমায় রক্ষা করবেন।
নিরাপত্তার জন্য তুমি ঈশ্বরের কাছে যেতে পারো।
    যেমন করে পাখি তার ডানা মেলে তার শাবকদের আগলে রাখে, তেমন করে, ঈশ্বর তোমায় রক্ষা করবেন।
    তোমায় রক্ষা করার জন্য ঈশ্বর হবেন একটি ঢাল ও প্রাচীরের মত।
রাতে তোমার ভয় পাওয়ার মতো কিছু থাকবে না।
    দিনের বেলাতেও শত্রুর তীরকে তুমি ভয় পাবে না।
নিশাকালে যে অসুখ আসে তাকে তুমি ভয় পাবে না,
    কিংবা দিনের বেলায় যে ভয়ঙ্কর অসুস্থতা আসে তাকেও তুমি ভয় পাবে না।
তুমি 1000 হাজার শত্রুকে পরাজিত করতে পারবে।
    তোমার নিজের ডান হাত 10,000 শত্রু সৈন্যকে পরাজিত করবে।
    শত্রুরা তোমায় স্পর্শ পর্যন্ত করতে পারবে না!
লক্ষ্য করে দেখ, দেখবে যে
    ওই দুষ্ট লোকদের শাস্তি হয়েছে!
কেন? কারণ তুমি ঈশ্বরে আস্থা রাখ।
    কারণ পরাৎ‌‌পরকে তুমি তোমার নিরাপদ আশ্রয়স্থলরূপে গ্রহণ করেছ।
10 তোমার কোন অমঙ্গল হবে না।
    তোমার বাড়ীতে কোন অসুখ থাকবে না।
11 ঈশ্বর তাঁর দূতদের আজ্ঞা দেবেন
    এবং তুমি যেখানেই যাবে তারা তোমায় রক্ষা করবে।
12 তোমার পা যাতে পাথরে হোঁচট না খায়,
    সেই জন্য ওদের হাত তোমায় ধরে থাকবে।
13 বিষধর সাপ, এমন কি সিংহের মধ্যে দিয়েও
    তুমি হেঁটে যেতে পারবে।
14 প্রভু বলেন, “যদি কোন ব্যক্তি আমাকে ভালবাসে এবং বিশ্বাস করে, আমি তাকে রক্ষা করবো।
    আমার অনুগামীরা যারা আমার নাম উপাসনা করে, তাদের আমি রক্ষা করবো।
15 আমার অনুগামীরা সাহায্যের জন্য আমায় ডাকবে এবং আমি তাদের সাড়া দেবো।
    যখন তারা সমস্যায় পড়বে তখন আমি ওদের সঙ্গে থাকবো।
    আমি ওদের রক্ষা করবো এবং সম্মান দেবো।
16 আমার অনুগামীদের আমি দীর্ঘ জীবন দেবো।
    আমি ওদের রক্ষা করবো।”

বিশ্রাম দিবসের জন্য একটি প্রশংসা গীত।

92 প্রভুর প্রশংসা করাই ভাল।
    হে পরাৎ‌‌পর, আপনার নামের প্রশংসা করাই ভাল।
প্রাতঃকালে আপনার প্রেমের গান
    এবং নিশাকালে আপনার বিশ্বস্ততার গান গাওয়াই ভালো।
ঈশ্বর, দশ তারা যন্ত্রে এবং বীণায়
    আপনার জন্য সুর বাজানো ভাল।
প্রভু, যে সব জিনিস আপনি করেছেন তা দিয়ে আমাদের প্রকৃতই সুখী করেছেন।
    আমরা প্রফুল্লচিত্তে ওই সব বিষয়ের গুণগান করি।
প্রভু, আপনি সেই সব মহৎ‌‌ কাজ করেছেন।
    আপনার চিন্তা বুঝে ওঠা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন।
আপনার তুলনায় মানুষ এক্কেবারে নির্বোধ প্রাণী।
    আমরা সেই বোকাদের মত যারা কিছুই বুঝতে পারে না।
দুষ্ট লোকরা আগাছার মত বেঁচে থেকে এবং মরে।
    যে অর্থহীন কাজ তারা করে যায়, তা চিরদিনের জন্য ধ্বংস হবে।
কিন্তু প্রভু, আপনি চিরদিনের জন্য সম্মানিত থাকবেন।

প্রভু, আপনার সব শত্রু ধ্বংস হবে।
    সেই সব লোক যারা মন্দ কাজ করে, তারা ধ্বংস হবে।
10 একটা গণ্ডার যেমন তার বিশাল খড়্গ দিয়ে আক্রমণ করে, আমিও সেই ভাবে, যারা আমার বিরোধিতা করে, সেইসব দুষ্ট লোকদের আক্রমণ করব।
    বিশেষ কাজের জন্য আপনি আমায় মনোনীত করেছেন এবং গন্ধ তেল মাথায় ঢেলে আমায় অভিষিক্ত করেছেন।
11 চারপাশে আমি শত্রুদের দেখতে পাচ্ছি, বিরাট বলদের মত ওরা আমায় আক্রমণের জন্য তৈরী হয়ে রয়েছে।
    আমি শুনছি ওরা আমার সম্পর্কে কি বলছে।

