Add parallel Print Page Options

ইহুদী নেতাদের সামনে যীশু

(মথি 26:57-68; লূক 22:54-55, 63-71; যোহন 18:13-14, 19-24)

53 তখন তারা যীশুকে মহাযাজকের কাছে নিয়ে এল। প্রধান যাজকরা, বয়স্ক ইহুদী নেতারা এবং ব্যবস্থার শিক্ষকরা সকলে এক জায়গায় জড়ো হলেন। 54 আর পিতর দূরে দূরে থেকে যীশুর পেছনে যেতে যেতে মহাযাজকের উঠোন পর্যন্ত গেলেন এবং রক্ষীদের সঙ্গে বসে আগুন পোহাতে লাগলেন।

55 তখন প্রধান যাজকরা এবং মহাসভার সকলেই এমন একজন সাক্ষী খুঁজছিলেন যার কথার জোরে যীশুকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা যায়; কিন্তু তেমন সাক্ষ্য তাঁরা পেলেন না। 56 কারণ অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিল বটে কিন্তু তাদের সাক্ষ্য মিলল না।

57 তখন কিছু লোক তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে বলল, 58 “আমরা তাঁকে বলতে শুনেছি, ‘মানুষের হাতে তৈরী এই মন্দিরটি ভেঙে ফেলব এবং তিন দিনের মধ্যে মানুষের হাত দিয়ে তৈরী নয় এমনই একটি মন্দির আমি গড়ে তুলব।’” 59 কিন্তু এতেও তাদের সাক্ষ্যের প্রমাণ মিলল না।

60 তখন মহাযাজক সকলের সামনে দাঁড়িয়ে যীশুকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি কিছুই উত্তর দেবে না? এই সমস্ত লোকরা তোমার বিরুদ্ধে কি সাক্ষ্য দিচ্ছে?” 61 কিন্তু তিনি চুপচাপ থাকলেন, কোন উত্তর দিলেন না।

আবার মহাযাজক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি সেই পরম খ্রীষ্ট পরম ধন্য, ঈশ্বরের পুত্র?”

62 যীশু বললেন, “হ্যাঁ, আমিই ঈশ্বরের পুত্র। তোমরা একদিন মানবপুত্রকে ঈশ্বরের ডানপাশে বসে থাকতে আকাশের মেঘে আবৃত হয়ে আসতে দেখবে।”[a]

63 তখন মহাযাজক তাঁর পোশাক ছিঁড়ে বললেন, “আমাদের সাক্ষীর আর কি প্রয়োজন? 64 তোমরা তো ঈশ্বর নিন্দা শুনলে। তোমাদের কি মনে হয়?” তারা সকলে তাঁকে দোষী স্থির করে বলল, “এঁর মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।” 65 তখন কেউ কেউ তাঁর মুখে থুথু ছিটিয়ে দিল, তাঁর মুখ ঢেকে ঘুষি মারল এবং বলতে লাগল, “ভাববাণী করে বল তো, কে তোমাকে ঘুষি মারল?” পরে রক্ষীরা তাঁকে মারতে মারতে নিয়ে গেল।

Read full chapter

Footnotes

  1. 14:62 দ্রষ্টব্য গীতসংহিতা 110:1; দানি 7:13