12 ধার্ম্মিক লোকরা প্রভুর মন্দিরে পোঁতা
    লিবানোনের এরস গাছের মত।
13 ধার্ম্মিক লোকরা ঈশ্বরের মন্দিরে
    অঙ্গনের কুসুমিত তাল গাছের মত।
14 তাদের বৃদ্ধ বয়সেও,
    তারা স্বাস্থ্যবান তরুণ গাছের মতই ফল ধারণ করে।
15 প্রভু যে ভাল
    এটা দেখানোর জন্যই ওরা ওখানে আছে।
তিনিই আমার শিলা
    এবং তিনি কোন ভুল করেন না।

আদি 47:1-26

ইস্রায়েল গোশনে বাস করতে লাগলেন

47 যোষেফ ফরৌণের কাছে গিয়ে বললেন, “আমার পিতা, আমার ভাইরা এবং তাঁদের পরিবারের সবাই এখানে এসেছেন। তাঁরা তাঁদের পশু ও সর্বস্ব নিয়ে কনান দেশ থেকে চলে এসেছেন। তাঁরা এখন গোশন প্রদেশে রয়েছেন।” ফরৌণের সামনে যাবার জন্য ভাইদের মধ্যে পাঁচজনকে মনোনীত করলেন।

ফরৌণ ভাইদের জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কি কাজ কর?”

ভাইরা ফরৌণকে বলল, “মহাশয় আমরা মেষপালক। আর আমাদের আগে আমাদের পূর্বপুরুষরাও মেষপালক ছিলেন।”

তারা ফরৌণকে বলল, “কনান দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছে। তাই পশুদের খাবার ঘাসের অভাব হয়েছে। তাই আমরা এই দেশে বাস করব বলে এখানে এসেছি। দয়া করে আমাদের গোশন প্রদেশে থাকতে দিন।”

তখন ফরৌণ যোষেফকে বললেন, “তোমার পিতা ও তোমার ভাইরা তোমার কাছে এসেছেন। তাদের থাকবার জন্য তুমি মিশরে যে কোন জায়গা বেছে নিতে পারো। তোমার পিতা এবং তোমার ভাইদের সব চাইতে ভাল জমিটা দিও। তাদের গোশন প্রদেশে বাস করতে দাও। আর তারা যদি দক্ষ মেষপালক হয় তবে তারা আমার পশুপালেরও যত্ন নিতে পারে।”

তখন যোষেফ তাঁর পিতাকে ফরৌণের সঙ্গে দেখা করবার জন্য ডেকে আনলেন। যাকোব ফরৌণকে আশীর্বাদ করলেন। ফরৌণ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনার বয়স কত?”

যাকোব ফরৌণকে বললেন, “আমার আয়ুর এই অল্প বয়সে আমাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমি কেবল 130 বছর বয়স্ক। আমার পিতা এবং আমার পূর্বপুরুষরা আমার চাইতেও বেশী বয়স বেঁচেছিলেন।” 10 যাকোব ফরৌণকে আশীর্বাদ করলেন এবং তাঁর সামনে থেকে বিদায় নিলেন।

11 ফরৌণের কথামত যোষেফ তাঁর পিতা ও ভাইদের মিশরে জমিজমা দিলেন। রামিষেষ শহরের কাছে স্থিত সেই জমি মিশরের সব জমির চেয়ে সেরা ছিল। 12 আর যোষেফ তাঁর পিতা, তাঁর ভাইদের এবং তাঁর সমস্ত পরিজনদের তাঁদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করলেন।

যোষেফ ফরৌণের জন্য জমি কিনলেন

13 দুর্ভিক্ষ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠল, ফলে দেশে কোথাও কোন খাদ্য রইল না। এই দারুণ দুর্ভিক্ষের জন্যে মিশর এবং কনান দেশ দরিদ্র হয়ে পড়ল। 14 দেশের লোকরা আরও শস্য কিনতে থাকল আর যোষেফ সেই অর্থ জমিয়ে ফরৌণের কাছে নিয়ে আসতেন। 15 কিছু পরে মিশরীয় এবং কনানীয়দের সব অর্থ শেষ হয়ে গেল। কারণ তারা সমস্ত অর্থই শস্য কিনতে ব্যয করেছিল। তাই মিশরীয়রা যোষেফের কাছে গিয়ে বলল, “আমাদের খাদ্য দিন। আমাদের অর্থ শেষ হয়ে গেছে। আমরা খেতে না পেলে আপনার চোখের সামনে মারা যাব।”

16 কিন্তু যোষেফ উত্তর দিলেন, “তোমাদের গো-পাল দাও, আমি তোমাদের খাবার দেব।” 17 এইভাবে খাদ্য কেনার জন্য লোকরা তাদের গো-পাল, ঘোড়া এবং অন্যান্য পশুর ব্যবহার করলেন। সেই বছরে যোষেফ পশুর বদলে তাদের খাদ্য দিলেন। 18 কিন্তু পরের বছরে লোকদের খাবার কেনার জন্য পশু এবং অন্য কিছু ছিল না। তাই লোকরা যোষেফের কাছে গিয়ে বলল, “আপনি জানেন আমাদের কাছে আর কোন অর্থ নেই। আর আমাদের সব পশুও এখন আপনারই। সুতরাং আপনি যা দেখছেন আমাদের সেই দেহ ও আমাদের জমি ছাড়া আমাদের কাছে আর কিছুই নেই। 19 সত্যিই আমরা আপনার চোখের সামনে মারা যাব। কিন্তু আপনি আমাদের খাদ্য দিলে আমরা ফরৌণকে আমাদের জমি দেব এবং আমরা তাঁর দাস হব। আমাদের বপন করার বীজ দিন। তাহলে আমরা মরব না। আর জমিতে আবার আমাদের জন্য শস্য হবে।”

20 তাই যোষেফ মিশরের সমস্ত জমি ফরৌণের জন্য কিনে নিলেন। লোকরা ক্ষুধার জন্য মিশরের সমস্ত জমি ফরৌণের কাছে বিক্রি করে দিল। 21 আর মিশরের সর্বত্র লোকরা ফরৌণের দাস হল। 22 যোষেফ কেবল যাজকদের জমি কিনলেন না। যাজকদের জমি বিক্রি করারও প্রয়োজন ছিল না। কারণ ফরৌণ তাদের কাজের জন্য পারিশ্রমিক দিতেন আর তারা সেই অর্থ দিয়ে খাদ্য কিনত। 23 যোষেফ লোকদের বললেন, “এখন আমি তোমাদের এবং তোমাদের জমি ফরৌণের জন্য কিনে নিয়েছি। তাই আমি এরপর তোমাদের জমিতে বপন করার বীজ দেব। আর তোমরা তা বপন করতে পার। 24 শস্য ছেদনের সময় তোমরা অবশ্যই উৎপন্ন শস্যের পাঁচ ভাগের এক ভাগ ফরৌণকে দেবে। বাকী পাঁচ ভাগের চার ভাগ শস্য তোমাদের হবে। তোমরা তোমাদের খাদ্যের জন্য সেই রাখা শস্যের বীজ পরের বছর বপন করার জন্য ব্যবহার করতে পারবে। আর তাতে তোমাদের পরিবার ও সন্তানদের জন্যও খাদ্য থাকবে।”

25 লোকরা বলল, “আপনি আমাদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। আমরা ফরৌণের দাস হয়ে খুশী।”

26 তাই যোষেফ সেই সময় জমির ব্যাপারে আইন তৈরী করলেন। আর সেই আইন আজও বলবৎ রয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী জমিতে উৎপন্ন সবকিছুর পাঁচ ভাগের এক ভাগ ফরৌণের। যাজকদের জমি ছাড়া সমস্ত জমি ফরৌণের।

1 করিন্থীয় 9:16-27

16 তবে আমি সুসমাচার প্রচার করি বলে গর্ব করছি না। সুসমাচার প্রচার করা আমার কর্তব্য, এটি আমার অবশ্য করণীয়। আমি যদি সুসমাচার প্রচার না করি তবে তা আমার পক্ষে কত দুর্ভাগ্যের বিষয় হবে! 17 যদি নিজের ইচ্ছায় সুসমাচার প্রচার করতাম তবে আমি পুরস্কার পাবার যোগ্য হতাম। কিন্তু যেখানে আমি নিজে থেকে এই কাজ করিনি কিন্তু দায়িত্ব হিসাবে আমার ওপর এই কাজ ন্যস্ত হয়েছে, 18 সেখানে আমি কি পুরস্কার পাব? এই আমার পুরস্কার; যখন আমি সুসমাচার প্রচার করি, তা বিনামূল্যে করি। এইভাবে সুসমাচার প্রচার করা কালীন আমার বেতন পাবার যে অধিকার আছে, তা আমি ব্যবহার করি না।

19 আমি স্বাধীন! আমি কারোর অধীনে নেই, তবু আমি সকলের দাস হলাম, যাতে অনেককে আমি খ্রীষ্টের জন্য লাভ করতে পারি। 20 ইহুদীদের জয় করার জন্য আমি ইহুদীদের কাছে ইহুদীদের মতো হলাম। যারা বিধি-ব্যবস্থার অধীনে জীবন কাটাচ্ছে, তাদের লাভ করার জন্য আমি নিজে বিধি-ব্যবস্থার অধীন না হলেও আমি তাদের মত হলাম। 21 আবার যারা বিধি-ব্যবস্থার অধীনে নেই তাদের জয় করার জন্য আমি তাদের মতো হলাম। অবশ্য এর মানে এই নয় যে আমি বিধি-ব্যবস্থা মানি না, আমি তো খ্রীষ্টের বিধি-ব্যবস্থার অধীনে জীবনযাপন করছি। 22 যারা দুর্বল, তাদের কাছে আমি দুর্বল হলাম, যেন তাদেরকে জয় করতে পারি। আমি সকলের কাছে তাদের মনের মত হলাম, যাতে সম্ভাব্য সকল উপায়ে তাদের বাঁচাতে পারি। 23 আমি এসব সুসমাচারের জন্যই করি, যেন এর আশীর্বাদের সহভাগী হই।

24 তোমরা কি জান না, যখন দৌড় প্রতিযোগিতা হয় তখন অনেকেই দৌড়ায়; কিন্তু কেবল একজনই বিজয়ী হয়ে পুরস্কার পায়। তাই এমনভাবে দৌড়োও যেন পুরস্কার পাও! 25 আবার দেখ, যে সব প্রতিযোগী খেলায় অংশগ্রহণ করে, তারা কঠিন নিয়ম পালন করে। তারা অস্থায়ী বিজয় মুকুট পাবার জন্য তা করে; কিন্তু আমরা অক্ষয় মুকুটে ভূষিত হবার জন্য করি। 26 তাই সেইভাবে একটা লক্ষ্য নিয়ে আমি দৌড়োচ্ছি। শূন্যে মুষ্ট্যাঘাত করছে, এমন লোকের মত আমি লড়াই করি না। 27 বরং আমি আমার দেহকে কঠোরতা ও সংযমের মধ্যে রেখেছি, যেন অন্য লোকদের কাছে সুসমাচার প্রচার করার পর নিজে কোনভাবে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে অযোগ্য বলে বিবেচিত না হই।

মার্ক 6:47-56

47 সন্ধ্যাকালে নৌকাটি হ্রদের মাঝখানে ছিল এবং তিনি একা ডাঙ্গায় ছিলেন। 48 তিনি দেখলেন যে শিষ্যরা বাতাসের বিরুদ্ধে খুব কষ্টের সঙ্গে দাঁড় টেনে চলেছেন। খুব ভোর বেলা প্রায় তিনটে ও ছটার মধ্যে তিনি হ্রদের জলের উপর দিয়ে হেঁটে তাদের কাছে এলেন। তিনি তাঁদের পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলেন। 49 কিন্তু হ্রদের উপর দিয়ে তাঁকে হাঁটতে দেখে তাঁরা ভাবলেন ভূত, আর এই ভেবে তাঁরা চেঁচিয়ে উঠলেন। 50 কারণ তাঁরা সকলেই তাঁকে দেখে ভয় পেয়েছিলেন; কিন্তু যীশু সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বললেন, “সাহস করো! ভয় করো না, এতো আমি!” 51 পরে তিনি তাদের নৌকায় উঠলে ঝড় থেমে গেল। তাতে তাঁরা আশ্চর্য হয়ে গেলেন। 52 কারণ এর আগে তাঁরা পাঁচটা রুটির ঘটনার অর্থ বুঝতে পারেন নি, তাঁদের মন কঠোর হয়ে পড়েছিল।

যীশু বহুলোককে সুস্থ করলেন

(মথি 14:34-36)

53 পরে তাঁরা হ্রদ পার হয়ে গিনেষরৎ প্রদেশে এসে নৌকা বাঁধলেন। 54 তিনি নৌকা থেকে নামলে লোকরা তাঁকে চিনে ফেলল। 55 তারা ঐ এলাকার সমস্ত অঞ্চলে চারদিকে দৌড়াদৌড়ি করে অসুস্থ লোকদের খাটিয়া করে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে লাগল। 56 গ্রামে, শহরে বা পাড়ায় যেখানে তিনি যেতেন, সেখানে লোকেরা অসুস্থ রোগীদের এনে বাজারের মধ্যে জড়ো করত। তারা মিনতি করত যেন শুধু যীশুর কাপড়ের ঝালর স্পর্শ করতে পারে। আর যারা তাঁর কাপড় স্পর্শ করত তারা সকলেই সুস্থ হয়ে যেত।

Bengali: পবিত্র বাইবেল (BERV)

Bengali Holy Bible: Easy-to-Read Version. All rights reserved. © 2001 Bible League International